|
|
|
|
দোকানে লুঠপাট হেমতাবাদে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রায়গঞ্জ |
দুই সোনার দোকানের মালিককে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে খুনের হুমকি দিয়ে নগদ টাকা, সোনা রূপো মিলিয়ে প্রায় এক লক্ষ টাকার সামগ্রী ডাকাতি করে পালাল দুষ্কৃতীরা। শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে হেমতাবাদের বাসস্ট্যান্ড এলাকায়। দুষ্কৃতীরা পালানোর সময়ে শূন্যে পাঁচ রাউন্ড গুলি চালানোর পাশাপাশি ১৫টির উপরে বোমাও ছোড়ে বলে ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের অভিযোগ। ভর সন্ধ্যায় জনবহুল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায়। এলাকার সমস্ত দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বোমার টুকরো ও কয়েক রাউন্ড তাজা কার্তুজের খোল উদ্ধার করেছে। রায়গঞ্জের ডিএসপি জ্যোতিষ রায় বলেন, “দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে। বিভিন্ন থানাকে সতর্ক করা হয়েছে।”
পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন সন্ধ্যা ছ’টা নাগাদ প্রায় ২০ জনের একটি দুষ্কৃতীর দল হেমতাবাদ বাসস্ট্যান্ড এলাকার সোনার দোকানের মালিক গোপাল রায় ও রতন রায়ের দোকানে চড়াও হয়। গোপালবাবু ও রতনবাবু সম্পর্কে দুই ভাই। দুষ্কৃতীদের প্রত্যেকের মুখ কাপড় ও চাদরে ঢাকা ছিল। দুষ্কৃতীরা একযোগে দোকান দু’টিতে ঢুকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে খুনের হুমকি দিয়ে নগদ টাকা, সোনা ও রূপো ছিনিয়ে নেয়। স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা বিষয়টি টের পেতেই ভিড় করতে থাকেন। বেগতিক বুঝে দুষ্কৃতীরা শূন্যে গুলি চালাতে শুরু করে। তার পরে বোমাবাজি করতে করতে পালায়।
ঘটনার সময় ওই এলাকা লাগোয়া দফতরেই ছিলেন হেমতাবাদের বিডিও শুভ্রজিত গুপ্ত। তিনি বলেন, “অফিসে ছিলাম। বোমা-গুলির শব্দ পাই। স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত। পুলিশকে দ্রুত দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করার জন্য বলেছি।”
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, দুষ্কৃতীরা হেমতাবাদ বিডিও অফিসের পাশ দিয়ে শেরগ্রাম, বিষ্ণুপুর কিংবা বিন্দোলের দিকে পালিয়েছে। এলাকার পাশেই কোথাও দুষ্কৃতীদের গাড়ি রাখা ছিল বলে পুলিশের সন্দেহ। ওই এলাকার বাসিন্দাদের পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। |
|
|
|
|
|