|
|
|
|
তারাবাজি |
গুরুর প্রশ্ন উত্তর ছাত্রীর
পার্নো মিত্র। কি ঠিক পথে এগোচ্ছেন? তাঁর কাছেই জানতে চাইলেন
তাঁরই গুরু অঞ্জন দত্ত। শিষ্যাকে আধ ডজন প্রশ্ন |
|
অঞ্জন
১. ‘রঞ্জনা’ তৈরির সময় আমরা দু’জনে মিলে স্বপ্ন দেখতাম তুমি একদিন
বাংলা ইন্ডাস্ট্রিকে চমকে দেবে! স্টার হয়ে যাবে! লোকে তোমাকে কঙ্কনার সঙ্গে তুলনা করবে! বছর দু’য়েক বাদে আজ তুমি কোথায় বলে মনে কর?
২. তোমাকে এখনকার পরিচালকেরা কি সিরিয়াস অভিনেত্রী বলে মনে করেন? কঙ্কনাকে যতটা সিরিয়াসলি নেওয়া হয়!
৩. তুমি হয়তো বলবে যে, সে রকম ভাল রোল আসছে না। কিন্তু তুমি কি মনে করো না যে, ছোট রোল করেও নজর কাড়া যায়?
৪. ‘রঞ্জনা’ তৈরির সময় তুমি মন দিয়ে গিটার শিখেছিলে, ওয়ার্কশপ করেছিলে। এখন ডিরেক্টরেরা চাক বা না-চাক, কোনও রোল পেলে কি একই রকম খাটো?
৫. আমি এখনও বিশ্বাস করি তোমার সম্ভাবনা আছে। বড় অভিনেত্রী হতে পারবে তুমি। তুমি কি আজকালকার ডিরেক্টরদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখ? নাকি বাড়িতে বসে থাক কবে ওরা তোমায় ফোন করবে?
৬. তুমি ‘রঞ্জনা’ করার সময় শরীরচর্চা করতে। ডায়েটিং করতে। এখনও কি কর? |
|
ছবি: সোমনাথ রায়
স্টাইলিং: স্যান্ডি |
পার্নো
১. একটা মানুষের গ্রো করতে সময় লাগে। রোম তো একদিনে তৈরি হয়নি। আমার এখনও অনেক শেখার বাকি।
২. ডিরেক্টরেরা বলতে পারবেন। আমি জানি না। আই ডোন্ট হ্যাং আউট উইথ দেম।
৩. ছোট রোল করে নজর কাড়া যায় জানি। ‘মাছ মিষ্টি মোর’-য়ে তো আমার একটা ছোট রোল। ‘বেডরুম’-য়েও তো আমার মেন রোল নয়। তবু রীনাদি আমার প্রশংসা করেছিলেন। আমি বেশ লাকি যে বিভিন্ন ধরনের চরিত্র পেয়েছি। ফ্যাশন ফোটোগ্রাফার করেছি। মৈনাকের ‘আমি আর আমার গার্লফ্রেন্ডস্’-য়ে আমি ছাব্বিশ বছরের তরুণীর চরিত্র করেছি। যার জীবন সম্পর্কে কোনও ধারণা নেই। ‘মাছ মিষ্টি মোর’-য়ে আমি আঠারো বছর বয়সের মা। এত কিছু করার পরেও যদি সেটা মানুষের চোখে না পড়ে, আমার কিছু করণীয় নেই।
৪. লাস্ট ছবিতে আমি ঠিক ততটাই খেটেছি যতটা ‘রঞ্জনা’র সময় খেটেছিলাম। আমার ডিরেক্টরেরা খুব খুশি। আমি সব সময় নিজের হোমওয়ার্ক করেছি। নিজেকে নতুন ভাবে ক্রিয়েট করে যাচ্ছি। ‘আমি আর আমার গার্লফ্রেন্ডস্’ করার জন্য ড্রাইভিংও শিখেছি।
৫. আমি শাই। আমি ফোন করে বলতে পারব না, ‘কাজ দাও, কাজ দাও’। আজকালকার ডিরেক্টরেরা স্মার্ট আর পড়াশুনা জানা। ওদের যখন মনে হবে, ঠিকই ডেকে নেবে। আগ বাড়িয়ে নিজে বলাটা ডাজনট লুক নাইস। ইট ডাজনট মেক সেন্স। আমি রোলের জন্য ভিক্ষা করতে পারব না।
৬. যখন যে রোলের জন্য যা প্রয়োজন হয়, তা করি। ‘একলা আকাশ’ করার সময় আমাকে সাত কেজি বাড়াতে হয়েছিল। আমাকে মা-মা দেখায় এমন চেহারা করতে হয়েছিল। এর পর করি ‘দত্ত ভার্সেস দত্ত’। যার জন্য পাঁচ কেজি কমাতে হয়। আবার মৈনাকের ছবির জন্য তিন কেজি বাড়াতে হয়। এভাবে যখন যা করতে হয়েছে করেছি। আর একটা কথা বলি অঞ্জনদা, আপনাকে আজও নিজের গুরু মনে করি। নিজের মেন্টর বলে মানি। আপনাকে অনুরোধ- আমাকে পরামর্শ দিয়ে যাবেন। |
|
|
|
|
|