|
|
|
|
মিলল চাকরির আশ্বাস |
ধর্ষণকারীদের ফাঁসি চাইলেন সাহসিনী |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
যে ছ’জন তাঁর উপরে পৈশাচিক অত্যাচার চালিয়েছিল, তাদের ফাঁসি চাইলেন দিল্লিতে গণধর্ষণের শিকার হওয়া তরুণী। হাসপাতাল সূত্রের খবর, কথা বলতে না পারলেও আকারে-ইঙ্গিতে এবং লিখে মনের ভাব প্রকাশ করছেন তিনি। আজ একটি প্যাডে তরুণী লিখেছেন, “আমি চাই ধর্ষকদের
ফাঁসি হোক।”
সংবাদমাধ্যমে এই ঘটনাটি নিয়ে যে তোলপাড় হচ্ছে সে কথা জানেন তরুণী। তাই অপরাধীদের মধ্যে কেউ ধরা পড়েছে কি না, তা-ও এ দিন মায়ের কাছে জানতে চেয়েছেন এই সাহসিনী। খোঁজ নিয়েছেন সে দিন সঙ্গে থাকা বন্ধুরও।
গত কালই চিকিৎসকেরা অস্ত্রোপচার করে ওই তরুণীর অন্ত্রের পচে যাওয়া অংশটি শরীর থেকে বাদ দিয়েছিলেন। সফদরগঞ্জ হাসপাতালের সুপার বি ডি আথানি জানিয়েছেন, অন্ত্রে অস্ত্রোপচারের পর ওই তরুণীর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হলেও স্থিতিশীল। দেখা গিয়েছে, তাঁর রক্তে রক্তকণিকার সংখ্যা কিছুটা কম। অনুচক্রিকার সংখ্যাও সামান্য কম। কোনও ভাবে যাতে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে না পারে, সে জন্য প্রথম দিন থেকেই তাঁকে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়েছে। তবে ওই তরুণীর সাহস এবং মনের জোরের প্রশংসাও করেছেন তিনি। আজ আথানি বলেন, “মেয়েটি এখন নিজে থেকেই শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার চেষ্টা করছে। তবে এখনই ভেন্টিলেশন থেকে বার করা হবে না তাঁকে। এ বার তাঁকে স্যালাইন দিয়ে খাওয়ানোর চেষ্টা করব। সদ্য অন্ত্রে অস্ত্রোপচার হয়েছে বলে এখনই তাঁকে মুখ দিয়ে খাওয়ানো সম্ভব নয়।”
চলন্ত বাসে গণধর্ষিতা প্যারামেডিক্যাল ছাত্রীর চিকিৎসার সব খরচ বহন করবে উত্তরপ্রদেশ সরকার আজ এ কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব। পাশাপাশি ওই তরুণী এবং তাঁর পুরুষ বন্ধুটিকে সরকারি চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি। নির্যাতিতা ওই তরুণীর বাড়ি উত্তরপ্রদেশের বালিয়ায়।
এই ঘটনায় ধৃতদের যাতে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয় সে জন্য কেন্দ্র সব ধরনের চেষ্টা করছে বলে আজ জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীলকুমার শিন্দে। আজ তিনি বলেন, “তিন মেয়ের বাবা হিসেবে আমিও চাই দোষীদের কঠিন শাস্তি দেওয়া হোক। আমরা সেই চেষ্টা করছি।” সারা দেশে প্রতিদিনই তো কত ধর্ষণের ঘটনা হয়, সেগুলির মতো কি এই ঘটনাটিও শুধু পরিসংখ্যান হয়ে থেকে যাবে? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে শিন্দে বলেন, “এই ঘটনা কী ভাবে ভুলে যাব? এ সব তো আমার মেয়েদের সঙ্গেও হতে পারত।” গত কাল শিন্দে এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতকে একটি চিঠি লিখে সনিয়া গাঁধী বলেন, প্রায় রোজই এই ধরনের ঘটনা ঘটছে, এটা অত্যন্ত লজ্জার কথা। এর পরেই সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং দিল্লির পুলিশ কমিশনার নীরজ কুমার।
|
শনাক্ত এক অভিযুক্ত |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
গণধর্ষণ-কাণ্ডে অভিযুক্তদের এক জনকে শনাক্ত করলেন ওই তরুণীর পুরুষ সঙ্গীটি। সে দিন তাঁকেও বেধড়ক মারধর করে চলন্ত বাসটি থেকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছিল অভিযুক্তরা। পুলিশ জানিয়েছে, মুকেশকে শনাক্ত করেছেন ২৮ বছরের ওই তরুণ। যে ছ’জন সে দিন ওই বাসে উপস্থিত ছিল, তাদের মধ্যে মুকেশও এক জন। গ্রেফতার হওয়ার পর নিজের দোষ স্বীকার করে পুলিশের কাছে বয়ানও দেয় মুকেশ। ধৃত অন্য অভিযুক্তদের মধ্যে একমাত্র মুকেশই টি আই প্যারেডে যেতে রাজি হয়েছিল। অন্য দুই ধৃত বিনয় শর্মা এবং পবন গুপ্ত ধর্ষণের কথা অস্বীকার করলেও ছেলেটিকে মারধর করার কথা স্বীকার করেছে। তারা এখন চার দিনের পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। মুকেশকে ১৪ দিনের জন্য তিহার জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মুকেশের দাদা এবং ওই বাসটির চালক রাম সিংহকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে টি আই প্যারেডে যেতে চায়নি ওই তিন জনের কেউই। |
|
|
|
|
|