নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর ও বর্ধমান |
ঘন কুয়াশার জন্য কয়েক মিটার দূরত্বে থাকা কিছুই নজরে পড়ে না। গত কয়েক দিন ধরেই সকালে এমন পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকালে এরই জেরে ঘটে গেল বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা।
২ নম্বর জাতীয় সড়কের বিরুডিহা থেকে পানাগড় রোড ওভারব্রিজ, কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে তিনটি দুর্ঘটনায় জখম হয়েছেন প্রায় ৩৫ জন। মৃত্যু হয়েছে এক ট্রাক চালকের। কোথাও বাস গিয়ে ধাক্কা মারল লরির পিছনে। কোথাও আবার ট্রাক্টর ও লরির মুখোমুখি সংঘর্ষ হল। জখমদের কাঁকসা ব্লক প্রাথমিক হাসপাতাল ও দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। দু’জনকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে এক ট্রাক চালকের মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে প্রথম দুর্ঘটনাটি ঘটে জাতীয় সড়কে বিরুডিহার কাছে। |
উল্টে গেল লরি। —নিজস্ব চিত্র। |
আসানসোল থেকে সালারগামী একটি যাত্রিবাহী বাস সামনের একটি লরিতে গিয়ে ধাক্কা মারে। জখম হন কুড়ি জন। আশপাশের মানুষজন তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। কিছু ক্ষণের মধ্যে দ্বিতীয় দুর্ঘটনাটি ঘটে কয়েক কিলোমিটার দূরেই। পানাগড় এয়ারবেসের গেটের কাছাকাছি এলাকায় বাঁকুড়া থেকে নবদ্বীপগামী একটি যাত্রিবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি লরির পিছনে গিয়ে ধাক্কা মারে। এই ঘটনায় জখম হন ১৩ জন।
তৃতীয় দুর্ঘটনাটি ঘটে পানাগড়ে জি টি রোডের উপরে সেচখালের সেতুর কাছে। কলকাতা থেকে রানিগঞ্জে রড নিয়ে যাচ্ছিল একটি ট্রাক। সেতুর কাছে দাঁড়িয়ে থাকা অন্য একটি ট্রাককে ধাক্কা মারে সেটি। রড বোঝাই ট্রাকের চালক গুরুতর জখম হন। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে জানান। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম ভিখারি লাল (৩৪)। বাড়ি উত্তরপ্রদেশে। বুধবার রাতে বাঁকুড়ার দিক থেকে দুর্গাপুরে আসা একটি সিমেন্ট বোঝাই লরি সেতুর রেলিং ভেঙে তামলা ক্যানালে পড়ে যায়। দুর্গাপুর ব্যারাজ লাগোয়া এলাকার এই ঘটনায় অবশ্য কেউ হতাহত হননি।
গাড়ির চালকেরা জানান, জাতীয় সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময়ে দুর্ঘটনা এড়াতে অনেক বেলা পর্যন্তও অনেক গাড়ি আলো জ্বালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ঘন কুয়াশার জন্য সামান্য দূর থেকেও তা নজরে পড়ছে না। সামনে চলে আসা গাড়ি দৃশ্যমান হচ্ছে একেবারে শেষ মুহূর্তে। সে কারণেই এমন সব দুর্ঘটনা ঘটছে। |