|
|
|
|
পর্যটক টানবে রাজ-অস্ত্রসম্ভার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কোচবিহার |
পর্যটক টানতে রাজবাড়ির দোতলার ঘরে গ্যালারি তৈরি করে রাজাদের অস্ত্রসম্ভার দেখানোর ব্যবস্থা করতে উদ্যোগী হয়েছে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া। গ্যালারি সহ পরিকাঠামো তৈরির পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়েছে। এ জন্য খরচ ধরা হয়েছে ৫ লক্ষ টাকা। সম্প্রতি ওই বরাদ্দ চেয়ে সংস্থার কলকাতা সার্কেল দফতর থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার কলকাতা সার্কেলের সুপারিন্টেন্ডেন্ট তপনজ্যোতি বৈদ্য বলেন, “মিউজিয়াম শাখার হাত থেকে কোচবিহার রাজাদের অস্ত্রসম্ভারের দায়িত্ব আমাদের হাতে এসেছে। রাজবাড়ির দোতলায় ঘরে গ্যালারি করে ওই অস্ত্র পর্যটকদের সামনে তুলে ধরার পরিকল্পনা হয়েছে। টাকা পেলে কাজ শুরু হবে।” |
|
কোচবিহার রাজবাড়ির দোতলায় ছবিটি তুলেছেন হিমাংশুরঞ্জন দেব। |
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৮৮৭ সালে মহারাজা নৃপেন্দ্র নারায়ণের আমলে নির্মিত রাজবাড়ির অস্ত্রসম্ভার গত বছর অগস্ট মাসে প্রশাসনের তরফে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এর পরে রাজাদের ব্যবহৃত অস্ত্রগুলি পর্যটকদের সামনে তুলে ধরার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এএসআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৮২ সালে ওই রাজবাড়ি সংস্থা অধিগ্রহণ করে। রাজবাড়ির একটি ঘরে মজুত অস্ত্রসম্ভারের দায়িত্ব অবশ্য জেলা প্রশাসনের হাতে থেকে যায়। ২০০০ সালে কেন্দ্রীয় সরকার ওই অস্ত্রাগারটি এএসআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করে। কিন্তু বিভিন্ন জটিলতার কারণে ওই সময় হস্তান্তর সম্ভব হয়নি। অবশেষে ২০১১ সালের অগস্ট মাসে ওই কাজ শেষ হয়।
এএসআই কর্তারা জানান, হস্তান্তরিত তালিকায় আছে, ১টি শর্টগান, ১৯টি হান্টিং রাইফেল, ৫৮টি ডবল ব্যারেল বন্দুক, ১০টি পিস্তল ও রিভলবার, ৪টি ঢাল, ২টি ভাঙা তির, ৪টি মাসকেট, ১২টি ফাঁকা ম্যাগাজিন, ১৫৬ প্যাকেট কার্তুজ ছাড়াও দু’হাজারের বেশি খোলা কার্তুজ। নিয়ম মেনে সেগুলি গ্যালারিতে রাখা হবে। এএসআইয়ের উদ্যোগের কথা শুনে আশ্বস্ত হতে পারছেন না কোচবিহার শহরবাসীর অনেকে। স্থানীয় হেরিটেজ সোসাইটির সম্পাদক অরূপজ্যোতি মজুমদার বলেন, “এক বছর ধরে বিষয়টি নিয়ে টালবাহানা চলছে। তাই কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কেউ বিশ্বাস করতে পারছে না। তবে এটা হলে পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়বে।” বাসিন্দাদের ক্ষোভের কথা অস্বীকার করেননি নাটাবাড়ির বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তিনি বলেন, “প্রকল্পটি দ্রুত চালু করা জরুরি। শহরের বাসিন্দারা এত দিন ওই বিষয়ে শুধু শুনেই গেল।” কোচবিহারের জেলাশাসক মোহন গাঁধী জানান, এএসআই চাইলে সব রকম সহযোগিতা করা হবে। |
|
|
|
|
|