তখন চলছে গণ্ডগোল।
বন্ধ্যাকরণ করাতে গিয়ে মৃত দুই মহিলার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ এবং দোষীদের শাস্তির দাবিতে আসানসোল মহকুমা হাসপাতালে মৃতদেহ আটকে বিক্ষোভ দেখাল সিপিএম এবং তৃণমূল। শনিবার প্রথমে সিপিএম স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের আড়াই ঘণ্টা ঘেরাও করে রাখে। পরে কয়েকশো তৃণমূল কর্মী বিক্ষোভ দেখান।
শুক্রবার বারাবনির কেলেজোড়া ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বন্ধ্যাকরণ শিবিরে ৩৯ জন মহিলার অস্ত্রোপচার করানো হয়েছিল। এর মধ্যে মির্জাপুরের চানমনি হেমব্রম (৩৮) ও কালিপাথরের ভবানী টুডু (২৫) অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁদের আসানসোল মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকেরা তাঁদের ‘মৃত’ ঘোষণা করেন। তার পরেই হাসপাতালে এক দফা বিক্ষোভ দেখিয়েছিল সিপিএম। এ দিন দুপুরে বর্ধমানের উপ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দীপায়ন হালদার এবং আসানসোল স্বাস্থ্য জেলার মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক অরিতা সেন চট্টরাজ হাসপাতালে তদন্তে এলে সিপিএম সমর্থকেরা তাঁদের ঘেরাও করেন। |
অভিযোগ, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এক সঙ্গে ২৫ জনের বেশি মহিলার বন্ধ্যাকরণ করা যায় না। স্বাস্থ্য দফতর সেই নিয়ম লঙ্ঘন করেছে। দীপায়নবাবুর বক্তব্য,“সরকারি লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য বেশি রোগীর অস্ত্রোপচার করা হয়। কোনও গাফিলতি হয়েছে কি না, আমরা তদন্ত করে দেখছি।” আশ্বাসে সিপিএম নিরস্ত হওয়ার পরে তদন্তের দাবিতে তৃণমূল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। পরে মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৫০ হাজার টাকার চেক দেন দীপায়নবাবু। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, সরকারি চিকিৎসক নন, এমন ব্যক্তিরাও স্বাস্থ্য দফতর আয়োজিত বন্ধ্যাকরণ শিবিরে রোগীদের অস্ত্রোপচার করেন। শুক্রবারের শিবিরেও তেমন এক জন অস্ত্রোপচার করেছেন। ঘটনার দিন মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক দাবি করেছিলেন, বারাবনির ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক আসিফ সিরাজ ওই শিবিরে অস্ত্রোপচারের দায়িত্বে ছিলেন। বহু চেষ্টাতেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। দীপায়নবাবু জানান, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। |