প্রতিবেশীর বাড়িতে আগুন ও খুনের চেষ্টার অভিযোগে বৃহস্পতিবার ৫ জন মহিলা-সহ ১৪ জনের ৭ বছর কারাদণ্ডের আদেশ দিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা আদালত। বৃহস্পতিরবার পূর্ব মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক (ফাস্ট ট্রাক ফাস্ট কোর্ট) চিন্ময় চট্টোপাধ্যায় বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, মারধর ও লুঠপাঠ-সহ একাধিক অভিযোগে নিমাই জানা, মাদল মাইতি, বাদল মাইতি, আনন্দ মাইতি, প্রফুল্ল মাইতি, মৃত্যুঞ্জয় মাইতি, সঞ্জয় মাইতি ও তাঁর স্ত্রী ফুলমণি মাইতি-সহ ১৪ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেন। প্রত্যেকে ৭ বছরের জেল ও ৫০০ টাকা জরিমানার আদেশ দেন বিচারক। জরিমানা অনাদায়ে অতিরিক্ত তিন মাসের কারাদণ্ডেরও আদেশ দেওয়া হয়। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার থানার গিরিচক গ্রামের বাসিন্দা রামচন্দ্র মাইতির সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল তাঁর কয়েকজন প্রতিবেশীর। ২০০৯ সালের ৮ নভেম্বর রামচন্দ্রবাবুর বাড়ির সামনে খড়ের গাদা তৈরি করতে আসেন প্রতিবেশীরা। তাতে বাধা দেন রামচন্দ্রবাবু। এরপর অভিযুক্ত প্রতিবেশীরা ১০ নভেম্বর রাত ১টা নাগাদ রামবাবু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বাড়ির সংলগ্ন গোয়ালঘরের চালায় আগুন ধরিয়ে দেন। তা বুঝতে পেরে রামচন্দ্রবাবু বাইরে বেরিয়ে আসেন। তখন অভিযুক্তেরা তাঁকে মারধর করে আগুনের দিকে ঠেলে দেয়। এরপর অভিযুক্তেরা রামচন্দ্রবাবুর বাড়িতে লুঠপাঠ করে বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে দেয়। আগুনে জখম হন রামচন্দ্রবাবু ও তাঁর গোয়ালঘরের কয়েকটি গোরু। ক্ষতিগ্রস্ত হয় রামচন্দ্রবাবুর বসত বাড়িটিও। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে নন্দকুমার থানার পুলিশ এসে রামচন্দ্রবাবু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের উদ্ধার করে। রামচন্দ্রবাবুর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ১৪ জন প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।
|
দুই প্রতারকের পাল্লায় পড়ে সোনার গয়না খোয়া যাওয়ার অভিযোগ করলেন কাঁথি ৩ ব্লকের দুরমুঠ পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য তাপসী সাউ। বৃহস্পতিবার কাঁথি থানায় অভিযোগ দায়ের করে তিনি বলেন, “বুধবার কর্মসূত্রে কাঁথি এসেছিলেন তিনি। দুপুরে দুরমুঠে ফেরার সময় শহরের রথতলায় দুই যুবক তাঁর সঙ্গে এগিয়ে এসে আলাপ করে ও হাঁটতে থাকে। পরে একটি সিনেমা হলের সামনের বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসে ওঠেন তিনি। ওই দুই যুবকও তাঁর সঙ্গে বাসে উঠে তাপসীদেবীকে একটি প্যাকেট ধরতে দেয়। তাঁর অভিযোগ, প্যাকেটটা কিছুক্ষণ ধরে থাকার পরেই জ্ঞান হারান তিনি। তখন ওই দুই যুবক তাঁকে বাস থেকে নামিয়ে ফাঁকা জায়গায় গিয়ে সোনার হার, বালা ও আংটি খুলে নেয়। তারপর তাঁরা তাঁকে অন্য একটা বাসেও তুলে দেয়। সম্মোহিতের মতো বাড়ি ফেরার পরে তাঁর হুঁশ ফেরে বলে দাবি তাঁর। তাপসীদেবী ও তাঁর ছেলে বাবু সাউ বলেন, “ওই প্যাকেটে কিছু রাসায়নির মেশানো ছিল। সেই সুযোগেই সম্মোহিত করে এই কাজ করে ওই দুই দুষ্কৃতী।”
|
ভগবানপুরে অস্বাভাবিক মৃত্যু ছাত্রীর |
অস্বাভাবিক মৃত্যু হল এক উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর। দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রীর নাম দীপালি পাত্র (১৭)। ভগবানপুরের গুড়গ্রাম শিক্ষা নিকেতন হাইস্কুলের ছাত্রী সে। স্কুলের কাছেই বাড়ি তার। যদিও বুধবারের এই ঘটনার পরে তার মা কল্পনাদেবী বলেন, “টেস্ট পরীক্ষায় পাশ না করতে পেরে মানসিক অবসাদেই মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।” তবে এখনও দীপালির পরিবারের তরফে পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ১৪ ডিসেম্বর টেস্টের ফল প্রকাশ হলে দেখা যায় দীপালি অকৃতকার্য হয়েছে। কিন্তু সে বাড়িতে এই খবর জানায়নি। বুধবার স্কুল থেকে ফেরার পরে আর খোঁজ মিলছিল না দীপালির। সন্ধ্যায় পুকুর পাড়ে তার জুতো দেখতে পায় এলাকার লোকজন। তাঁরাই পুকুর থেকে উদ্ধার করেন দীপালির দেহ। বৃহস্পতিবার স্কুল খুলতেই স্কুলের গাফিলতির অভিযোগে স্থানীয় মানুষ বিক্ষোভ দেখান। তবে দীপালির অকৃতকার্য হওয়ার খবর জানার পর অবশ্য ক্ষোভ প্রশমিত হয়। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দীপঙ্কর প্রধান বলেন, “এ বার টেস্ট দিয়েছিল ৮৪ জন পরীক্ষার্থী। তার মধ্যে কৃতকার্য হয়েছে ৭৬ জন। অকৃতকার্যদের ফের সুযোগ দেওয়া যায় কিনা তা নিয়ে বৃহস্পতিবার আমাদের বৈঠক ছিল। কিন্তু তার আগেই দীপালি আত্মহত্যা করল। ওর মৃত্যু মর্মান্তিক।” গুড়গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান তথা দীপালির প্রতিবেশি আশিস পাত্র বলেন, “ফেল করায় সঙ্কোচেই আত্মহত্যা করেছে দীপালি।”
|
স্কুল পরিচালন সমিতির ভোট থেকে সরে দাঁড়াল সিপিএম প্রভাবিতরা। বুধবার ভগবানপুরের দেশপ্রাণ বিদ্যাপীঠে সিপিএম প্রভাবিত প্রার্থীদের মনোনয়ন ছেঁড়া ও মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। রমাপদ ঘোড়ই, বুদ্ধদেব মাইতি ও বাবুরাম মণ্ডল অভিযোগও দায়ের করেন। সিপিএমের ভগবানপুর জোনাল সম্পাদক সত্যরঞ্জন দাসের অভিযোগ, “অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও পুলিশ ব্যবস্থা নেয়নি। তাই মনোনয়নপত্র তোলাও সম্ভব হয়নি।” ধৃত স্বামী ও শাশুড়ি। সুলেখা পাত্র (২৫) নামে এক বধূকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগে স্বামী ও শাশুড়িকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের নাম, কিশোর পাত্র ও রাধারানি পাত্র। বেলপাহাড়ির সন্দাপাড়ার ছেঁড়া গ্রামের ঘটনা। সুলেখার মায়ের অভিযোগ, বুধবার শ্বশুর বাড়িতেই সুলেখাকে পিটিয়ে খুন করে গায়ে আগুন দিয়ে দেহটি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার বেলপাহাড়ি থানায় অভিযোগ করেন তিনি। অভিযোগ পাওয়ার পরে শ্বশুর বাড়ি থেকে দগ্ধ দেহটিও উদ্ধার করে পুলিশ। আজ, শুক্রবার ধৃতদের ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালতে তোলা হবে।
|
এক শিক্ষিকার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃতার নাম সুনন্দা মান্না (৩৩)। বিনপুরের এড়গোদা নিত্যানন্দ বিদ্যায়তনে ভূগোলের শিক্ষিকা ছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রাম শহরের রঘুনাথপুরে তাঁর বাড়ি থেকেই দেহটি উদ্ধার করা হয়। চাকরি সূত্রে বছর পাঁচেক ধরে এই ভাড়া বাড়িতে একাই থাকতেন সুনন্দাদেবী। তাঁর বাড়ি কলকাতায়। পুলিশ জানায়, সকালে পরিচারিকা এসে ডাকাডাকি করে কোনও সাড়া পান না। পরে জানালার পাল্লা খুলে সুনন্দাদেবীর ঝুলন্ত দেহটি প্রথম পরিচারিকাই দেখতে পান। দুপুরে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ইন্দ্রদেব ভট্টাচার্যের উপস্থিতিতে দেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠায় পুলিশ।
|
ক্রেতা ও আমনতকারীদের সুরক্ষা ও সচেতনতা নিয়ে একটি আলোচনাচক্র অনুষ্ঠিত হল কাঁথিতে। কাঁথি প্রভাতকুমার কলেজ ও ক্রেতা সুরক্ষা কমিটির উদ্যোগে বৃহস্পতিবার এই আলোচনা হয়। বক্তব্য রাখেন ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের সহকারী অধিকর্তা দীপককুমার সামন্ত, কিশোর পাড়িয়ার, কাঁথি পুরপ্রধান সৌমেন্দু অধিকারী, প্রভাতকুমার কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অমিতকুমার দে, অধ্যাপক প্রদীপ্ত পঞ্চাধ্যায়ী, কাঁথি ক্রেতা সুরক্ষা সমিতির সম্পাদক কৃষ্ণপদ পঞ্চাধ্যায়ী প্রমুখ। কলেজের প্রায় তিনশো ছাত্রছাত্রীও আলোচনায় যোগ দেয়। |