কোথাও ফুটবলে শট মারলেন রাজ্য পুলিশের ডিআইজি, কোথাও জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। সুন্দরবন অধ্যুষিত দুই জেলা উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় শনিবার, ১৫ ডিসেম্বর থেকে এ ভাবেই সূচনা হল ‘সুন্দরবন কাপ’ ফুটবল প্রতিযোগিতার। দুই জেলাতেই প্রতিযোগিতাকে ঘিরে ছিল উৎসবের মেজাজ। |
উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির ঢেকনামারি হাইস্কুল মাঠে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিআইজি (প্রেসিডেন্সি রেঞ্জ), জেলার পুলিশ সুপার সুগত সেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, মহকুমাশাসক শ্যামল মণ্ডল, বসিরহাটের সাংসদ নুরুল ইসলাম-সহ কয়েক জন বিধায়ক, সংশ্লিষ্ট থানার ওসি প্রমুখ। পতাকা উত্তোলনের পর ছিল আদিবাসী নৃত্যের অনুষ্ঠান। বলে শট মেরে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করে ডিআইজি অনিল কুমার বলেন, “এর আগে মুখ্যমন্ত্রী জঙ্গলমহলে ফুটবল প্রতিযোগিতা করেছিলেন। ওখানে যাঁরা ভাল খেলেছিলেন তাঁদের অনেকেই ইতিমধ্যে চাকরি পেয়েছেন। এর মাধ্যমে ভাল খেলোয়াড়দের চিহ্নিত করে বিশেষ প্রশিক্ষণের জন্য বিদেশে পাঠানো হবে। আমরা আপনাদের পাশে আছি। ভাল খেলুন, দেখবেন জীবনের মোড় ঘুরে যাবে।” পুলিশ সুপার বলেন, “পুলিশ ও গ্রামবাসীদের মধ্যে মেলবন্ধন এবং পরস্পরের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার পাশাপাশি সুন্দরবন এলাকার ছেলেমেয়েদের মধ্যে ফুটবলের প্রতি আগ্রহ বাড়াতেই রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগ।” |
ক্যানিংয়ে। ছবি: সামসুল হুদা। |
কাকদ্বীপে। ছবি: দিলীপ নস্কর। |
|
বস্তুত, এই বক্তব্যেরই প্রতিধ্বনি শোনা গিয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ে। শনিবার বাসন্তীর সুন্দরবন হাইস্কুল মাঠে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর এই প্রতিযোগিতার ক্যানিং মহকুমা অংশের উদ্বোধন করেন গোসাবার বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর। উপস্থিত ছিলেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পূর্ব) কঙ্করপ্রসাদ বাড়ুই, এসডিপিও বিশ্বজিৎ মাহাতো প্রমুখ। কাকদ্বীপের স্পোর্টস কমপ্লেক্সের মাঠে প্রতিযোগিতার সূচনা করেন সুন্দরবন উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা। উপস্থিত ছিলেন এডিজি (আইবি) বাণীব্রত বসু, আইজি (দক্ষিণবঙ্গ) মিহিরকুমার ভট্টচার্য, জেলার পুলিশ সুপার প্রবীণ ত্রিপাঠি, এসডিপিও অর্ণব বিশ্বাস, এসডিও অমিত নাথ প্রমুখ। |