আগ্নেয়াস্ত্র-সহ গ্রেফতার ২
নিজস্ব সংবাদদাতা • হাবরা |
আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি-সহ দুই দুষ্কৃতীকে গ্রফতার করল হাবরা থানার পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বুধবার রাতে স্থানীয় মসলন্দপুর স্টেশন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের নাম সুবীর ওরফে শম্ভু ওরফে শঙ্কু দে ও উজ্বল পাল। সুবীরের বাড়ি বারাসতের কাশিমবাজার এলাকায়। উজ্জ্বল বামনগাছির নতুন বাজারের বাসিন্দা। তাদের কাছ থেকে দু’টি পিস্তল ও পাঁচ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃতেরা জানিয়েছে, তারা এলাকায় দুষ্কর্ম করতেই এসেছিল। বামনগাছি এলাকায় একটি খুনের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত সুবীর। মূলত আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে তোলা আদায় করত তারা। তাদের জেরা করে দলের বাকি সদস্যদের খোজ তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। ধৃতদের আদালতে তোলা হলে সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। অস্ত্র সহ ধৃত ১। আগ্নেয়াস্ত্র সহ এক ব্যক্তিকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে ভাঙড়ের উত্তর ঘটকপুকুর এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে ধৃতের নাম নুর ইসলাম মোল্লা। বাড়ি ধৃতের কাছ থছেকে একটি গুলি ভর্তি পাইপগান উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। |
গয়না চুরির অভিযোগে ধৃত
নিজস্ব সংবাদদাতা • ক্যানিং |
অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে সোনার গয়না চুরি করে পালিয়ে আসার অভিযোগে এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে ক্যানিংয়ের তালদি এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত দুষ্কৃতীর নাম টিপু শেখ ওরফে শওকাত শেখ। ধৃতের বাড়ি স্থানীয় তালদিতেই। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, দক্ষিণ ২৪ পরগনার তালদি এলাকার একটি দল কয়েকদিন আগে অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে কয়েক লক্ষ টাকার সোনার গয়না চুরি করে পালিয়ে আসে। অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশের থেকে খবর পেয়ে টিপু শেখকে গ্রেফতার করে ক্যানিং থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ধৃতকে অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশের হাতে তুলে দেয় ক্যানিং থানার পুলিশ। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। |
ছাত্রীকে ফুঁসলানোর অভিযোগে ধৃত
নিজস্ব সংবাদদাতা • হাড়োয়া |
এক ছাত্রীকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম খোকন রুইদাস বলে পুলিশ জানিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার স্কুলে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয় দশম শ্রেণির ছাত্রী অষ্টমী রুইদাস। তাঁর বাড়ি হাড়োয়ার উচিলদহ গ্রামে। নিখোঁজ ছাত্রীর বাবা অনুপ রুইদাস হাড়োয়া থানায় শনিবার নিখোঁজ ডায়েরি করেন। তদন্তে নেমে পুলিশ গোসাবা থেকে খোকন রুইদাসকে গ্রেফতার করে। ছাত্রীটিকেও উদ্ধার করা হয়েছে। ধৃতকে বসিরহাটের এসিজেএম আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। |
নকআউট ফুটবলে জয়ী মালতীপুর
নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট |
সম্প্রতি বসিরহাটের কোড়াপাড়া ফুটবল কোচিং সেন্টারের পরিচালনায় দু’দিনব্যাপী ১৬ দলের নকআউট ফুটবল প্রতিযোগিতা হয়ে গেল। মালতীপুর রেল স্টেশন সংলগ্ন মাঠে এই প্রতিযোগিতার ফাইনালে মালতীপুর জাতীয় ফুটবল ক্লাবকে ২-০ গোলে হারিয়ে দেয় কেএফসিসি। জয়ী দলের পক্ষে গোল করেন গৌতম পাল ও আশরাফুল গাজি। প্রতিযোগিতার সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন সাচ্চু। সেরা গোলদাতা গৌতম পাল, সেরা গোলরক্ষক রাজা চক্রবর্তী এবং ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় আশরাফুল গাজিকে পুরস্কৃত করা হয়। জয়ী ও রানার্স দলকে দেওয়া হয় ট্রফি ও আর্থিক পুরস্কার। সংস্থার পক্ষে মহম্মদ আব্দুর রহিম আকুঞ্জি এবং মহম্মদ আব্দুস সালাম বলেন, “মূলত কোচিং সেন্টারের উন্নতি ও এলাকায় ফুটবলের প্রসারের উদ্দেশ্যে এই প্রতিযোগিতা।” |
স্ত্রীকে খুনে যাবজ্জীবন
নিজস্ব সংবাদদাতা • বনগাঁ |
স্ত্রীকে খুনের দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিলেন বিচারক। বৃহস্পতিবার বনগাঁ মহকুমা ফাস্ট ট্রাক-২ আদালতের বিচারক অপরাজিতা ঘোষ এই রায় দেন। মামলার সরকারি আইনজীবী নিতাইপদ সাহা বলেন, “বনগাঁর জয়পুরের বাসিন্দা শান্তি কর্মকার অন্য মহিলার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে স্ত্রী অর্চনাদেবীকে ২০১১ সালের ১ এপ্রিল খুন করে। ওই দিনই প্রতিবেশীরা শান্তিকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন। এ ব্যাপারে অর্চনাদেবীর জামাইবাবু দশরথ সেন অভিযোগ দায়ের করেন। এ দিন আদালতের রায় শোনার পরে শান্তি বলে, “আমি নির্দোষ।” এ দিন বাবার সাজা শোনার পরে বড় ছেলে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র রামপ্রসাদ বলে, “ঘটনার দিন আমি পাশের ঘরে ছিলাম। কোনও চিৎকার শুনিনি।” তার দাবি, বাবা খুন করতে পারে না। |
চ্যাম্পিয়ন বামনখালি পিএলবি
নিজস্ব সংবাদদাতা • সাগর |
আট দলের নক আউট ফুটবলে জয়ী হল বামনখালি পিএলবি। এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আয়োজিত তিনদিন ব্যাপী এই ফুটবল প্রতিযোগিতার ফাইনাল ছিল সোমবার। ফাইনালে বামনখালি পিএলবি ৩-২ গোলে হারিয়ে দেয় ডায়মন্ড হারবার বর্ষা পার্টনারশিপ ফার্মকে। খেলার পর জয়ী ও রানার্স দলের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রাক্তন ক্রিকেটার সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায়। |
বিষমদ কাণ্ডে শাস্তির সুপারিশ নিয়ে ফের চিঠি |
রাজ্য মানবাধিকার কমিশন বিষমদ কাণ্ডে আবগারি কমিশনারের বিরুদ্ধে যে-শাস্তির সুপারিশ করেছিল, সরকার তা রূপায়ণ করেনি। সেই সুপারিশ রূপায়ণের জন্য রাজ্য সরকারকে ফের চিঠি দেওয়া হবে বলে জানান কমিশনের যুগ্মসচিব সুজয়কুমার হালদার। গত বছর ডিসেম্বরে মগরাহাটে বিষমদ খেয়ে ব্যাপক প্রাণহানি হয়। তৎকালীন আবগারি কমিশনার দেবকুমার চক্রবর্তী কমিশনে সাক্ষ্য দিতে গিয়ে বলেছিলেন, সংশ্লিষ্ট মদ বিক্রেতার সঙ্গে আবগারি দফতর এবং পুলিশের একাংশের যোগাযোগ ছিল। সেই কারণেই আবগারি দফতর বা পুলিশ আগে থেকে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারেনি। কমিশনের সুপারিশ ছিল, দেবকুমারবাবুকে সাসপেন্ড করে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত হোক। সরকারের বক্তব্য, ওই ঘটনার জন্য ব্যক্তিগত ভাবে একা দেবকুমারবাবুকে দায়ী করা যায় না। যুগ্মসচিব জানান, রাজ্যের বক্তব্য জানার পরে বুধবার দেবকুমারবাবুর সাক্ষ্য খতিয়ে দেখে ফের সরকারকে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। |