|
|
|
|
কোটা বিল নিয়ে ব্যাপক বিক্ষোভ উত্তরপ্রদেশে |
সংবাদসংস্থা • লখনউ |
সরকারি চাকরিতে পদোন্নতি সংরক্ষণ বিল (কোটা বিল) গত কাল রাজ্যসভায় পাশ হওয়ায় এক দিকে উৎসবে মেতেছেন উত্তরপ্রদেশের দলিত, তফসিলি জাতি এবং উপজাতিভূক্তরা। অন্য দিকে, এই বিল পাশের বিরোধিতা করে ধর্মঘট চালিয়ে যাচ্ছেন রাজ্যের অন্য সরকারি কর্মচারীরা। গত ছ’দিন ধরে ধর্মঘট করছেন তাঁরা। লোকসভায় যাতে এই বিলটি পাশ না করানো হয়, সেই দাবিও তুলেছেন তাঁরা।
১৯৯০ এবং ২০০৬-এর পর এই বিলটিকে কেন্দ্র করে আরও এক বার উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে উত্তরপ্রদেশ, এমনটাই আশঙ্কা করছে বিশেষজ্ঞ মহল। গত দু’বারেও পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্য বিশেষ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করাতেই শুরু হয়েছিল অশান্তি। তবে এ বার বিষয়টি আর সংরক্ষণপন্থী এবং সংরক্ষণবিরোধীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। এ বারের ঝামেলা কার্যত রূপ নিয়েছে দলিত বনাম অন্য জাতি, গোষ্ঠীগুলির দ্বন্দ্বে।
আজ বিলটির বিরোধিতা করে উত্তরপ্রদেশে বেশ কয়েক জন কংগ্রেস, বিজেপি এবং বসপা নেতার বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান প্রতিবাদীরা। অভিযোগ, বসপা নেতা লালজি টন্ডনের বাড়িতে কালো রং ছিটিয়ে দেন তাঁরা। |
|
কোটা বিলের বিরোধী রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের গোলাপ ফুল
দিচ্ছেন
কংগ্রেস কর্মীরা। মঙ্গলবার দেরাদুনে। ছবি: পিটিআই |
নিজেদের অফিসের সামনে থেকে মিছিল করে বিক্ষুব্ধ সরকারি কর্মচারীরা একটি ‘বিরোধ সভা’ করেন। রাজ্যসভায় যে দিন ওই বিলটি পাশ হয়েছে সেই দিনটিকে ‘কালো দিবস’ হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্তও গ্রহণ করা হয়েছে। ওই সভায় প্রতিবাদী সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন ‘সর্বজন হিতায় সংরক্ষণ সমিতি’র সভাপতি শৈলেন্দ্র দুবে বলেন, “এই বিলটি দেশের পক্ষে ক্ষতিকর। প্রায় ১৮ লক্ষ কর্মচারী ধর্মঘটে সামিল হয়েছেন। যত দিন না আমাদের দাবি পূরণ করা হবে তত দিন ধর্মঘট চলবে।” তবে অফিসে নিয়মিত হাজিরা দিয়ে যাচ্ছেন কোটা বিলের আওতায় আসা সুবিধাপ্রাপ্তরা। তাঁদের সংগঠন ‘আরক্ষণ বাঁচাও সংঘর্ষ সমিতি’ জানিয়েছে, ধর্মঘটের ফলে কাজে যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সে জন্য প্রতি দিন অতিরিক্ত সময় কাজ করছেন তাঁরা।
সরকারি চাকরির পদোন্নতিতে সংরক্ষণ বিলকে বিজেপি সমর্থন করলেও এনডিএ-র জোট শরিক শিবসেনা এই বিলটির বিরোধিতা করেছে। বিজেপি-র মুখপাত্র রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, “সংরক্ষণের বিষয়টি নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। অনেকেই নিজেদের মত প্রকাশ করেছেন।” তবে বিজেপি-র হস্তক্ষেপেই ওই বিলের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সংবিধান সংশোধন করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। |
|
|
|
|
|