|
|
|
|
নজরে পঞ্চায়েত, স্ব-সহায়ক দল নিয়ে সভা সিপিএমের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে স্ব-সহায়ক দলের সদস্যদের সংগঠিত করতে সভা করল সিপিএম। দলের একাংশের মতে, এ বার যেহেতু ৫০ শতাংশ আসন মহিলা সংরক্ষিত, সেহেতু যোগ্য মহিলা প্রার্থী পেতে সুবিধে হবে এতে। শনিবার দলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কমিটির উদ্যোগে মেদিনীপুর শহরের জেলা পরিষদ হলে সভার আয়োজন করা হয়। ছিলেন দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তথা জেলা সম্পাদক দীপক সরকার, জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য হরেকৃষ্ণ সামন্ত প্রমুখ। জেলার বিভিন্ন প্রান্তের স্ব-সহায়ক দলের সদস্যরা যোগ দেন। সভায় জেলা সভাধিপতি অন্তরা ভট্টাচার্য-সহ সিপিএম পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিরাও ছিলেন। দলেরই এক সূত্রে খবর, ভোটের প্রস্তুতিতে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তাঁদের সংগঠিত করতে উদ্যোগী হয়েছে দল। এই সভা সেই উদ্যোগেরই অন্যতম। এ দিনের সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে উপস্থিত মহিলাদের অর্জিত অধিকার রক্ষায় লড়াইয়ের ডাক দেন দীপকবাবু। তাঁর বক্তব্য, “বামফ্রন্ট সরকারের আমলে স্ব-সহায়ক দল গঠনে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল। নিয়মিত প্রশিক্ষণ শিবির হত। সরকারি সহায়তায় দলগুলোকে বিভিন্ন সরঞ্জাম কিনে দেওয়া হত। কিন্তু এখন তা হচ্ছে না। ফলে স্ব-সহায়ক দলগুলোর সঙ্গে যে সব মহিলা জড়িয়ে রয়েছেন, তাঁরা সমস্যায় পড়েছেন।” সিপিএম নেতৃত্বের অভিযোগ, রাজ্য সরকারের উদাসীনতার জন্যই নতুন করে স্ব-সহায়ক দল তৈরি হচ্ছে না। পাশাপাশি যে সব দল তৈরি হয়েছিল, সরকারি নজরদারির অভাবে তার একাংশও অচল হয়ে পড়ছে।
পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রায় ৩৩ হাজার স্ব-সহায়ক দল রয়েছে। এক-একটি দলে প্রায় ১০ জন করে থাকেন। অর্থাৎ, প্রায় তিন লক্ষেরও বেশি মহিলা এই দলগুলির সঙ্গে যুক্ত। এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য নিজেদের উদ্যোগে পঞ্চায়েত, ব্যাঙ্ক ও সরকারের সহযোগিতায় সাবলম্বী হওয়া। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এঁদেরই সংগঠিত করতে উদ্যোগী হয়েছে সিপিএম। নিয়ম মেনে এ বার পঞ্চায়েতের ৫০ শতাংশ আসন মহিলা সংরক্ষিত করা হয়েছে। তাই স্ব-সহায়ক দলের মহিলাদের সংগঠিত করা গেলে মহিলা সংরক্ষিত আসনে ‘যোগ্য’ প্রার্থী খুঁজে পেতে সমস্যা হবে না বলেও মনে করছে দলের একাংশ। |
|
|
|
|
|