নিজস্ব সংবাদদাতা • শ্রীরামপুর |
পরিচারিকা সেজে গৃহস্থের বাড়ি থেকে গয়না চুরির অভিযোগে গ্রেফতার হলেন দুই মহিলা। বুধবার দুপুরে শ্রীরামপুরের ধোবিঘাট থেকে তাঁদের ধরে পুলিশ। ধৃতদের নাম শেফালি মাইতি ওরফে বুচকি এবং দীপা সাউ ওরফে বুড়ি ওরফে মিনু। শেফালির বাড়ি উল্টোডাঙার উজির চৌধুরী রোডের শিতলা মন্দির এলাকায়। দীপা উত্তর ২৪ পরগনারই লেকটাউনের পাতিপুকুর ময়লা বাগানের বাসিন্দা। পুলিশের দাবি, অপকর্মের কথা স্বীকার করেছেন দু’জনেই। এর আগেও একই অভিযোগে ধরা পড়েন ওই দু’জন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাঝবয়সী ওই দুই মহিলা গত ২৬ নভেম্বর বৈদ্যবাটির এনসি মুখার্জি রোডে জনৈক ইন্দ্রজিৎ মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ নেন। ওই দিনই সকালে দু’জনে প্রথমে বাসন মাজেন। তার পরে দোতলায় ওঠেন ঘর পরিষ্কার করতে। ইন্দ্রজিৎবাবুর স্ত্রী সুতপাদেবী নিচে ছিলেন। দোতলায় শোওয়ার ঘরে ছিলেন ইন্দ্রজিৎবাবুর বৃদ্ধা মা। এক মহিলা তাঁকে পাশের ঘরে নিয়ে যান। অন্য জন শুরু করেন ‘হাতসাফাই’। |
পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগে সুতপাদেবী জানিয়েছেন, বাঙ্ক থেকে চাবি পেরে আলমারি খোলেন ওই মহিলা। সেখান থেকে সোনার হার, লকেট, কানের দুল, চুরি, মুক্তোর সেট হাতিয়ে নেন। তার পরে ‘একটা কাজ সেরে আসছি’ বলে বেরিয়ে যান। বলা বাহুল্য, আর আসেননি। দোতলায় গিয়ে গোটা বিষয়টি বুঝতে পারেন সুতপাদেবী। এর পরেই তিনি শেওড়াফুলি ফাঁড়ির ইন-চার্জ দেবাঞ্জন ভট্টাচার্যের দ্বারস্থ হন। লিখিত অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। বুধবার দুপুরে ধোবিঘাটে নৌকোয় উঠতে যাওয়ার সময় পুলিশ তাঁদের ধরে ফেলে। বৃহস্পতিবার ধৃতদের শ্রীরামপুর মহকুমা আদালতের বিচারক এক দিন পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। ধৃতদের জেরা করে খোওয়া যাওয়া গয়না উদ্ধারের চেষ্টা করছে পুলিশ। বছর খানেক আগে শ্রীরামপুরের এনএল গোস্বামী স্ট্রিটে এক আইনজীবীর বাড়ি থেকেও একই কায়দায় ওই দুই মহিলা কয়েক লক্ষ টাকার সোনার গয়না হাতিয়ে নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। চন্দননগর থানাতেও একই অভিযোগ আছে। |