টুকরো খবর
বেআইনি মদ ব্যবসায়ীদের সম্পত্তি
বেআইনি মদের ব্যবসায়ীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। আজ পটনার জনতা দরবারে তিনি বলেন, “পুলিশ সারা রাজ্য জুড়ে বেআইনি মদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে। তদন্তে যদি প্রমাণ হয় তা হলে দোষীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে। এই নিয়ে রাজ্যে আইন রয়েছে। সেই আইন অনুযায়ীই কাজ হবে।” গত এক পক্ষ কালের মধ্যে বিষমদ খেয়ে আরায় ৩০ জন এবং গয়ায় ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। তা নিয়ে গরম রাজ্য-রাজনীতি। প্রসঙ্গত, গয়ায় বিষমদ কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত রাজকুমার যাদব ওরফে মন্টু আজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে। পুলিশ ওই ঘটনার পর থেকে বেআইনি মদের ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে খুঁজছিল। রামপুর থানায় পুলিশ আগেই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। আত্মসমপর্ণকারী মন্টু গয়ার আরজেডি-র বিধায়ক সুরেন্দ্র যাদবের ভাই। আরজেডি বিধায়কের ভাই মন্টুর আত্মসমর্পণের ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “যে ধরা পড়ছে তার বিরুদ্ধে পুলিশ তদন্ত করবে। চার্জশিট দেওয়া হবে। সব তদন্তের পরে যদি ধৃত ব্যক্তির অপরাধ প্রমাণ হয় তা হলে তার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে।” মুখ্যমন্ত্রী এ দিন ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, “সরকারি লাইসেন্স প্রাপ্ত কোনও দোকান থেকে মদ খেয়ে কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। বেআইনি মদের ব্যবসার ফলে সরকার প্রাপ্য কর থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এই বেআইনি ব্যবসা বন্ধ করতে সরকার লাগাতার অভিযান চালাচ্ছে। ডিজিপি বিশেষ ভাবে বিষয়টি তদারকি করছেন।” তবে আইন প্রয়োগ করে যে মদ খাওয়া বন্ধ করা সম্ভব নয়, সে ব্যাপারে নীতীশ সম্যক অবহিত। তাঁর কথায়, “কোনও আইন দিয়ে মদ খাওয়া বন্ধ করা যাবে না।” তবে সামাজিক ভাবে সচেতন করে, এর বিরুদ্ধে লাগাতার প্রচার চালিয়ে জনমত তৈরি করা যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সামাজিক ভাবে নিরন্তর অভিযান চালিয়ে মদের বিরুদ্ধে মানুষকে সচেতন করা যায়। এই অভিযানে যারা থাকবেন তাদের প্রতি আমার পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।”

সারান্ডায় রেল প্রকল্পে জঙ্গি তাণ্ডব, আগুন
সারান্ডায় মাওবাদীদের বিরুদ্ধে যৌথ বাহিনীর দ্বিতীয় পর্যায়ের অভিযানের জবাবে পাল্টা নাশকতা শুরু করল জঙ্গিরা। কাল রাতে পশ্চিম সিংভূম জেলার চক্রধরপুর শাখার গোয়েলকারে নির্মীয়মাণ রেল প্রকল্প এলাকায় অতর্কিতে হানা দিয়ে তাণ্ডব চালিয়েছে প্রায় দেড়শো জন সশস্ত্র মাওবাদীদের একটি দল। পুলিশ জানায়, জঙ্গিরা প্রকল্প এলাকায় নির্মাণ সংস্থার অস্থায়ী ক্যাম্পে শতাধিক কর্মীকে জান-খতমের হুমকি দিয়ে কার্যত বন্দি করে রাখে। এরপর প্রকল্প এলাকা জুড়ে শুরু হয় জঙ্গি বাহিনীর তাণ্ডব। ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মেশিনপত্র, যন্ত্রপাতির সঙ্গে ১৬ টি ডাম্পার, দু’টি রোলার, একটি পে-লোডার এবং একটি মাটি কাটার মেশিনে আগুন লাগায় তারা। যন্ত্রপাতি জ্বালিয়ে দিয়ে শূন্যে গুলি ছুড়তে ছুড়তে জঙ্গিরা এলাকা ছেড়ে যায়। সরকারি সূত্রের খবর, চক্রধরপুর শাখায় পণ্য পরিবহণের জন্য থার্ড লাইন পাতার কাজ চলছে। কাজ হচ্ছে পশ্চিম সিংভূম জেলার গোয়েলকার থানার মহাদেবশাল স্টেশনের কাছে। কাজ করছে একটি বেসরকারি নির্মাণ সংস্থা।

জেলে বন্দির অপমৃত্যু
জেলের মধ্যে বিচারাধীন বন্দির মৃত্যু হয়েছে। রবিবার রাত ২ টো নাগাদ ধুবুরি জেলা জেলে ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানায়, মৃত বন্দির নাম খর্গেশ্বর বর্মন (৩০)। তাঁর বাড়ি ধুবুরি জেলার চাপর থানার নুনমাটি গ্রামে। সোমবার ম্যাজিস্ট্রেট এবং জেলা পুলিশের উপস্থিতিতে ওই বিচারাধীন বন্দির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। রবিবার রাতে খাওয়ার পরে ওই বন্দি টিভি দেখেন ও পরে তাসও খেলেন। সকালে দেখা যায়, জানালার রডের সঙ্গে গামছা দিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় তাঁর দেহ ঝুলে রয়েছে।

ধর্ষকের ভূমিকায় নিজের ভাই-ই
পরিবারের মধ্যেই ফের ধর্ষণের ঘটনা। অভিযোগ, শেষ দু’বছর ধরে ১৪ বছরের কিশোরীকে ক্রমাগত ধর্ষণ করেছে তার নিজের ভাই ও ভাইয়ের বন্ধু। কেরলের কাসারগড় জেলার ঘটনা। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, অভিযুক্তরা কাসারগড়ের পবুর এলাকার বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রের খবর, কিছু দিন আগে শহরের একটি হোটেলে এক কিশোরীকে জেরা করা হয়। ওই হোটেলের একটি ঘরে ওই কিশোরীকে জনা চারেক যুবকের সঙ্গে থাকতে দেখেই সন্দেহ হয়েছিল পুলিশের। জেরার মুখে ওই কিশোরী, তার ভাই ও তার এক বন্ধুর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করে। ওই ঘটনায় আরও অনেকে জড়িত আছে বলে পুলিশের সন্দেহ।

সমঝোতা-কাণ্ডে ধৃত আরও এক
সমঝোতা এক্সপ্রেস বিস্ফোরণ কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত ধন সিংহকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার, মধ্যপ্রদেশের চিত্রকূট থেকে। ১৫ ডিসেম্বর মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনী থেকে এই বিস্ফোরণ কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত রাজেন্দ্র চৌধুরিও ধরা পড়েছিল পুলিশের হাতে। সোমবার, রাজেন্দ্রকে ১২ দিনের জন্য এনআইয়ের হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগামী ২৮ তারিখ পর্যন্ত এনআইয়ের হেফাজতে থাকবে রাজেন্দ্র। ২০০৭-র ১৮ ফেব্রুয়ারি হরিয়ানার পানিপথের কাছে পাকিস্তানগামী সমঝোতা এক্সপ্রেসে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের ফলে লাগা আগুন ট্রেনের একাধিক কামরায় ছড়িয়ে পড়ে। তাতে মহিলা ও শিশু-সহ ৬৮ জন মারা যান। পুলিশ জানিয়েছে, ২০০৭-এর হায়দরাবাদের মক্কা মসজিদের বিস্ফোরণেও জড়িত ছিল রাজেন্দ্র।

স্থগিত উড়ান
উড়ানের আগেই দেখা গেল বিমানের তেলের পাইপ চুঁইয়ে তেল পড়ছে। ফলে শেষ মুহূর্তে স্থগিত হল উড়ান। বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচলেন আগরতলাগামী ১২০ জন যাত্রী। গুয়াহাটির ওই বিমানবন্দর সূত্রে খবর, মেরামতি করে রাতে বিমানটি গুয়াহাটি ছাড়ে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.