ঘাটাল কলেজ
এএনও নিয়োগে সমস্যা অব্যাহত
ফায় দফায় বৈঠকের পরেও ঘাটাল কলেজে এনসিসি বিভাগে এএনও নিয়োগ নিয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হল না। বৃহস্পতিবার কলেজ পরিচালন সমিতি এ বিষয়ে বৈঠক করেন। কিন্তু কোনও শিক্ষক ওই দায়িত্ব নিতে রাজি না হওয়ায় শেষ পযর্ন্ত বৈঠক বাতিল হয়ে যায়। কলেজের অধ্যক্ষ ভোলানাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আজও কোনও সিদ্ধান্ত হয় নি। সোমবার ফের বৈঠক ডাকা হয়েছে।”
ঘাটাল কলেজে প্রায় ছ’বছর ধরে এনসিসি বিভাগে কোনও অ্যাসোসিয়েট এনসিসি অফিসার নেই। অথচ নিয়মানুযায়ী, এএনও না থাকলে কোনও কলেজ বা স্কুলে ওই বিভাগ চলতে পারে না। পাশাপাশি এএনওর বয়স হতে হবে চল্লিশের মধ্যে। বার বার ওই বিভাগের আধিকারিকরা কর্তৃপক্ষকে বলা সত্ত্বেও এএনও নিয়োগ নিয়ে কর্তৃপক্ষ উদাসীন বলে অভিযোগ। গত সোমবার থেকে কলেজের এনসিসির ছাত্র-ছাত্রীরা এএনও নিয়োগ নিয়ে আন্দোলন শুরু করেন। প্রথম দিন কলেজের সমস্ত ঘরে তালা দিয়ে এবং ক্লাস বন্ধ রেখে তাঁরা আন্দোলনে নামেন। পর দিন থেকে ক্লাস চালু রেখে অধ্যক্ষ, শিক্ষকদের ঘরের সামনে ও কলেজের একাধিক জায়গায় অবস্থান-বিক্ষোভ করে আন্দোলন চালু রাখেন। বুধবার থেকে তাঁদের আন্দোলনে যোগ দেন তৃণমূল পরিচালিত ঘাটাল কলেজের ছাত্র সংসদ। সংসদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কলেজ থেকে যাতে ওই বিভাগটি উঠে না যায় সেজন্য ছাত্র সংসদ সাহায্য করবে ছাত্র-ছাত্রীদের।
অধ্যক্ষকে ঘিরে বিক্ষোভ ছাত্রছাত্রীদের। নিজস্ব চিত্র।
সোমবারের ঘটনার পরই বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তী, ঘাটাল কলেজের অধ্যক্ষ ভোলানাথ চট্টোপাধ্যায়কে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। এর পরই কলেজের অধ্যক্ষ ২০ ডিসেম্বর পরিচালন কমিটির বৈঠক ডাকেন। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা থেকে শুরু হয় বৈঠক। কিন্তু বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হওয়ায় হতাশ ছাত্র-ছাত্রীরা। এনসিসির পক্ষে বিপ্লব দোলই বলেন, “আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। সোমবার পযর্ন্ত কর্তৃপক্ষ সময় চেয়েছেন। তারপরও যদি না কিছু হয় তা হলে পরবর্তী আন্দোললে যাব।” এই আন্দোলনের খবর চাউর হতেই বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন কলেজের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী থেকে ঘাটালের বাসিন্দারা। তাঁদের বক্তব্য, কলেজের জন্মলগ্ন থেকে যে ইউনিটটি চালু রয়েছে, সেটি শুধুমাত্র এএনও নিয়োগ না হওয়ার জন্য বন্ধ হয়ে যাবে, তা মানা যায় না। একাধিক প্রাক্তন ছাত্র কলেজের অধ্যক্ষের কাছে লিখিতভাবে বিষয়টি জানিয়েছেন। কলেজ পরিচালন সমিতির সদস্য শ্যাম পাত্র বলেন, “বর্তমানে কলেজে ৪০ বছর বয়সী মোট সাতজন শিক্ষক রয়েছেন। এ দিন চারজন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। শুক্র ও শনি-এই দু’দিন ব্যাপী শিক্ষকদের ডাক্তারি পরীক্ষা করা হবে। ওই সাতজনকেই ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। ওই পরীক্ষার পরই একজনকে দায়িত্ব দেওয়া হবে।” তিনি আরও বলেন, “ঘাটাল কলেজে এনসিসির ঐতিহ্য রয়েছে। বহু ছেলে ওই সার্টিফিকেট নিয়ে চাকরিও করছেন। তাই এটা বন্ধ হোক আমরা চাই না।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.