|
|
|
|
এসটি মর্যাদা না দিলে বাগানে মাওবাদী প্রভাবের আশঙ্কা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
তফসিলভুক্ত উপজাতির মর্যাদা না পাওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসছে অসমের চা-জনজাতি, কোচ-রাজবংশী-সহ উপজাতি গোষ্ঠীগুলি। এর জেরে চা বাগানে আরও বেশি করে ছড়িয়ে পড়তে পারে মাওবাদী প্রভাব। এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার কংগ্রেস বিধায়কদের একাংশ। বিশেষ করে চা-বাগান অঞ্চল থেকে আসা বিধায়করা চা-জনজাতি ও আদিবাসীদের অবিলম্বে তফসিলভুক্ত উপজাতি ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন।
অসমের ছ’টি উপজাতি মটক, মরাণ, চা-জনজাতি, তাই-আহোম, চুটিয়া ও কোচ-রাজবংশীরা দীর্ঘদিন ধরে উপজাতিভুক্ত হওয়ার দাবিতে সরব। বিভিন্ন সময়, নানা দল নির্বাচনের আগে তাদের এ নিয়ে প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে। কিন্তু এখনও অবধি এই ছ’টি জনগোষ্ঠীকে এসটি তালিকার অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। গত সপ্তাহে অগপ সাংসদ কুমার দীপক দাস, এবং জনজাতিদের যৌথ মঞ্চের তরফে বিশ্বজিৎ রায়, বীরেশ্বর শইকিয়া প্রমুখ দিল্লিতে রেজিস্ট্রার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (আরজিআই) সি চন্দ্রমৌলীর সঙ্গে দেখা করেন। চন্দ্রমৌলী তাঁদের জানিয়েছেন, এখন বা ভবিষ্যতেও এই ছয় গোষ্ঠীর এসটি তালিকার অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আরজিআই-এর বক্তব্য, পাঁচবার বিষয়টি নিয়ে সমীক্ষা চালানো হয়েছে। দেখা গিয়েছে তফসিল উপজাতিভুক্ত হওয়ার জন্য যে শর্তগুলি পূরণ করা আবশ্যক, এই ছ’টি জনগোষ্ঠী তা পূরণ করতে পারেনি। চন্দ্রমৌলী প্রতিনিধিদলকে সাফ জানান, অতীতেই এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে। সব জেনেও রাজনৈতিক নেতারা মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঠিক কাজ করেননি।
দিল্লি থেকে ফিরে, ছ’টি জনগোষ্ঠী ‘ঐক্য মঞ্চ’ গড়ে প্রতিবাদ শুরু করেছে। ১৫ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে দিল্লি যাচ্ছেন যৌথ মঞ্চের প্রতিনিধিরা। গুয়াহাটি তথা রাজ্য জুড়ে দফায় দফায় চলছে প্রতিবাদ, অবরোধ, কুশপুতুল দাহ। মঞ্চের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরেও কাজ হয়নি। রাজ্য সরকার আরজিআইকে প্রকৃত তথ্য ও নথি দিতে না পারাতেই ছ’টি গোষ্ঠী এসটি তালিকাভুক্ত হয়নি। চলতি বিধানসভার বাইরেও চলছে বিক্ষোভ। অল আদিবাসী ছাত্র সংস্থার সাধারণ সম্পাদক জোশেফ মিঞ্জ ও উপজাতি দাবি কমিটির সভাপতি কে কে হেমব্রম জানান, উপজাতি মর্যাদা না দিয়ে তাদের উন্নয়নের পথ আটকালে সশস্ত্র সংগ্রাম শুরু হবে।
মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ বলেন, “আমি ব্যক্তিগত ভাবে উপজাতিকরণের পক্ষে। জনগোষ্ঠীগুলির দাবিও আমি সমর্থন করি। কিন্তু এটি কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত। রাজ্য সরকারের তরফে, ওদের উন্নয়নের জন্য ইতিমধ্যেই আমি স্বতন্ত্র উন্নয়ন পরিষদ গড়েছি। তফসিলভুক্ত হলেও ওরা খুব বেশি বাড়তি সুবিধা পাবে না।” মুখ্যমন্ত্রী পাশ কাটাতে চাইলেও, চা বাগান এলাকা থেকে নির্বাচিত কংগ্রেস বিধায়করা উপজাতিকরণের আশ্বাস দিয়েই ভোট-বৈতরণী পার হয়েছেন। তাঁদের দায় ও দায়িত্ব বেশি।
সংসদীয় সচিব রাজু সাহু বলেন, “চা বাগান এলাকার মানুষরা অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছেন। সেই সুযোগেই আদিবাসীদের মধ্যে ক্রমশ মাওবাদী প্রভাব বাড়ছে। |
|
|
|
|
|