নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ |
দুর্নীতি-সহ নানা অভিযোগে বৃহস্পতিবার দুপুরে সাধারণ সভা থেকে আরামবাগের কেশবপুর কবিকঙ্কন মহাবিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির সভাপতি সিপিএমের অভয়পদ দাসকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (টিএমসিপি) বিরুদ্ধে। অধ্যক্ষের ঘরেই ওই সভার আয়োজন করা হয়। সেই ঘরের দরজাও ভাঙচুর করা হয়েছে। এই ঘটনার জেরে এ দিন সভা পণ্ড হয়ে যায়।
অভিযোগ কার্যত মেনে নিয়ে টিএমসিপি পরিচালিত ওই কলেজের ছাত্র সংসদের সম্পাদক মিলন পোড়েল বলেন, “সভাপতি কলেজের উন্নয়নে উদ্যোগী হচ্ছেন না। তিনি দুর্নীতিতে যুক্ত। নিয়মিত ক্লাস হচ্ছে না। |
পঠনপাঠনের মানও ভাল নয়। এ সবের প্রতিবাদেই আমরা বিক্ষোভ দেখিয়েছি। তাঁর পদত্যাগ দাবি করেছি।” অভয়পদবাবুর পাল্টা অভিযোগ, “টিএমসিপি-র বাধাতেই উন্নয়নের কাজ হচ্ছে না কলেজে।” তাঁর দাবি, “আমার বিরুদ্ধে ওরা দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে। এ দিন বহিরাগতদের নিয়ে টিএমসিপি পরিকল্পিত ভাবে গোলমাল পাকিয়েছে।”
কলেজে বহিরাগতদের উপস্থিতির অভিযোগ অস্বীকার করেনি তৃণমূল। জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা তথা ওই সংগঠনের রাজ্য কমিটির সদস্য মানস মজুমদার-সহ বেশ কয়েক জন ছাত্র-নেতাদের এ দিন ঘটনাস্থলে দেখা গিয়েছে। মানসবাবুর দাবি, “কলেজের ভিতরে ঢুকিনি। কলেজের সার্বিক উন্নয়নে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন ছাত্রেরা। আমরা উন্নয়ন চাই।”
কলেজের অধ্যক্ষ বিপ্রদাস নন্দী বলেন, “কিছু ছাত্র সাধারণ সভা করতে দিলেন না। প্রায় ৫৬ জন আলু চাষির স্বার্থে সভা ডাকা হয়েছিল। আমার অফিসের একটি দরজা ভেঙেছে। সভাপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভে এই কাণ্ড।”
কলেজ সূত্রের খবর, কলেজের একটি জমিতে এক চাষির মিনি ডিপটিউবওয়েল আছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ সেই নলকূপ ব্যবহারে আপত্তি তোলেন। কিন্তু সেচের জন্য এলাকার আলুচাষিরা ওই নলকূপটি ব্যবহারের বন্দোবস্ত করার আর্জি জানিয়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ সেই কারণেই এ দিন সাধারণ সভা ডাকেন। |