|
|
|
|
নিউ মার্কেট |
পথ জোড়া হকার তুলতে পথ অবরোধে দোকানিরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
হকারদের ‘দৌরাত্ম্যের’ অভিযোগ তুলে পথে নামলেন নিউ মার্কেট চত্বরের স্থায়ী দোকানিরা। বড়দিনের মরসুমে জমজমাট ওই বাজার এলাকায় বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘণ্টা দুই চলল পথ-অবরোধ। পুরসভা ও পুলিশের আশ্বাসে তা উঠলেও দোকানিদের হুঁশিয়ারি তিন দিনে সমস্যা না মিটলে ফের শুরু হবে আন্দোলন।
পুরসভার সদর দফতরের ‘নাকের ডগায়’ হকারদের বিরুদ্ধে এ ধরনের বিক্ষোভের নজির কম। ঘটনার সূত্রপাত ২টো নাগাদ। অবরোধকারীরা জানান, এক বয়স্ক মহিলা গাড়ি নিয়ে যান হগ মার্কেটে। ওই বাজারের সামনে গাড়ি রাখতে গেলে কয়েক জন হকার তাঁকে বাধা দেন বলে অভিযোগ। ক্ষুব্ধ স্থায়ী দোকানিরা খবর দেন থানায়। রাস্তার দখল হটানোর দাবিতে দুপুর আড়াইটে থেকে হগ মার্কেটের সামনে অবরোধ শুরু করেন তাঁরা। তাতে যোগ দেন নিউ মার্কেট চত্বরের বিভিন্ন বাজার, শপিং মল, বড় দোকানের মালিকেরা। |
আপাতত সরে গিয়েছেন হকারেরা। নিউ মার্কেটের সামনে মুক্ত পথ। বৃহস্পতিবার। —নিজস্ব চিত্র |
ব্যবসায়ীদের তরফে অশোককুমার গুপ্ত বলেন, “হগ মার্কেটের মতো বিভিন্ন বাজারের প্রবেশপথ আটকে রাখেন হকারেরা। ক্রেতাদের ঢুকতে অসুবিধা হয়।” ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, হকারেরা রাস্তা জুড়ে বসায় উৎসবের মরসুমে ভিড় সামলাতে নিউ মার্কেট এলাকার কিছু অংশে যান চলাচল বন্ধ থাকে। ফলে অনেক ক্রেতাই সেখানে যেতে চান না। এ সবের সুরাহা চেয়ে এ দিন পুরসভায় গিয়ে মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার, পুর-কমিশনার খলিল আহমেদের সঙ্গে দেখা করেন ওই দোকানিরা। পুরসভা সূত্রে খবর, এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস পেয়ে অবরোধ তোলেন ব্যবসায়ীরা।
তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মানতে চাননি ওই চত্বরের হকারেরা। তাঁদের বক্তব্য, তাঁরা কখনওই গাড়ি চলাচল বা পার্কিং-এ বাধা দেন না। এ দিনের ঘটনার পর নিউ মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, হগ মার্কেটের সামনে রাস্তার একাংশ থেকে জিনিস সরিয়ে এক পাশে রেখেছেন হকারেরা।
রাজ্যের উচ্চপর্যায়ের কমিটির নির্ধারিত হকার-নীতি অনুযায়ী ফুটপাথের নির্দিষ্ট অংশে বসতে পারেন হকারেরা। কিন্তু তাতে যেন পথচারীদের সমস্যা না-হয়। মেয়র পারিষদদের বক্তব্য, ফুটপাথ বা স্থায়ী দোকানের সামনে এ ভাবে জায়গা জুড়ে বসা বেআইনি। তবে সমস্যা মেটানোর দায় পুলিশের ঘাড়ে চাপিয়েছেন তাঁরা।
পুলিশের ডিসি (সেন্ট্রাল) ডি পি সিংহ বলেন, “আজকের ঘটনা নিয়ে অভিযোগ পাইনি। তবে বেআইনি হকারদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।” পুলিশকর্তাদের একাংশের বক্তব্য, হকারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার দায়িত্ব শুধু পুলিশের নয়। তাঁদের জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত হলে সেগুলি রাখার ব্যবস্থা করতে হবে পুরসভাকেই। পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন অবরোধ হওয়া রাস্তার অংশটিতে সাধারণত বেশি গাড়ি চলে না। নিউ মার্কেটে কেনাকাটা করতে যাওয়া লোকজনই গাড়ি নিয়ে ঢোকেন। তাই অবরোধে সংলগ্ন অন্য রাস্তাগুলির যান চলাচলে তেমন প্রভাব পড়েনি। |
|
|
|
|
|