চিত্তরঞ্জনে শুরু হল বইমেলা। চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার পৃষ্টপোষকতা ও স্থানীয় সাংস্কৃতিক মঞ্চ বাসন্তী ইনস্টিটিটিউটের উদ্যোগে আয়োজিত এই ২৭তম বইমেলার উদ্বোধন হয়েছে ১৫ ডিসেম্বর। মেলার উদ্বোধন করেন চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার জেনারেল ম্যানেজার রাধেশ্যাম। মেলা চলবে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
প্রতিবারের মতো এ বারও বইমেলার মাঠে বইপ্রেমীদের ভিড়। প্রায় ৫২টি বইয়ের স্টল রয়েছে। সঙ্গে একাধিক খাবার ও হস্তশিল্পের স্টল। মেলার অন্যতম উদ্যোক্তা তথা বাসন্তী ইনস্টিটিউটের সম্পাদক অভিজিৎ সেন জানান, গত বার প্রায় ৯ লক্ষ টাকার বই বিক্রি হয়েছিল। এ বার বই বিক্রির লক্ষমাত্রা ১০ লক্ষ টাকা স্থির করা হয়েছে। |
বইয়ের পসরা। নিজস্ব চিত্র। |
নতুন প্রজন্মকে বইমুখী করতে এ বার আয়োজকেরা চিত্তরঞ্জন-সহ আশপাশের এলাকার স্কুলগুলির প্রায় ১০ হাজার ছাত্রছাত্রীকে বিনামূল্যে মেলার মাঠে ঢোকার প্রবেশপত্র দিয়েছেন।
বিবেকানন্দের জন্ম সার্ধশতবর্ষকে মনে রেখে এ বার মেলায় ঢোকার মূল তোরণটিকে বেলুড়ের আদলে তৈরি করা হয়েছে। মাঠের কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থিত মঞ্চটি সদ্য প্রয়াত কবি সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, সাহিত্যিক সুকুমার রায়, গণসঙ্গীত শিল্পী হেমাঙ্গ বিশ্বাস ও স্থানীয় কবি অরুণকুমার চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা, গল্প ও গানের কথা দিয়ে সাজিয়েছেন। সোমবার এই মঞ্চে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের সাহিত্য জীবন নিয়ে আলোচনার আসর বসে। পরে হেমাঙ্গ বিশ্বাসের সাহিত্য জীবন সর্ম্পকিত একটি তথ্যচিত্র দেখানো হয়। মেলার শেষ দিন পর্যন্ত এই মঞ্চে বিভিন্ন আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন হবে। এ বারের বইমেলাটি হচ্ছে বাসন্তী ইন্সটিটিউটের প্রাক্তন সম্পাদক নির্মলকুমার ঘোষের স্মরণে। |