খালে গাড়ি পড়ে মৃত্যু হল দুই ব্যক্তির। রবিবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে তিলজলা থানার অন্তর্গত বাসন্তী হাইওয়েতে, কয়লা ডিপোর কাছে। মৃতদের নাম শোভন মণ্ডল এবং রঞ্জিত সেন। ভাঙড়ে শোভনবাবুর মাছের ব্যবসা আছে। রঞ্জিতবাবু শোভনবাবুর গাড়ির চালক।
পুলিশ সূত্রের খবর, কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানা এলাকার বামনঘাটার (দক্ষিণ) বাসিন্দা শোভনবাবু শনিবার রাতে বানতলায় এক আত্মীয়ের বিয়েবাড়ি থেকে ফিরছিলেন। দুর্ঘটনাস্থলটির আগে একটি সেতু আছে। পুলিশ এবং শোভনবাবুর বাড়ির লোকজনের দাবি, বিয়েবাড়ি থেকে কোনও আত্মীয়কে পৌঁছতে তিনি কলকাতায় আসেন। পুলিশের অনুমান, ফেরার পথে ওই সেতুতে ধাক্কা মেরে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে যায়। |
খাল থেকে তোলার পরে সেই গাড়ি। রবিবার। —নিজস্ব চিত্র |
রবিবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা গাড়িটিকে খালে পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেন। তিলজলা থানার পুলিশ পৌঁছে গাড়িটিকে তোলে। দেখা যায়, গাড়ির সামনের অংশটি দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে। ভিতর থেকে উদ্ধার হয় শোভনবাবু ও রঞ্জিতবাবুর দেহ। শোভনবাবুর পকেটে পুলিশ একটি নোটবই পায়। সেখানে পাওয়া বিভিন্ন নম্বরে ফোন করে পুলিশ তাঁর পরিচয় জানে। খবর যায় তাঁর বাড়িতে।
ঘটনা প্রসঙ্গে শোভনবাবুর ভাইপো অমরেশবাবু জানান, শনিবার শোভনবাবু তাঁর স্ত্রী প্রতিমা মণ্ডল এবং দুই মেয়েকে নিয়ে বানতলায় এক আত্মীয়ের বিয়েতে গিয়েছিলেন। ওই রাতেই প্রতিমাদেবী এবং দুই মেয়ে বাড়ি ফিরে যান। এর পরে গাড়ি ফিরে আসে শোভনবাবুর কাছে। ফেরার আগে শোভনবাবু ফোনে বাড়ির লোকের সঙ্গে কথাও বলেন। কিন্তু ভোর হলেও তিনি ফিরছেন না দেখে তাঁর মোবাইলে ফোন করতে থাকেন বাড়ির লোকজন। কিন্তু যোগাযোগ করতে পারেননি। এর পরেই তাঁরা বিভিন্ন জায়গায় ফোন করে শোভনবাবুর খোঁজ নিতে থাকেন। কিছুক্ষণ পরে তিলজলা থানা থেকে ফোন পেয়ে শোভনবাবুর ভাইপো অমরেশ মণ্ডল ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছন। পুলিশ গাড়িটি উদ্ধার করে দেহ দু’টি ময়না-তদন্তের জন্য পাঠায়। |