|
|
|
|
সমঝোতায় মামলা নিষ্পত্তির উদ্যোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
অভিযোগকারী এবং অভিযুক্ত, দু’পক্ষের সমঝোতার মাধ্যমে ফৌজদারি মামলা নিষ্পত্তির উদ্যোগ শুরু হল মেদিনীপুরে। এ ক্ষেত্রে ২০০৬ সালের একটি আইন রয়েছে। বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর আদালতে এই সংক্রান্ত শিবির হয়, যার পোশাকি নাম ‘কোর্ট অন প্লি বার্গেনিং’। উপস্থিত ছিলেন মেদিনীপুরের জেলা ও দায়রা বিচারক সমর রায়, সিজেএম কল্লোল দাস, জেলা পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরী, মেদিনীপুর আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর রাজকুমার দাস প্রমুখ। জেলা ও দায়রা বিচারক বলেন, “ফৌজদারি মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্যই এই উদ্যোগ।”
এ দিন সব মিলিয়ে ৮টি মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। যেমন, নারায়ণচন্দ্র মাইতি নামে এক ব্যক্তি পিংলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন, তিনি যখন সাইকেলে করে যাচ্ছিলেন, তখন একটি মোটর বাইক তাঁকে ধাক্কা মারে। বাইকটি চালাচ্ছিলেন দেবাশিষ সাহু নামে এক যুবক। ঘটনাটি চলতি বছরের ৮ এপ্রিলের। এরপর মামলা শুরু করে। মেদিনীপুর আদালতেই এই মামলা চলছিল। এদিন দু’পক্ষের সমঝোতার মাধ্যমে সেই মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। দেবাশিষ আগেই নিজের দোষ স্বীকার করেছিলেন। লিখিত ভাবে জানিয়েছিলেন, তিনি দোষী। তবে ইচ্ছে করে ওই ব্যক্তিকে ধাক্কা মারেননি। এই মামলার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২ বছরের জেল এবং আড়াই হাজার টাকা জরিমানা ধার্য হতে পারত। তবে সমঝোতার মাধ্যমে মামলার নিষ্পত্তি হওয়ায় অভিযুক্ত যুবককে এক ১ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হয়েছে।
দু’পক্ষকে পাশাপাশি বসিয়ে সরকারপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ নাজিম হাবিব নারায়ণচন্দ্রবাবুর কাছে জানতে চান, তিনি এক হাজার টাকা জরিমানা নিয়ে মামলার নিষ্পত্তি করতে ইচ্ছুক কি না। ওই ব্যক্তি জানান, তিনি ইচ্ছুক।
আদালত সূত্রে খবর, ঠিক কী কী ধারায় ফৌজদারি মামলা থাকলে তার এ ভাবে নিষ্পত্তি করা যাবে, তাও ২০০৬ সালের ওই আইনে বলা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে সচেতনতা বাড়াতে জেলার বিভিন্ন এলাকায় শিবির করার পরিকল্পনা রয়েছে। জেলা পুলিশ সুপারের কথায়, “সাধারন মানুষের সচেতনতার জন্য কিছু পদক্ষেপ করা হবে।” |
|
|
|
|
|