স্ত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে স্বামীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বসিরহাট থানার রামনারায়ণপুরের ঘটনা। মৃতের নাম সুমনা রায় (২০)। মৃতের বাবা গুরুচরণ রায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার রাতে সুমনার স্বামী সুমন মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়। দেহটি ময়না তদন্তের জন্য বসিরহাট মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, স্কুলে পড়ার সময় সুমনের সঙ্গে পরিচয় হয় সুমনার। কলেজেও তাঁরা সহপাঠী ছিলেন। গত এপ্রিল মাসে তাঁদের বিয়ে হয়। গত বৃহস্পতিবার মোবাইলে স্বামীর সঙ্গে কথা বলার পর বাড়ির দোতলায় নিজের ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন সুমনাদেবী। রাত ন’টা নাগাদ অনেক ডাকাডাকির পরেও দরজা না খোলায় বাড়ির লোকেদের সন্দেহ হয়। তাঁরা জানালা দিয়ে দেখেন সুমনা গলায় দড়ি দেওয়া অবস্থায় ঝুলছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। প্রাক্তন সেনাকর্মী গুরুচরণ রায় বলেন, “স্কুলে পড়াকালীন মেয়ের সঙ্গে ভালবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল সুমনের। বিয়ের পরে সুমন রেলের চাকরিতে না যাওয়ায় মেয়ের সঙ্গে তাঁর বচসা হয়। ঘটনার দিন মোবাইলেও কথা কাটাকাটি হয়। কিন্তু সে সব গোপন করে যায় সুমন।” পুলিশ জানায়, মৃতের ঘর থেকে দুটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। একটি স্বামীকে লেখা, অন্যটি বাবাকে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। শুক্রবার গুরুচরণবাবু লিখিত অভিযোগ করলে সুমনকে গ্রেফতার করা হয়।
|
বাবার সার্ভিস রিভলভার থেকে গুলি করে আত্মঘাতী হয়েছে এক ছাত্র। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার সকালে দ৭ণি ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার মহকুমা অফিসের পাশে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ছাত্রের নাম সুরজিৎ ওরাং (১৫)। সে ধনবেড়িয়া হাইস্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ত।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ডায়মন্ড হারবার মহকুমা অফিসের নিরাপত্তাকর্মী সুবল ওরাং বছর দশেক ধরে মহকুমাশাসকের আবাসনের পাশেই থাকেন। তাঁর ছোট ছেলে সুরজিৎ বেশ কিছুদিন ধরেই মানসিক রোগে ভুগছিলেন বলে পরিবার সূত্রের খবর। এ দিন সকালে সাতটা নাগাদ বাবার সার্ভিস রিভলভার নিয়ে নিজের বুকে গুলি করে। সেই সময় সুবলবাবু পাশের ঘরে ছিলেন। গুলির শব্দ শুনে ঘর থেকে বেরিয়ে তিনি দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় ছেলে মেঝেয় পড়ে রয়েছে। হাতে তাঁরই রিভলভার। সঙ্গে সঙ্গে সুরজিৎকে ডায়মন্ড হারবার মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কী কারণে সুরজিৎ আত্মঘাতী হয়েছে তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
|
স্কুল নির্বাচন ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল উত্তর ২৪ পরগনার শ্যামনগর ও ব্যারাকপুরে। এদিন সকালে শ্যামনগর মণ্ডলপাড়া গার্লস হাইস্কুলে নির্বাচন চলাকালীন তৃণমূল সমর্থকেরা কংগ্রেস সমর্থকদের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। কংগ্রেসের বুথ ভাঙচুর করা হয়। প্রতিবাদে কংগ্রেস কর্মীরা শ্যামনগর কাউগাছি এলাকায় কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ করেন। ঘন্টা খানেক অবরোধের জেরে আটকে যায় যান চলাচল। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশ কর্তারা ঘটনাস্থলে যান। অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে। যদিও তৃণমূল অভিযোগ অস্বীকার করেছে। অন্যদিকে ব্যারাকপুরের শিউলি গার্লস হাইস্কুলে এদিন নির্বাচন শুরু হওয়ার পরপরই তৃণমূল এবং সিপিএমের সমর্থকদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
|
কনেযাত্রী বোঝাই বাস উল্টে গিয়ে জখম হলেন ২০ জন। শনিবার গভীর রাতে ডায়মন্ড হারবারের বোড়িয়া গ্রামের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের ডায়মন্ড হারবার মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ১৬ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। পুলিশ সূত্রের খবর, ওই রাতে কুলপি থেকে বাসে ৬০ জনের এক কনেযাত্রীর দল বোলসিদ্ধি গ্রামে আসছিলেন। হঠাৎই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি উল্টে যায়। |