নির্মল বিদ্যালয় অভিযান
ক্যালেন্ডারে নিজের আঁকা ছবি দেখে খুশি ঈশিতারা
তার আঁকা ছবি যে ক্যালেন্ডারে ঠাঁই পাবে, তা কোনও দিন ভাবতেই পারেনি ছোট্ট ঈশিতা। ক্যালেন্ডারটা হাতে পেয়ে তাই এক মনে মিলিয়ে নিচ্ছিল নিজের হাতে আঁকা ছবির সঙ্গে। বিস্ময় শুধু ঈশিতারই নয়, সুমন ও অরিত্রেরও। এই তিন খুদের আঁকা ছবি এ বার ঠাঁই পেয়েছে সর্বশিক্ষা মিশনের ক্যালেন্ডারে। নির্মল বিদ্যালয় অভিযানে রাজ্য স্তরের বসে আঁকো প্রতিযোগিতায় ৪টির মধ্যে তিনটি বিভাগে প্রথম স্থান পেয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের এই তিন খুদে।
গত এপ্রিল মাসে রাজ্য জুড়ে হয়েছিল নির্মল বিদ্যালয় অভিযান। এই উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছিল সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, সচেতনতা শিবির, বসে আঁকো প্রতিযোগিতা-সহ নানা কর্মসূচির। আঁকা প্রতিযোগিতার জন্য ছিল মোট ৪টি বিভাগ। প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ৭ লক্ষেরও বেশি শিশু এই প্রতিযোগিতায় যোগদান করেছিল। শুরুতে স্কুল এবং চক্র স্তরে প্রতিযোগিতা হয়। তারপর জেলা এবং রাজ্য স্তরে। প্রতিযোগিতার বিষয়ও নির্দিষ্ট করা হয়েছিল। যেমন, ক বিভাগের জন্য বিষয় ছিল, ‘নিজ গৃহের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা’। রাজ্য স্তরের প্রতিযোগিতায় ক, খ, গএই ৩টি বিভাগেই প্রথম স্থান পেয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর। ক বিভাগে প্রথম হয়েছে দুবরাজপুর-১ প্রাথমিক স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র অরিত্রকুমার বর্মন, খ বিভাগে অলিগঞ্জ প্রাথমিক স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ঈশিতা মাইতি আর গ বিভাগে প্রথম হয়েছে রোহিনী সিআরডি হাইস্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র সুমন ধাড়া।
নিজের আঁকা ছবির সামনে ঈশিতা।—নিজস্ব চিত্র।
নির্মল বিদ্যালয় অভিযানের উদ্দেশ্য কী?
সর্বশিক্ষা মিশনের বক্তব্য, শিক্ষার অধিকার আইনে এমন একটি পাঠ্যক্রমের কথা বলা হয়েছে যা শিশুদের ভয় ও অস্বস্তিকর পরিবেশ থেকে মুক্তি দেয়। যেখানে থাকবে বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ। নতুন আবিষ্কার এবং কার্যক্রমের মাধ্যমে শিশুদের শিক্ষা দেওয়া হবে। এই আইন অনুযায়ী ৪ থেকে ১৪ বছর বয়সী সমস্ত শিশু বিভিন্ন বিনোদনের মাধ্যমে স্বাধীন মত প্রকাশ করতে পারবে। সেই অনুসারেই নির্মল বিদ্যালয় অভিযান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। ফলে শিশুরাও তাদের প্রতিভা তুলে ধরার সুযোগ পায়।
ইতিমধ্যে সর্বশিক্ষা মিশনের উদ্যোগে আগামী শিক্ষাবর্ষের জন্য ক্যালেন্ডার তৈরি করা হয়ে গিয়েছে। তাতে ঠাঁই পেয়েছে অরিত্র, সুমনদের আঁকা ছবি। নতুন বছরের গোড়া থেকে এই ক্যালেন্ডার রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে রাখা থাকবে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ঈশিতাদের হাতে পুরস্কার তুলে দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এ বার জেলাতেও এদের পুরস্কৃত করা হবে। জানুয়ারি মাসে এক অনুষ্ঠানে খুদে শিল্পীদের পুরস্কৃত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। সর্বশিক্ষা মিশন প্রকল্পের জেলা আধিকারিক শাশ্বতী দাস বলেন, “সব মিলিয়ে ৪টি বিভাগে আঁকা প্রতিযোগিতা হয়েছিল। তার মধ্যে ৩টি বিভাগেই পশ্চিম মেদিনীপুর প্রথম স্থান পেয়েছে। সফল ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহিত করতে ওদের পুরস্কৃত করা হবে।” খুদে শিল্পীদের এমন সাফল্যে খুশি তাদের অভিভাবকরাও। ঈশিতার মা কৃষ্ণাশ্রী মাইতি বলছিলেন, “মেয়ের আঁকা যে রাজ্যে প্রথম হবে, ভাবিনি। ক্যালেন্ডারে ওর হাতে আঁকা ছবিটা দেখে আরও ভাল লাগছে।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.