স্কুল ভোটে জেতার পরে এলাকায় মিছিল করার অনুমতি পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ করল সিপিএম। ১৬ ডিসেম্বর, রবিবার শক্তিগড়ে সফদর হাশমি হাইস্কুলে অভিভাবক সমিতির ভোটে ৬টি আসনের প্রতিটিতেই জেতেন সিপিএম সমর্থিত প্রার্থীরা। স্কুল প্রতিষ্ঠার ১২ বছর পরে এই বারই প্রথম নির্বাচন হল স্কুলে। মোট ৫৩৭ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দেন ৪৭২ জন। প্রতিটি আসনেই সিপিএম প্রভাবিক প্রায় ১০০ ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন গণতান্ত্রিক অভিভাবক সমিতির প্রার্থীরা। |
ওই স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা তথা সিপিএমের বর্ধমান সদর জোনালের সদস্য আবেদ আলির অভিযোগ, “প্রশাসনের কাছে মাত্র এক ঘণ্টা মিছিল করার অনুমতি চেয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ অনুমতি দেয়নি।” তাঁর দাবি, পুলিশ-প্রশাসন রাজ্যের শাসক দলের হয়ে কাজ করছে। যদিও বর্ধমানের এসডিপিও (বর্ধমান দক্ষিণ) অম্লানকুসুম ঘোষের বক্তব্য, “সাধারণত স্কুলভোটের পরে এলাকায় উত্তেজনা থাকে। সেই সময়ে মিছিল বের হলে গোলমালেরও সম্ভবনা রয়ে যায়। তাই শক্তিগড় ফাঁড়ি মিছিল করার অনুমতি দেয়নি শক্তিগড় ফাঁড়ি।”
বর্ধমান জেলার প্রায় সব স্কুল ভোটেই জিতে চলেছে তৃণমূল। সিপিএমের অভিযোগ, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাদের প্রার্থী দিতে দেওয়া হচ্ছে না। এমনকী চলতি মাসের প্রথম দিকে শক্তিগড় গার্লস স্কুলের অভিভাবক সমিতির ভোটে সিপিএমের প্রার্থীদের মারধরের অভিযোগও উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। রবিবারও জামালপুরের চকদিঘি গার্লস হাইস্কুলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূল জেতার পরে সিপিএম অভিযোগ করে, ভয় দেখিয়ে তাঁদের প্রার্থী দিতে দেওয়া হয়নি। তবে জামালপুরের বিধায়ক উজ্জ্বল প্রামানিকের দাবি, হেরে যাওয়ার ভয়েই সিপিএম প্রার্থী দেয়নি।
আবেদ আলির অভিযোগ, স্কুল ভোটের দিন পনেরো আগে শক্তিগড় বাজারে বাড়িতে বাড়িতে প্রচার চালানোর সময়ে তাদের উপর কয়েক জন তৃণমূল নেতা হামলা চালান। শক্তিগড় গার্লস স্কুলেও তাদের মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়া হয় বলে দাবি করেন তিনি। তাঁর কথায়, তাদের ভোট দিয়ে সেই ঘটনারই প্রতিবাদ করেছেন বাসিন্দারা। অভিযোগ অস্বীকার করে স্থানীয় তৃণমূল নেতা গোলাম জার্জিস বলেন, “বিচ্ছিন্ন কয়েকটি জায়গায় স্কুলভোটে জিতছে ওরা।” |