শুরুতে একবার মনে হচ্ছিল, ম্যাচটা আরও হাড্ডাহাড্ডি হবে। ওভার পিছু প্রায় নয় করে রান উঠছে। উইকেট একটা পড়েছে। এমনকী ভারতীয় স্পিনারদেরও অনায়সে মারছিল ওরা। কিন্তু যুবরাজের স্পেলটা সব বদলে দিল। এই ফর্ম্যাটে যুবরাজ যে কতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে, তা আরও একবার দেখলাম। ব্যাটিংয়ের কথা ছেড়েই দিন। ওর বোলিংই ভারতকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনল। জায়গায় বলটা রাখল, পেসের হেরফের করল। ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা তো বুঝতেই পারছিল না কোনটা বাইরে যাবে, কোনটা ভিতরে আসবে।
সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিটা একটু একপেশে ভাবেই শেষ হল। আসলে এই ফর্ম্যাটে ভারতের অনেক ম্যাচ উইনার আছে। যেটা এই ইংল্যান্ড দলটায় নেই। পিটারসেন না খেললে ভারত কিন্তু হাসতে হাসতে টি-টোয়েন্টি বা এক দিনের ক্রিকেটে ওদের উড়িয়ে দেবে।
ইংল্যান্ড খুব ভাল শুরু করলেও ধোনি কিন্তু ম্যাচের রাশ হাত থেকে বের হতে দেয়নি। বোলারদের খুব ভাল মতো ব্যবহার করল। যুবরাজকে ঠিক সময়ে আনল। তা ছাড়া শেষ পর্যন্ত উইকেটে থেকে ম্যাচ জেতাল। এই ফর্ম্যাটে ধোনি যে জায়গাতেই ব্যাট করুক না কেন, ম্যাচে কোনও না কোনও ভাবে ছাপ ফেলে যায়। এ দিন নামল ছ’নম্বরে। তবে আমি ক্যাপ্টেন হলে ধোনিকে কিন্তু তিন নম্বরে ব্যাট করতে পাঠাতাম। এই ম্যাচ বলে নয়, সব ম্যাচে। তা হলে স্কোর বোর্ডে আরও রান উঠত।
অশোক দিন্দাকে দেখেও খুব ভাল লাগল। ও যে কত ভাল ‘ডেথ বোলার’, তা আবার সবাই দেখল। শেষ দিকে ফুল লেংথ বল করল, গতির হেরফের করে উইকেট তুলে নিল। ১৯ নম্বর ওভারে মাত্র দু’রান দিয়ে দু’উইকেট তুলে নিল দিন্দা। ওর মতো ফাস্ট বোলারকে ভারতের এখন প্রয়োজন। |