কোচবিহারের ২৬টি প্রাথমিক স্কুলকে ‘নির্মল বিদ্যালয়’ পুরস্কার দিল জেলা সর্বশিক্ষা মিশন। মঙ্গলবার রবীন্দ্র ভবনে সংশ্লিষ্ট স্কুলকর্তাদের পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীর হাতে ওই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক মোহন গাঁধী, অতিরিক্ত জেলাশাসক সুদীপ মিত্র, সর্বশিক্ষা মিশনের জেলা আধিকারিক আমিনুল আহসান প্রমুখ। জেলাশাসক বলেন, “পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যবিধান, মিড-ডে মিল ব্যবস্থা, স্কুলের পরিবেশ-সহ বেশ কিছু বিষয়ের মূল্যায়নের পরে স্কুলগুলিকে বেছে নেওয়া হয়।” সর্বশিক্ষা মিশন সূত্রে জানা যায়, গত ৭-১৩ এপ্রিল জেলা জুড়ে নির্মল বিদ্যালয় সপ্তাহ পালন করা হয়। সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে খাবার অভ্যাস গড়া, পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখা, শৌচাগার ব্যবহারের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো-সহ স্বাস্থ্য বিধানের নানা বিষয়ের উপরে গুরুত্ব দেওয়া হয়। প্রতিটি স্কুলে শিশু সংসদ গঠন করে খুদেদের মধ্য থেকে প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, ক্রীড়ামন্ত্রী গঠন করে দায়িত্ব বুঝিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর উপরেও জোর দেওয়া হয়। সার্কেলের আধিকারিকরা নির্দিষ্ট দায়িত্ব পালন করে এলাকাগত ভাবে একটি করে স্কুলের নাম নির্মল বিদ্যালয়ের জন্য চূড়ান্ত করেন।
|
চারটি রাস্তার শিলান্যাস করলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। মালদহের রতুয়া ও চাঁচলে ওই চারটি রাস্তা তৈরি হবে। এর মধ্যে ৩টি পিচের ও ১টি রাস্তা হবে কংক্রিটের। সোমবার সন্ধ্যায় ও মঙ্গলবার দুপুরে ওই রাস্তা চারটির শিলান্যাস হয়। সঙ্গে ছিলেন নারী ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র। অনুষ্ঠানে এসে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী বলেন, “এই এলাকায় আমাদের কোনও সাংসদ, বিধায়ক নেই। গ্রাম পঞ্চায়েতেও তৃণমূল ক্ষমতায় নেই। কিন্তু এখানে মানুষ তো রয়েছেন। তাঁদের কথা ভেবেই রাস্তাগুলি তৈরির কথা ভাবা হয়েছে।” যে চারটি রাস্তার শিলান্যাস করা হয় তার মধ্যে রয়েছে চাঁচল-২-এর অনুপনগর থেকে সোনা রায় পর্যন্ত সাড়ে ৪ কিমি রাস্তা। বরাদ্দ ১ কোটি টাকা। রতুয়ার ভগবানপুর থেকে আন্ধারু আড়াই কিমি রাস্তা কংক্রিট দিয়ে তৈরির জন্য বরাদ্দ ১ কোটি ৬ লক্ষ টাকা। রতুয়ার পরাণপুর কালীতলা থেকে গৌরীপুর ১১ কিমি রাস্তায় বরাদ্দের পরিমাণ ৫ কোটি ৬ লক্ষ এবং রতুয়া থেকে গোরক্ষা ৭ কিমি রাস্তার জন্য বরাদ্দ ২ কোটি ১২ লক্ষ টাকা। প্রথম দু’টি সোমবার সন্ধ্যায় ও দ্বিতীয় দু’টির শিলান্যাস করা হয় মঙ্গলবার দুপুরে।
|
মঙ্গলবার মালদহ জেলা পরিষদে সভাধিপতির দফতরে বসে সাংসদ অভিযোগ করেন, “জেলায় স্পেশাল বিআরজিএফ প্রকল্পে যে ১০টি রাস্তার কাজের সূচনা হচ্ছে। সেই রাস্তার ১০০ শতাংশ টাকা কেন্দ্র সরকারের। অথচ স্থানীয় সাংসদের সেই রাস্তার কাজের সূচনা অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। সরকারি অনুষ্ঠানকে নিয়ে তৃণমূল রাজনীতি করছে বলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে নালিশ করব।” মৌসম জানিয়েছেন, তাঁরা আন্দোলন করে রাস্তার জন্য বরাদ্দ কেন্দ্রের থেকে আদায় করেছেন।
পিছিয়ে পড়া এলাকার জন্য বরাদ্দ টাকায় ১০টি রাস্তার শিলান্যাসের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ না-পেয়ে এ বার ক্ষোভ প্রকাশ করলেন সাংসদ তথা প্রদেশ যুব কংগ্রেস সভানেত্রী মৌসম বেনজির নূর।
|
বাস-অটোর সংঘর্ষে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার রাতে পরাণপুরে দুর্ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানায়, মৃতদের নাম প্রতাপ হালদার (২২) ও রবিন মোহান্ত (৩০)। |