বলা বারণ, অনিন্দ্য পরিচালনায়
লা বারণ।
একেবারেই বারণ ছিল।
অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় পরিচালক হচ্ছেন। প্রযোজক সুজিত সরকার।
২০১৩-র মে নাগাদ শ্যুটিং শুরু।
আর অবশ্যই সুর করছে ‘চন্দ্রবিন্দু’।
অনিন্দ্যকে দিয়ে কথা বলানো সহজ ছিল না। অবশেষে রাজি হলেন। স্বীকার করলেন এ বার উনি ক্যামেরার পেছনে। ঋতুপর্ণ ঘোষের ‘ব্যোমকেশ’এর অজিতের মেক আপ তোলার পরেই তিনি পরিচালকের ভূমিকায়।
“অনেক দিন ধরেই ছবি বানানোর একটা পরিকল্পনা ছিল। বিরাট স্টারকাস্ট নিয়ে নয়। সাধারণ গল্প। যেখানে বড় হয়েছি, সেখানকার গল্প বলতে চাই। উত্তর কলকাতার গলির একটা নিজস্ব গল্প থাকে। সব অর্থেই বাইরের হাওয়া ওখানে অনেক পরে গিয়ে পৌঁছায়। এক ধরনের রক্ষণশীলতা আছে সেখানে। সেখানে একটা কিশোর ছেলের বড় হয়ে ওঠার গল্প নিয়েই আমার ছবি,” বলেন অনিন্দ্য।
পরিচালক হিসাবে এতটাই সিরিয়াস যে, এই ছবিতে গায়ক অনিন্দ্যের প্রবেশ নিষেধ। তিনি খুঁজছেন অন্য গায়ককে।
কিন্তু গল্প লেখা, গান লেখা আর ছবি পরিচালনা সম্পূর্ণ ভিন্ন জিনিস। “নব্বইয়ের দশকের প্রত্যেক তরুণের কাছে গান একটা বড় হাতিয়ার ছিল। কিন্তু ছবি বানানোর ক্যানভাসটা অনেক বড়,” অনিন্দ্য বললেন।
‘অপরাজিতা তুমি’ তৈরি হওয়ার সময় থেকে সুজিতের সঙ্গে যে বন্ধুত্বটা শুরু হয় সেটা রূপ নেয় একটা পেশাদার সম্পর্কে। প্রচুর আড্ডা আর আলোচনার পর সুজিত তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন ছবি করার মতো কোনও স্ক্রিপ্ট নিয়ে তিনি তৈরি কি না? অনিন্দ্য তখন তাঁর লেখা চিত্রনাট্যের প্রাথমিক খসড়াটি সুজিতকে দেখান। সেই চিত্রনাট্য পড়ে সুজিত ছবি প্রযোজনার ব্যাপারে রাজি হয়ে যান। “একটা খসড়া চিত্রনাট্য তৈরি করেছি। নাম দেওয়া হয়নি এখনও। এই ছবিটার মধ্যে রয়েছে আমার বেড়ে ওঠা। গত বছর ইচ্ছে ছিল একটা ব্যক্তিগত গদ্যকে বইয়ের আকারে প্রকাশ করা। সেখান থেকেই শুরু হয় আমার লেখা ‘নিরুদ্দেশ সম্পর্কে ঘোষণা’। আমার গানগুলোর মধ্যেও আমার বেড়ে ওঠা আছে। চিলেকোঠার ছাদ লুকিয়ে আছে। আছে উত্তর কলকাতার অলিগলি,” বলছেন অনিন্দ্য।
‘চন্দ্রবিন্দু’ই এই ছবির জন্য সুর করছে, গান লিখছে। “আমার ছবিতে যে আটপৌরে মধ্যবিত্ত ফ্যান্টাসি আছে সেটা ‘চন্দ্রবিন্দু’ খুব সুন্দর রিলেট করতে পারবে। আমি নতুন গলা খুঁজছি যার মধ্যে তারুণ্যের উদ্দামতা খুঁজে পাব। পরিচালক হওয়ার আগে ঋতুপর্ণ ঘোষের কাছে কি কোনও টিপস পেয়েছেন তিনি? “নিশ্চয়ই। বাংলা বাণিজ্যিক সিনেমার মোড় ঘুরেছিল ওঁর ছবি দিয়েই। ঋতুদার টিপস বিরাট কাজে লাগবে। পরিচালক সুজয় ঘোষ ব্যোমকেশের ভূমিকাতে। আমি ওঁর কাছ থেকেও পরামর্শ নেব।” উত্তর অনিন্দ্যর।
উত্তর কলকাতা, স্মৃতির শহর, আর একটি কিশোরের বেড়ে ওঠা কী ভাবে মিলেমিশে যায় সেটাই এখন দেখার।
সেই ভিনদেশি তারা, তার চিলেকোঠার ছাদে কেমন একতারা বাজাবে ক্যামেরার পেছনে দাঁড়িয়ে শ্রোতা দর্শকেরা প্রগাঢ়ভাবে অপেক্ষা করবেন তা শোনার জন্যই।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.