মাসখানেক পার হলেও মুর্শিদাবাদ জেলার পরিবহন দফতর রাজ্য সরকার নির্ধারিত সংশোধিত ভাড়া তালিকা প্রকাশ করতে পারল না। এর জেরে বাস ভাড়া নিয়ে ছড়িয়েছে জেলা জুড়ে। অভিযোগ, কনডাক্টরেরা নিজেদের মর্জিমাফিক ভাড়া নিয়ে চলেছেন। কোনও কোনও বাস ২০০৮ সালে ভাড়া তালিকা অনুযায়ী ভাড়া নিচ্ছে। আবার অনেক কনডাক্টর তাঁদের ইচ্ছামত ভাড়া আদায় করছেন। ফলশ্রুতিতে সাধারণযাত্রী ও বাসকর্মীদের মধ্যে বচসা নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কান্দি মহকুমা শহর থেকে জেলা সদর বহরমপুরের দূরত্ব ৩০ কিলোমিটার। ২০০৮ সালের ভাড়া তালিকা অনুযায়ী ওই রুটে লোকাল বাসের ভাড়া ১৫ টাকা ৭০ পয়সা ও এক্সপ্রেস বাসের ভাড়া ১৭ টাকা ৫০ পয়সা। কিন্তু অনেক কনডাক্টর এই পুরোনো ভাড়া তালিকার তোয়াক্কা না করে বেশি ভাড়া নিচ্ছেন। কিছু বাসকর্মী ওই রুটে সরকার সংশোধিত ভাড়া তালিকা মত লোকাল বাসের ক্ষেত্রে ১৮ টাকা নিচ্ছেন। আবার অনেক এক্সপ্রেস বাসের কনডাক্টর সেংশাধিত ভাড়া তালিকা অনুযায়ী ২০ টাকা নিচ্ছেন। এতেই বিপত্তি বাঁধছে। কারণ বাসকর্মীরা নতুন ভাড়া তালিকা দেখাতে পারছেন না। অথচ বেশি ভাড়া গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের। কান্দি মহকুমা নিত্যযাত্রী সংগঠনের সম্পাদক তপন পাত্র বলেন, “বাসকর্মীরা যে যার ইচ্ছামত ভাড়া আদায় করছেন। তাঁদের হাতে কোনও ভাড়া তালিকা নেই। এতেই বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।” জেলার আঞ্চলিক পরিবহন সংস্থা এখনও রাজ্য সরকার প্রণীত সংশোধিত ভাড়া তালিকা প্রকাশ করতে না পারার জন্যই এই অশান্তি লেগেই রয়েছে বলে দাবি তপনবাবুর। অভিযোগ স্বীকার করে কান্দি মহকুমা বাস সিন্ডিকেটের সম্পাদক সন্দীপ চক্রবর্তী বলেন, “চার বছর আগের ভাড়া তালিকা অনুযায়ী ভাড়া নিতে বলা হয়েছে বাসকর্মীদের। কিন্তু অভিযোগ পাচ্ছি কিছু কিছু ক্ষেত্রে কনডাক্টরেরা নিজের মনগড়া ভাড়া নিয়ে চলেছেন। তবে সংশোধিত ভাড়া তালিকা না পাওয়ায় আমরাও সমস্যার মুখে। পরিবহন শিল্পে লালবাতি জ্বলার উপক্রম।” মুর্শিদাবাদ জেলার আঞ্চলিক পরিবহন দফতরের অধিকর্তা ইন্দ্রনীল বসুর সাফাই, “শ্রীঘ্রই আমরা নতুন ভাড়া তালিকা প্রকাশ করব। চলছে সেই কাজ।” কিন্তু এত দেরি কেন? নিরুত্তর অর্ধিকর্তা। |