টুকরো খবর
আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলার অভিযোগে ধৃত
খুনের চেষ্টা ও অস্ত্র নিয়ে হামলার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন সিপিএমের এক প্রাক্তন নেতা। শনিবার রাতে বর্ধমান শহরের তেঁতুলতলা মসজিদের কাছে একটি বাড়ির সামনে থেকে সামিনুর রহমান নামে ওই ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেফতার করে। রবিবার বর্ধমান আদালতের ভারপ্রাপ্ত সিজেএম কেয়া মণ্ডল ধৃতকে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার সন্ধ্যায় জেলখানা মোড়ের কাছে একটি ঠেকে বসাকে কেন্দ্র করে সামিনুর ওরফে সেনার লোকজনের সঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল নেতা আব্দুল রবের অনুগামীদের বচসা বাধে। সামিনুরের লোকেদের দাবি, তৃণমূলের লোকজন তাঁদের মারধর করে। এর পরে তেঁতুলতলা বাজারে এক জনের বাড়িতে তৃণমূলের লোকেরা চড়াও হলে, সামিনুর সেখানে গিয়ে পুলিশে খবর দিতে বলেন। কিন্তু পুলিশ গিয়ে তাঁকেই গ্রেফতার করে। তৃণমূল নেতা আব্দুল রবের অভিযোগ, “ওই ব্যক্তি এলাকায় অনেক দিন ধরে সন্ত্রাস ছড়াচ্ছিল। সিপিএমের মদতে তোলাবাজিও চালাত। স্থানীয় মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে তার লোকেদের জেলখানা মোড়ে বসা বন্ধ করতে চাওয়ায় বচসা বাধে। তখন সেনা অস্ত্র নিয়ে চড়াও হলে পুলিশ তাকে ধরেছে।” সিপিএমের বর্ধমান শহর জোনাল কমিটির সম্পাদক তাপস সরকার অবশ্য জানান, সিপিএমের সঙ্গে সামিনুরের এখন কোনও সম্পর্ক নেই। তাই এই ঘটনা নিয়ে তাঁরা মাথা ঘামাচ্ছেন না। বর্ধমানের আইসি দিলীপ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “তৃণমূল নেতা জয়দেব মিত্র সামিনুরের বিরুদ্ধে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা ও তৃণমূলের পতাকায় আগুন লাগানোর অভিযোগ করেন। তার পরেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়।”

কংগ্রেস প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা তৃণমূল-বিজেপির
কংগ্রেস প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে বিডিও-কে চিঠি দিলেন মঙ্গলকোটের কৈচর ২ পঞ্চায়েতের তৃণমূল এবং বিজেপি-র মোট চার সদস্য। মঙ্গলকোটের বিডিও সুশান্তকুমার মণ্ডল আগামী ২১ ডিসেম্বর প্রধানকে আস্থা প্রমাণের নির্দেশ দিয়েছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালে কৈচর ২ পঞ্চায়েতে সিপিএমকে সরিয়ে ক্ষমতায় আসে কংগ্রেস-তৃণমূল জোট। পঞ্চায়েতের দশটি আসনের মধ্যে কংগ্রেস চারটি, তৃণমূল তিনটি, সিপিএম দু’টি ও বিজেপি একটি আসনে জয়লাভ করে। প্রধান হন কংগ্রেসের এনামুল হক শেখ। তৃণমূলের অভিযোগ, প্রধান হওয়ার পর থেকে দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন এনামুল। বারবার শোধরানোর চেষ্টা করেও তারা ব্যর্থ হয়েছে। তাই প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছে তারা। যদিও প্রধান এ সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, “ব্লকের অন্যতম সেরা আমাদের পঞ্চায়েত। ভোটের আগে তৃণমূল ও বিজেপি এক হয়ে অনাস্থা এনেছে, যাতে সিপিএমের সুবিধা হয়।”

অজ্ঞাতপরিচয় দেহ উদ্ধার মন্তেশ্বরে
উদ্ধারকাজ।—নিজস্ব চিত্র।
অজ্ঞাতপরিচয় এক তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার করল মন্তেশ্বর পুলিশ। মন্তেশ্বরের মামুদপুর ১ পঞ্চায়েতের গোয়ালডাঙায় রবিবার দুপুরের ঘটনা। মন্তেশ্বর পুলিশ ছাড়াও কালনার সিআই রাকেশচন্দ্র মিত্র, মন্তেশ্বরের বিডিও প্রদীপকুমার বারুই এ দিন ঘটনাস্থলে যান। পুলিশ সূত্রে খবর, এ দিন দুপুরে স্থানীয় কিছু লোকজন খবর দেন, গোয়ালডাঙা মাঠে শ্যালো পাম্পের কাছে মাটিতে পোঁতা একটি মৃতদেহের অংশ দেখতে পাওয়া গিয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটি খুঁড়তেই বছর কুড়ির এক তরুণীর দেহ বেরিয়ে পড়ে। তাঁর পরনে ছিল একটি গোলাপি ও সবুজ রঙের সালোয়ার কামিজ। মৃতদেহের পাশে কিছু খুচরো পয়সা, কেকের টুকরো, একটি বাঁশ ও দড়ির টুকরো পড়ে ছিল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, খুন করা হয়েছে ওই তরুণীকে। রাত পর্যন্ত তাঁর পরিচয় জানা যায়নি।

স্বরচিত কবিতা পাঠের আসর
আসরে কবিরা।—নিজস্ব চিত্র।
স্বরচিত কবিতা পাঠের আসর আয়োজিত হল পূর্বস্থলী স্টেশন সংলগ্ন এলাকায়। পূর্বস্থলী সাহিত্য সংসদ ও বেঙ্গল রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে শনিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই আসর চলে। ছিলেন বর্ধমান, নদিয়া, হুগলি ও বীরভূম জেলার শতাধিক কবি। উদ্যোক্তাদের তরফে পুলক মণ্ডল, দীপঙ্কর চক্রবর্তী, শ্যামল রায়েরা জানান, অনুষ্ঠানে এসে অনেকেই তাঁদের সারা রাজ্যের কবিদের নিয়ে এমন একটি আসর বসানোর অনুরোধ করেছেন। এর পরে সেই চেষ্টা করা হবে বলে উদ্যোক্তারা জানান।

মাটি কাটার যন্ত্রে চাপা পড়ে মৃত্যু
মাটি কাটার যন্ত্রে চাপা পড়ে মৃত্যু হল এক যুবকের। রবিবার সকালে মন্তেশ্বরের জয়রামপুর সিংহালি মোড়ের ঘটনা। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম আলাউদ্দিন মির্জা (২২)। বাড়ি মাধবডিহি থানার বুজরুখদিঘি এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার কাজ চলছিল এলাকায়। একটি ঠিকা সংস্থার কর্মী হিসেবে আলাউদ্দিন মাটি কাটার যন্ত্রের গাড়িটির উপরে বসে কাজ করছিলেন। আচমকা উপর থেকে ছিটকে পড়ে যান। গাড়িটি তাঁর দেহের উপর দিয়ে চলে যায়। মন্তেশ্বর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন।

জিতল সিপিএম
শক্তিগড় সর্দার সফদর হাশমি উচ্চবিদ্যালয়ের অভিভাবক সমিতির নির্বাচনে ছ’টি আসনেই জিতল সিপিএম। বারো বছর আগে প্রতিষ্ঠিত ওই স্কুলে এই বারই প্রথম অভিভাবক সমিতির নির্বাচন হয়। ফল প্রকাশে দেখা যায় । স্থানীয় গোলাম জার্জিস বলেন, “স্কুল ভোটে আমরা কেন হারলাম, তা দেখতে হবে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.