তৃতীয় বিকল্প হোক, বার্তা রেজ্জাকের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে সংবিধান সংশোধনের দাবি তুললেন। আবার সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর কাছে গিয়ে রাজ্যে তৃতীয় বিকল্প গড়ে তুলতে উৎসাহ দিয়ে এলেন। এক সন্ধ্যায় জোড়া কর্মকাণ্ডে ফের বিতর্কে আব্দুর রেজ্জাক মোল্লা!
মাত্র ২৪ ঘণ্টা আগেই রাজ্য কমিটির বৈঠকে নাম না-করে রেজ্জাককে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু। পরের দিনই রেজ্জাক বুঝিয়ে দিলেন, তিনি বেপরোয়া! আলিমুদ্দিনে মঙ্গলবার রাজ্য কমিটির বর্ধিত বৈঠকের দিকে পা-ই দেননি! পরিবর্তে একটি নাগরিক অধিকার সংগঠনের আলোচনাচক্রে গিয়ে সওয়াল করে এসেছেন সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষণের বন্দোবস্ত করতে সংবিধান সংশোধনের জন্য! সিদ্দিকুল্লার সঙ্গে বৈঠকে বলে এসেছেন, বামফ্রন্ট এবং তৃণমূল, এই দুই শক্তিকেই পরখ করে নিয়ে রাজ্যের মানুষ তিতিবিরক্ত। তাঁরা এখন তৃতীয় বিকল্প খুঁজছেন। সিদ্দিকুল্লারা সেই কাজ আন্তরিক ভাবে করতে পারলে তিনি সঙ্গে আছেন! |
সিপিএমের একাংশের মতে, প্রতি পদক্ষেপে রেজ্জাক আলিমুদ্দিনকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছেন, পারলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক দল! আবার দলেরই অন্য অংশের ব্যাখ্যা, বিমানবাবুর হাত মাথায় নিয়েই তিনি ময়দানে নেমেছেন কৌশলে তৃণমূল নেত্রীর মুসলিম ভোটব্যাঙ্কে ভাঙন ধরানোর জন্য। নইলে যে সব কাজ করে সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য রেজ্জাক ছাড় পেয়ে যাচ্ছেন, রাজ্য নেতৃত্বের নীরব প্রশ্রয় ছাড়া তা সম্ভব নয় বলে ওই অংশের মত।
নাগরিক অধিকার সংগঠনের আলোচনাচক্রে এ দিন রেজ্জাক বলেছেন, সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষণের স্বার্থে সংবিধান সংশোধন করতে হবে। ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণের ব্যবস্থা তো সংবিধানে নেই? রেজ্জাকের মতে, “স্বাধীনতার পরে এত কিছুর জন্য এত বার যদি সংবিধান সংশোধন হতে পারে, ধর্মের জন্য হতে পারে না?” এর পরেই পার্ক সার্কাসে ইউডিএফের সহ-সভাপতি জামিরুল হাসানের বাড়িতে গিয়ে সিদ্দিকুল্লার সঙ্গে আলোচনায় বসেন প্রবীণ সিপিএম বিধায়ক। কিছু দিন আগে সিদ্দিকুল্লা হজ-ফেরত রেজ্জাকের ক্যানিংয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন।
সিদ্দিকুল্লার দাবি, “নন্দীগ্রামে আমাদের আন্দোলনের ফল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তুলেছেন বলে রেজ্জাক বলেছেন। আদিবাসী এবং সংখ্যালঘুদের দাবি নিয়ে আন্দোলনের কথা
বলেছেন। বলেছেন তৃতীয় বিকল্পের কথাও।” তাঁরা তৃতীয় বিকল্প গড়লে রেজ্জাক কি পাশে থাকবেন? সিদ্দিকুল্লার কথায়, “উনি বলেছেন, দলের পতাকা নিয়ে বিধানসভায় গিয়েছেন। আজকাল দমবন্ধ লাগে! তবে দলের রীতি-নীতির বাইরে যেতে পারবেন না। আমরা ভাল ভাবে কাজ করলে সঙ্গে থাকবেন।” |