|
|
|
|
বলছে সমীক্ষা |
ত্রিশঙ্কু হিমাচলে তাস নির্দলরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
গুজরাত যখন নরেন্দ্র মোদীময়, হিমাচলপ্রদেশের হাওয়ায় তখন ত্রিশঙ্কু বিধানসভার ইঙ্গিত। তাই সরকার গড়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়াতে পারেন নির্দল বিধায়করা।
এবিপি নিউজ-এসি নিয়েলসেনের বুথ-ফেরত সমীক্ষা বলছে, হিমাচলে গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ঝুলিতে পড়া ৪১ আসন কমে দাঁড়াতে পারে ৩২-এ। আর কংগ্রেসের গত বারের ২৩ টি আসন বেড়ে হতে পারে সেই ৩২-ই। অন্যদের খাতায় ৪টি আসন। ৬৮ আসনের হিমাচল বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে কোনও দলকে ৩৫ জন বিধায়কের সমর্থন পেতে হবে। সে ক্ষেত্রে বাকি চার বিধায়কের মধ্যে অন্তত তিন জন যাদের সমর্থন করবেন, তারাই সরকার গড়বে।
শাসক দল বিজেপি-র ১৭ জন ও কংগ্রেসের ১০ জন বিদ্রোহী নেতা নির্দল হিসেবে ভোটে দাঁড়িয়েছেন। তাঁদের মধ্যে যাঁরা জিতবেন তাঁরাই তুরুপের তাস হয়ে দাঁড়াতে পারেন বলে ধারণা রাজনীতির কারবারিদের।
প্রকাশ্যে অবশ্য সমীক্ষার ফল সত্যি বলে মানতে চাইছে না কংগ্রেস ও বিজেপি। উভয়েরই দাবি, তারা নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গড়বে। কিন্তু ঘরোয়া আলোচনায় বিজেপি নেতৃত্ব কবুল করছেন, এ বারে সরকার গড়া তাঁদের পক্ষে সহজ হবে না। প্রেমকুমার ধুমল সরকারের দুর্নীতি ও দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে জেরবার রাজ্য নেতৃত্ব। দলের যে সব বিদ্রোহী নেতা নির্দল হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁদের সঙ্গে কথাবার্তা শুরু করেছে বিজেপি। যাতে প্রয়োজনে তাঁদের সমর্থন পাওয়া যায়।
সঙ্কট কম নয় কংগ্রেসেরও। মূল্যবৃদ্ধি, কেন্দ্রের দুর্নীতি নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে প্রচার হয়েছে। হিমাচলের ভোটের ঠিক মুখে রান্নার গ্যাসের ভর্তুকি কমানোর ঘোষণাও বেগ দিয়েছে কংগ্রেসকে। কংগ্রেসের সম্ভাব্য মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী বীরভদ্র সিংহের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দেওয়ায় কিছুটা সুবিধা হয়েছে। আর হিমাচলে বীরভদ্র ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আনন্দ শর্মার বিবাদকেও সুকৌশলে দূরে সরিয়ে রাখতে সমর্থ হয়েছে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। খুচরো ব্যবসায় বিদেশি লগ্নির বিষয়ে শর্মাকে ব্যস্ত রেখে হিমাচলে ঘেঁষতে দেওয়া হয়নি। |
|
|
|
|
|