কাল আইন অমান্য বাম-আইএনটিইউসির
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
রাজ্যে তৃণমূলের নেত্ত্বাধীন সরকার থেকে বেরিয়ে আসার পরে প্রথম বার বামেদের শ্রমিক সংগঠনগুলির সঙ্গে হাত মিলিয়ে আইন অমান্যে যাচ্ছে কংগ্রেস-প্রভাবিত ট্রেড ইউনিয়ন আইএনটিইউসি।
কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক নীতির প্রতিবাদে আগামী ২০-২১ ফেব্রুয়ারি দেশ জুড়ে সাধারণ ধর্মঘট ডেকেছে যে কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলি, তারাই কাল, বুধবার কলকাতায় আইন অমান্যের কর্মসূচি নিয়েছে। তার মধ্যে অবশ্য সঙ্ঘ পরিবারের বিএমএস বা সমাজবাদীদের এইচএমএস-ও আছে। ধর্মঘটে থাকলেও রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে ওই আইন অমান্যের কর্মসূচিতে অবশ্য সামিল হচ্ছে না এসইউসি-র শ্রমিক সংগঠন এআইইউটিইউসি। সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের জন্য সিপিএম এখনও ক্ষমা না-চাওয়ায় এআইইউটিইউসি এ রাজ্যে আজ, মঙ্গলবার পৃথক ভাবে আইন অমান্য করবে। গত ফেব্রুয়ারির ধর্মঘট রুখতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কড়া অবস্থান নেওয়ায় বাম শ্রমিক নেতারা বলেছিলেন, এই আন্দোলন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। রাজ্যের বিরুদ্ধে নয়। এখন মমতাও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব। তাঁর সঙ্গে কি আলোচনায় যাবেন? সিটুর রাজ্য সম্পাদক দীপক দাশগুপ্ত বলেন, “তাঁরা চাইলে আলোচনা হতে পারে।” |
বিজেপির কটাক্ষ বাম-তৃণমূলকে
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
রাজ্যে এক শ্রেণির বেসরকারি অর্থলগ্নিকারী সংস্থার বাড়বাড়ন্ত নিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি করলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ। সোমবার শিলিগুড়ি জার্নালিস্ট ক্লাবে তিনি ওই দাবি করেন। শীঘ্রই তিনি রাজ্যপাল এম কে নারায়ণনের সঙ্গে দেখা করে সিবিআই তদন্ত নিয়ে দাবিপত্র পেশ করবেন। তিনি বলেন, “সিপিএম বেসরকারি অর্থলগ্নিকারী সংস্থার জন্মদাতা এবং তৃণমূল পালনকর্তা। দুটি দলই তাদের টাকা সংগঠনের কাজে ব্যবহার করেছে। ওই সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে মুলতুবি প্রস্তাব ডেকে বিধানসভায় যে কাণ্ড হয়েছে তা লজ্জাজনক। এ সব নিয়ে কথা বলার অধিকার সিপিএমের নেই। তাই আমরা সিবিআই তদন্তের দাবি করছি। তাহলে সব প্রকাশ্যে আসবে। রাজ্যপালের কাছে গিয়ে দাবি জানাব। তিনি সে ব্যপারে উদ্যোগ নেবেন বলে আশা করছি।” এ দিন তিনি দাবি করেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে স্থানীয় আঁতাত করে নির্দল প্রার্থী দাঁড় করানোর ব্যপারে সিপিএম একাধিক জায়গায় প্রস্তাব দিয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা পঞ্চায়েত নির্বাচনে একা লড়াই করব। বিজেপি নির্দলকে সমর্থন করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সিপিএম চালাকির খেলা খেলছে। এ বারে পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিপিএমের দৈনতা জনসমক্ষে চলে আসবে। সে জন্য নির্দল প্রার্থী দাঁড় করানোর চেষ্টা করছে তারা।” এদিন শিল্প নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে রাহুলবাবু বলেন, “শিল্প টানতে তার পরিবেশ তৈরি করতে হবে। জমি নীতি তৈরি করতে হবে। তা না করে মুখ্যমন্ত্রী শিল্পপতিদের বৈঠক করে শিল্প করার আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন। সরকার শিল্পবিরোধী বলে সর্বত্র বার্তা যাচ্ছে।” উত্তরবঙ্গের রাস্তায় চলাচল করলে পুরনো বিহারের কথা মনে পড়ে বলেও সরকারকে কটাক্ষ করেন তিনি। |
অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা নিয়ে ভর্তি করলেই শাস্তি |
শিক্ষার অধিকার আইন অমান্য করে যে-সব সরকারি ও বেসরকারি স্কুল প্রবেশিকা পরীক্ষা নিয়ে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্র ভর্তি করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে রাজ্য সরকার। প্রথমে জরিমানা করা হবে। শেষ পর্যন্ত স্কুলের অনুমোদনও বাতিল হতে পারে বলে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সোমবার জানান। ওই কেন্দ্রীয় আইনে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রবেশিকা পরীক্ষা নিয়ে ছাত্র ভর্তি করা বারণ। ব্রাত্যবাবু বলেন, “অনেক স্কুল প্রবেশিকা পরীক্ষা নিয়ে ছাত্র ভর্তি করছে বলে শুনছি। এটা করা যাবে না। ছাত্র ভর্তি করতে হবে লটারির মাধ্যমে। এই নিয়ম না-মানলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” বেসরকারি স্কুলেও এই আইন মেনেই ছাত্র ভর্তি করার কথা। বেসরকারি সংখ্যালঘু স্কুলগুলি অবশ্য শিক্ষার অধিকার আইনের আওতায় পড়ছে না। তাই ওই সব স্কুলের বিরুদ্ধে রাজ্য কোনও ব্যবস্থা নিতে পারবে না। |
ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষাদান |
প্রত্যন্ত গ্রামের মেয়েদের জন্য ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষাদান ব্যবস্থা শুরু করল শ্রীসারদা মঠ পরিচালিত রসিক ভিটা। স্বামীজির সার্ধশতবর্ষে সোমবার এর উদ্বোধন করেন শ্রীসারদা মঠ ও রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের সাধারণ সম্পাদিকা প্রব্রাজিকা অমলপ্রাণা। ছিলেন ইসরোর প্রাক্তন অধিকর্তা টি জি কে মূর্তি ও সিএমসি-র প্রাক্তন জিএম অলোক ভট্টাচার্য। ‘বিবেক জাগৃতি’ নামের এই প্রকল্পে অর্থ সহায়তা করেছে ‘শীলা কানোরিয়া ফাউন্ডেশন’। |
নির্বাচন কমিশনে কংগ্রেস, সিদ্দিকুল্লা |
পঞ্চায়েত ভোটে অবাধ প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল কংগ্রেস। প্রদেশ কংগ্রেসের সহ সভাপতি দেবব্রত বসুর নেতৃত্বে প্রতিনিধিরা সোমবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডের সঙ্গে দেখা করে ভোটে নিরাপত্তার দাবি জানান। তাঁদের আরও দাবি, মনোনয়নপত্র বিডিও অফিসে জমা দেওয়া না গেলে তা জেলাশাসকের দফতরে জমার ব্যবস্থা করতে হবে। সারা ভারত ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্টের নেতা সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীও এ দিন নির্বাচন কমিশনে গিয়েছিলেন। |