সইসাবুদ করানোর ৩ মাস পরেও প্রায় হাজার ইন্দিরা আবাস প্রাপককে বরাদ্দ না-দেওয়ার ঘটনা নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠল ফালাকাটা বিডিও অফিস চত্বর। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে। ওই এলাকায় তৃণমূল ও কংগ্রেসের দখলে থাকা ময়রাডাঙা পঞ্চায়েতের প্রধান প্রসন্ন রায় ও উপ-প্রধান কার্তিক ঘোষ অভিযোগ করেছেন, তিন মাস আগে তৎকালীন বিডিও সুশান্ত মণ্ডল তাঁদের এলাকায় গিয়ে ৯৮০ জনকে ইন্দিরা আবাসের টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান। সেই মতো তালিকা তৈরি করে নিয়ে যান বিডিও। এখনও সেই টাকা দিতে টালবাহানা করছেন বর্তমান বিডিও। শুধু তা-ই নয়, বিডিও-র কাছে দাবি জানাতে গেলে তিনি উপপ্রধানকে ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়ায় উত্তেজনা চরমে ওঠে। ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা প্রায় তিন ঘণ্টা বিডিওকে ঘেরাও করে রাখেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। পরে অবশ্য টাকা বরাদ্দের সিদ্ধান্ত হওয়ায় অবস্থা স্বাভাবিক হয়। |
বিডিও অফিস সূত্রে খবর, গত সেপ্টেম্বরে ৯৮০ জনের ইন্দিরা আবাস যোজনার টাকা দেওয়ার জন্য বরাদ্দ মিললেও পুজো-সহ নানা কারণে তা থমকে যায়। বিডিও কৃষ্ণকান্ত ঘোষ জানান, ময়রাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৩২ জন আবেদনকারীর অ্যাকাউন্টে ৫৮ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। জেলা পরিষদ থেকে টাকা এলে বাকিদের তা মিটিয়ে দেবার আশ্বাস দেন বিডিও। ময়রাডাঙার প্রধান ও উপ প্রধানের অভিযোগ, টাকা পেতে দেরি হল কেন তা নিয়ে তদন্ত হওয়া দরকার।
এই ব্যাপারে ফালাকাটার তৃণমূল বিধায়ক অনিল অধিকারী বলেছেন, “আগের বিডিও বলেছিলেন টাকা আছে। সে জন্য অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। নতুন বিডিও টাকা নেই বলেছিলেন কেন সেটাও দেখা দরকার।”
তৎকালীন বিডিও সুশান্ত মণ্ডল বর্তমানে বর্ধমানের মঙ্গলকোট ব্লকের দায়িত্বে। সুশান্তবাবু বলেন, “বদলির আগে প্রায় ৫ কোটি টাকা ইন্দিরা আবাসের জন্য রাখা ছিল। টাকার সংস্থানের পরে মাস্টার রোলে সইও করিয়েছিলাম। এখন কী অবস্থায় আছে তা জানি না।” আলিপুরদুয়ার মহকুমা শাসক অমলকান্তি রায় জানান, তিনি ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন।
ময়রাডাঙার উপপ্রধান কার্তিক ঘোষ বলেন, “টাকা পেতে দেরি হচ্ছে কেন, সেই প্রশ্নে মানুষ আমাদের দোষারোপ করছেন। বিডিও নির্বিকার। আলোচনা করতে গিয়ে আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে। এটা মানব না।’’ বিডিও জানান, তিনি কোনও দুর্ব্যবহার করেননি। ঘরে ভিড় হওয়ায় কয়েক জনকে বাইরে যাওয়ার কথা বলেছিলেন বলে স্বীকার করেছেন বিডিও। |