এমআর বাঙুর হাসপাতালে চিকিৎসকদের হুমকি দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত দালাল-চক্রের তিন পাণ্ডা অবশেষে আদালতে আত্মসমর্পণ করল।
গরিব রোগীদের ন্যায্য মূল্যের দোকান থেকে ওষুধ কেনার কথা প্রেসক্রিপশনে লিখে ওই চক্রের তোপের মুখে পড়েছিল চিকিৎসকদের একাংশ। তাদের ‘জানে মেরে ফেলা’র হুমকিও দেওয়া হয়। সেই হুমকির ঘটনায় অভিযুক্ত তিন জনই শনিবার দুপুরে আলিপুর এসিজেএম আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে। তারা হল নাটা, গুড্ডা ও রানা। আপাতত তিন জন জামিন পেলেও তাদের সবিস্তার জেরা করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশি সূত্রের খবর, তিন অভিযুক্তই হাসপাতাল লাগোয়া এলাকার বাসিন্দা। বাঙুর হাসপাতালে রোগীদের বিভিন্ন প্যাথলিজক্যাল পরীক্ষা করাতে সাহায্যের নামে হাসপাতালে তাদের ঘোরা-ফেরা। এক দল ওষুধ ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগসাজশে তারা রোগী ও চিকিৎসকদের উপরে প্রভাব খাটানোর কাজে লিপ্ত হয়েছিল বলে পুলিশের দাবি। হাসপাতাল-চত্বরে ন্যায্য মূল্যের ডায়গনস্টিক সেন্টারে রোগীদের প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা করানোর বিষয়টিও এই ‘দালালদের’ না-পসন্দ ছিল বলে পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে। বাঙুর হাসপাতালের তরফে ৭ ডিসেম্বর যাদবপুর থানায় অভিযোগ করা হয়।
বাঙুরের সুপার সন্তোষ রায় জানান, পুলিশ ডাক্তার, নার্স, চতুর্থ শ্রেণির কর্মী— সবার সঙ্গেই কথা বলেছে। প্রশ্ন উঠেছে, অভিযোগ জমা পড়ার এক সপ্তাহ পরে পুলিশ কেন হাসপাতালে গেল? ডিসি (সাউথ সুবার্বান ডিভিশন) সুজয় নন্দ অবশ্য তদন্তে ঢিলেমির অভিযোগ মানতে চাননি। এক পুলিশকর্তা বলেন, “পুলিশ গুরুত্ব দিয়েই অভিযুক্তদের খোঁজ-খবর শুরু করেছিল। পুলিশি তদন্তে চাপে পড়েই তিন জন আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে।” যারা ধরা দিয়েছে, তাদের জেরা করে চক্রের আরও বড় চাঁইদের বিষয়ে তথ্য মিলবে বলে মনে করছে পুলিশ।
|
চিকিৎসার গাফিলতিতে শিশু মৃত্যুর অভিযোগ ঘিরে শনিবার সকালে উত্তেজনা ছড়ায় সবং গ্রামীণ হাসপাতালে। মৃত শিশুর পরিবারের লোকজন হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি বিএমওএইচের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান। পরিবারের লোকেদের চাপেই ময়না-তদন্তের জন্য শিশুটিকে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় ও হাসপাতাল সূত্রে খবর, প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে শুক্রবার সবং গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বর্ণালী কর। তিনি ভেমুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বসন্তপুরের বাসিন্দা। শনিবার ভোরে তিনি মৃত কন্যা সন্তান প্রসব করেন। বর্ণালীদেবীর স্বামী যুগল করের অভিযোগ, চিকিৎসার অবহেলাতেই শিশুটি মারা গিয়েছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখে উপযুক্ত পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন বিএমওএইচ রাজর্ষি দাস। |