তিলজলার ঘিঞ্জি এলাকায় অগ্নিকাণ্ড এখন কার্যত নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর প্রতি বারই ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে দমকল ও পুর-কর্তৃপক্ষ দাবি করেন, ঘিঞ্জি এলাকায় আর কোনও কারখানা বা গুদাম থাকতে পারবে না। কিন্তু সে সবই যে স্রেফ কথার কথা, আরও এক বার তার প্রমাণ মিলল মঙ্গলবার।
এ দিন দুপুরে তিলজলা রোড এলাকার একটি ঘিঞ্জি গলির ভিতরে বৈদ্যুতিন সরঞ্জামের গুদামে অগ্নিকাণ্ড ফের প্রমাণ করে দিল তিলজলা আছে তিলজলাতেই। প্রশাসনের তরফে কারখানা, গুদাম চলতে না দেওয়ার কথা বলা হলেও আদপে কিছুই হয়নি। উল্টে কারখানা ও গুদামগুলিতে অগ্নি-বিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মজুত করা থাকছে বিভিন্ন দাহ্য পদার্থ, এমনকী গ্যাস সিলিন্ডারও।
এ বিষয়ে দমকলমন্ত্রী জাভেদ খান সাফ বলেছেন, “কে কী নির্দেশ দিয়েছে, জানি না। তবে দেড় বছরে এত দিনের পুরনো কলকাতার ঘিঞ্জি এলাকা থেকে সব কারখানা, গুদাম সরিয়ে দেওয়া কখনওই সম্ভব নয়।”
পুলিশ ও দমকল সূত্রে খবর, ৬৮ নম্বর তিলজলা রোডের ওই গুদামটিতে ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিনের মতো বিভিন্ন ধরনের বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম ঠাসা ছিল। সঙ্গে ছিল কয়েকটি গ্যাস সিলিন্ডারও। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, দুপুর পৌনে ২টো নাগাদ আচমকা বন্ধ ওই গুদাম থেকে গলগল করে ধোঁয়া বেরোতে থাকে। গুদামের জানালা ভেঙে তাঁরা দেখেন, ভিতরে আগুন জ্বলছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় দমকলের আটটি ইঞ্জিন। চার ঘণ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ঘটনাস্থলে যান দমকল ও পুলিশের কর্তারা। দমকলের ডিভিশনাল অফিসার অমরেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা ঠিক সময়ে পৌঁছনোয় বড় বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া গিয়েছে। কী ভাবে আগুন লাগল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” |