|
|
|
|
ধান কেনা দেখতে আজ খাদ্যমন্ত্রী জঙ্গলমহলে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
জঙ্গলমহল সফরে আসছেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। মঙ্গলবার রাতেই মেদিনীপুরে পৌঁছবেন তিনি। সার্কিট হাউসে রাত কাটিয়ে বুধবার সকালে যাবেন বেলপাহাড়ি। ঘুরে দেখবেন অনাহারের গ্রাম আমলাশোল। তারপর বেলপাহাড়ি ও দহিজুড়িতে ধান কেনার শিবিরে উপস্থিত থাকবেন। সেখান থেকে ফিরে মেদিনীপুরে সার্কিট হাউসে প্রশাসনিক কর্তাদের নিয়ে বৈঠক করবেন খাদ্যমন্ত্রী। জেলাশাসক সুরেন্দ্র গুপ্ত বলেন, “মন্ত্রী নিজে ধান কেনার শিবিরে উপস্থিত থাকতে জেলায় আসছেন। যাতে ধান কেনার কাজ দ্রুত গতিতে হয়, এক জন চাষিকেও অভাবী বিক্রি করতে না হয় ও গণবণ্টন ব্যবস্থা সচল থাকে, তা নিশ্চিত করতে বৈঠক করবেন মন্ত্রী।”
গত ২ ডিসেম্বর শালবনির পিরাকাটায় ধান কেনার শিবিরে উপস্থিত ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী। সে দিন তিনি ঘোষণা করেছিলেন, প্রত্যেক চাষির কাছ থেকে সহায়ক মূল্যে ধান কিনবে সরকার। সেই মতো জেলার বিভিন্ন জায়গায় শিবির করে ধান কেনা শুরুও হয়। কিন্তু কিছু দিনের মধ্যেই দেখা দেয় সঙ্কট। রাজ্য সরকার নির্দেশ দিয়েছিল ধান কিনে চালগুলিকে এফসিআইয়ের গুদামে রাখতে হবে। কিন্তু দুই মেদিনীপুরে এফসিআইয়ের গুদাম ফাঁকা ছিল না। তা ছাড়া, এফসিআই সিদ্ধান্ত নেয় গুদাম থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরের চালকল থেকে তারা চাল নেবে না। পরিবহণ খরচের জন্যই এই সিদ্ধান্ত। এর ফলে, বহু চালকলই ধান কেনা বন্ধ করে দেয়। সমস্যায় পড়েন চাষিরা। সমস্যা সমাধানে রাজ্য সরকারের তহবিল থেকে সরাসরি ধান কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে জেলাশাসকের বক্তব্য, “এফসিআইকে চাল দেওয়ার পাশাপাশি সরাসরি রাজ্য সরকারি তহবিল থেকেও ধান কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চাষিদের কাছ থেকে সহায়ক মূল্যে ধান কেনা ও গণবণ্টন ব্যবস্থাকে সচল রাখতেই এই সিদ্ধান্ত।”
গত ৫ সপ্তাহ ধরে পশ্চিম মেদিনীপুর জুড়েই রেশনে চালের সঙ্কট চলছে। পর্যাপ্ত চালের জোগান না থাকায় জঙ্গলমহলের দরিদ্র বাসিন্দাদের বাড়তি বরাদ্দ দেওয়া যায়নি। ইউনিট পিছু দুই কেজি চালের পরিবর্তে এক কেজি চাল দিয়ে কোনও রকমে রেশন ব্যবস্থা চালু রেখেছে প্রশাসন। তবে সরকারি তহবিল থেকে ধান কেনা শুরু হলে চালের সঙ্কট মিটবে বলেই আশা করছে প্রশাসন। |
|
|
|
|
|