পাহাড়ে শান্তির লক্ষ্যে গোর্খা আঞ্চলিক প্রশাসনকে (জিটিএ) আরও সময় দেওয়ার পক্ষপাতী সিপিএম। স্বশাসনের প্রশ্নে জিটিএ-র বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা আছে বলে মনে করলেও তাদের হাতে প্রতিশ্রুত ক্ষমতা হস্তান্তর দ্রুত হয়ে যাওয়া উচিত বলে মনে করছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল।
সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য, উত্তরবঙ্গের নেতা অশোক ভট্টাচার্যের কথায়, “ষষ্ঠ তফসিলে গেলে জিটিএ-র হাতে আইন প্রণয়নের ক্ষমতা থাকত। কিন্তু এখন জিটিএ-র এই রকম কোনও এক্তিয়ার নেই। সংরক্ষণের প্রশ্নও সেখানে উপেক্ষিত হয়েছে। তবে দার্জিলিঙের লোক শান্তি চায়। আমরা জিটিএ-র বিরোধিতা করছি না। তাদের ন্যায্য সুযোগ দেওয়া হোক। যে সব প্রশাসনিক বিভাগ ওদের হাতে দেওয়ার কথা, সেগুলো দ্রুত হস্তান্তর করা হোক।” পাহাড়ে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি নেওয়ার পরিস্থিতি নেই বলে জানিয়েও জিটিএ-কে সময় দেওয়ার কথা বলেছেন অশোকবাবু। দার্জিলিঙের আন্দোলন নিয়ে বিভিন্ন সময়ে প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোকবাবুর বিভিন্ন লেখার সংকলন ‘গোর্খাল্যান্ড আন্দোলন ও পরিচিতি সত্তার প্রশ্ন’ মঙ্গলবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশ করেন বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। বইটি প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই অশোকবাবুর বক্তব্য, “পরিচিতি সত্তার আন্দোলনে যে গণতান্ত্রিক উপাদান আছে, সেগুলি নিয়ে শ্রেণি আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে।” সূর্যবাবু বলেন, “এখন পাহাড়ের সঙ্গে ডুয়ার্স এবং সংশ্লিষ্ট নানা এলাকায় বিভাজন তৈরি
করা হচ্ছে। এটা সকলের সমস্যা। এই গোটা বিষয়টাকে কী ভাবে দেখা যেতে পারে, তার একটা দিক নির্দেশিকা বইয়ের মধ্যে আছে।” বিরোধী দলনেতার মতে, আটের দশকে পাহাড়ের আন্দোলন হয়েছিল পৃথক রাজ্যের দাবিতে। পরে বাম আমলে শান্তি চুক্তি হয়েছিল এটা ধরে নিয়েই যে, আলাদা রাজ্য হবে না। পাহাড়ে সাম্প্রতিক কালে যা সমস্যা হয়েছে, তার ধরন আগের চেয়ে আলাদা বলে সূর্যবাবুর বিশ্লেষণ। বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের রাজ্য কমিটির আরও দুই সদস্য আনিসুর রহমান ও জীবেশ সরকার। |