|
|
|
|
প্রমাণ ছাড়া হাফিজ গ্রেফতার সম্ভব নয়, ফের বলল পাকিস্তান |
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
পাক অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী রেহমান মালিকের সঙ্গে আজ বৈঠকে ২৬/১১-র ষড়যন্ত্রীদের বিচার প্রক্রিয়া তাড়াতাড়ি শেষ করার উপরই বিশেষ জোর দিলেন মনমোহন সিংহ। পাশাপাশি লস্কর-ই-তইবার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হাফিজ সইদকে গ্রেফতারের দাবিও জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রীর ৭ নম্বর রেস কোর্সের বাড়িতে তাঁদের প্রায় ১৫ মিনিট বৈঠক হয়। সঙ্গে ছিলেন ভারতে পাক হাই কমিশনার সলমন বশিরও।
এ দিনের বৈঠকে পাক অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী স্পষ্ট জানান, কোনও প্রমাণ ছাড়া হাফিজ সইদকে গ্রেফতার করা সম্ভব নয়। নিজের বক্তব্যের সমর্থনে তিনি বলেন, “তথ্য এবং প্রমাণের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। ভারত তথ্য দিয়েছে। কিন্তু যত দিন না কোনও প্রমাণ মিলছে তত দিন কিছু করার নেই।” এমনকী ভারত উপযুক্ত প্রমাণ পেশ করলে পাকিস্তানের পৌছনোর আগেই তিনি হাফিজকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেবেন বলেও আশ্বাস দেন। এ ছাড়াও বলেন, খুব শিগগিরই ভারতে দ্বিতীয় বিচারবিভাগীয় কমিশন পাঠাবে পাকিস্তান। এই বিষয়ে যে জটিলতা ছিল তা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীলকুমার শিন্দের সহযোগিতায় মিটিয়ে ফেলা সম্ভব হয়েছে। ওই কমিশন ভারত থেকে তদন্ত সেরে ফিরলেই ২৬/১১-এর ষড়যন্ত্রীদের মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির চেষ্টা করা হবে। এ ছাড়াও মামলাটির দ্রুত রায় ঘোষণার জন্য লাহৌর হাইকোর্টে আবেদন কার হয়েছে। সেই আবেদন মঞ্জুর হলে আগামী তিন মাসের মধ্যে মামলাটির ফয়সালা হয়ে যাবে।
বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ঘটনাকে ২৬/১১-র সঙ্গে তুলনা করে তাঁর বিতর্কিত মন্তব্য প্রসঙ্গে রেহমান আজ বলেন, সাম্প্রদায়িক হিংসা রুখতে ভারত-পাকিস্তান দু’দেশকেই ব্যবস্থা নিতে হবে এ কথা বলতে চেয়েছিলেন। কারও ধর্মবিশ্বাসে তিনি আঘাত করতে চাননি। পাকিস্তানও এই সমস্যায় জর্জরিত। তাই তাঁর কথার নেতিবাচক মানে বের করা উচিত নয়।
আজ ফের প্রধানমন্ত্রীকে পাকিস্তান সফরে যাওয়ার অনুরোধ করেন রেহমান মালিক। তিনি বলেন, পাকিস্তানের মানুষ মনমোহন সিংহকে দেখতে চান। বিশেষ করে যে গ্রামে মনমোহন জন্মেছিলেন সেই চাটওয়াল গ্রামের বাসিন্দারা। যদি তিনি পাকিস্তান সফরে না যান তা হলে পাকিস্তানিরা আশাহত হবেন। |
|
|
|
|
|