মালদহ মেডিক্যাল কলেজে চরম রক্তের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এতে জেলার একমাত্র ব্লাডব্যঙ্কে রক্তের সঙ্কট দেখা দেওয়ায় সাধারণ অস্ত্রোপচার থেকে দুর্ঘটনাগ্রস্থ ব্যক্তি অথবা থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের রক্ত জোগাড় করতে হিমসিম খেতে হচ্ছে রোগীর পরিবারকে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, বর্তমানে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে প্রতিদিন গড়ে ৬০-৭০ ইউনিট প্রয়োজন। রবিবার ব্লাডব্যাঙ্কে ছিল মাত্র ১৬ ইউনিট। মেডিক্যাল কলেজের সুপার হিমাদ্রি আড়ি বলেন, “কিছুদিন ধরে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রক্তের সঙ্কট চলছে। শিবিরের সংখ্যা কম হওয়ায় সমস্যা বেড়েছে।” ওয়েস্টবেঙ্গল ভলান্টারি ব্লাড ডোনার্স ফোরামের জেলা সম্পাদক উৎপল চট্টোপাধ্যায় বলেন, “রক্তদান আন্দোলনে আগে সরকারি আর্থিক সাহায্য পাওয়া যেত। কিন্তু দেড় বছরে সরকারি সহায়তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ক্লাব, সংগঠনকে রক্তদান শিবির সংগঠিত করার বলতে সমস্যা হচ্ছে। মালদহের ১৬টি কলেজে রেডরিবন ক্লাব গড়ে উঠেছিল, যাঁরা রক্তদান ও এইডস নিয়ে কাজ করতেন। সেই ক্লাবগুলি আর জীবিত নেই।” তিনি জানান, ২০১০ সালে ডিসেম্বর মাসে রক্তদান শিবির জেলায় হয়েছিল ৪৪টি। ২০১১ সালে ডিসেম্বর মাসে সেই সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ২২টিতে। বর্তমান বছরে ডিসেম্বর অর্ধেক পেরিয়ে গেলেও রক্তদান শিবির হয়েছে ৩টি। মালদহ ব্লাড ব্যাঙ্কে একটি ব্লাড কম্পোনেন্ট সেপারেশন মেশিন রয়েছে। তিন মাস ধরে সেই যন্ত্রটি অকোজো। জেলা রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী বলেন, “ব্লাড কম্পোনেন্ট সেপারেশন মেশিন সারানো হবে। পাশাপাশি রক্তের সংকট মেটাতে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও ক্লাবে শিবির করার আবেদন করা হবে।”
|
চিকিৎসক নিগ্রহে ক্ষোভ আসানসোলে
নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল |
ময়না-তদন্তের সময়ে চিকিৎসক নিগ্রহের অভিযোগ তুলে সোমবার প্রতিবাদ দিবস পালন করলেন আসানসোল মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। বহির্বিভাগে হাসপাতালের সব চিকিৎসক প্রার্থনা-সভায় বসেন। পরে হাসপাতাল সুপারের সঙ্গে দেখা করে দাবিপত্র তুলে দেন। অবিলম্বে হাসপাতালে পুলিশ ক্যাম্প চালুর দাবি জানান তাঁরা। নিগ্রহকারীদের গ্রেফতারের দাবিও জানান তাঁরা। চিকিৎসক প্রভাতচন্দ্র মাজি জানান, শনিবার বন্ধ্যাকরণ করতে গিয়ে দু’জনের মৃত্যু হয়েছিল বারাবনিতে। ময়না-তদন্তের জন্য দেহ আসে মহকুমা হাসপাতালে। ময়না-তদন্তের সময়ে চিকিৎসকদের নিগ্রহ করা হয় বলে অভিযোগ। সুপার নিখিলচন্দ্র দাস জানান, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
|
স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষার শিবির আয়োজিত হল খড়্গপুর শহরের গাজোঁয়ালের ভীমচক্রে। শনিবার খড়্গপুর শ্রমজীবী মহিলা ও পরিচারিকা সমিতির উদ্যোগে ক্ষুদিরাম সঙ্ঘ ক্লাবে আয়োজিত এই শিবিরে ২১২ জনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। বিনামূল্যে ওষুধও দেওয়া হয়। মেডিক্যাল সার্ভিস সেন্টারের পক্ষে তিন জন চিকিৎসক সমীর মান্না, অমিত বেরা ও হরেকৃষ্ণ মাইতি স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। সহযোগিতায় ছিলেন সুস্মিতা মহাপাত্র, তরুণ সাঁতরা, শিবশঙ্কর পট্টনায়ক ও অলোক সাহা। শিবিরটি পরিচালনা করেন সংগঠনের সভানেত্রী জয়শ্রী চক্রবর্তী। |