বিদেশি বোতলে জাল মদই গিলছে মানুষকে
ংগ্রামপুরে বিষ মদে মৃত্যু মিছিলের ছবি এখনও মুছে যায়নি। কিন্তু সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা নেয়নি রাজ্য। এক বছর পরেও রাজ্যের অন্য প্রান্তে পুরুলিয়া জেলায় আবগারি দফতরের পরিকাঠামো সেই নিধিরাম হয়েই রয়ে গিয়েছে। আর সেই সুযোগেই এই জেলায় চোলাই ও হাড়িয়ার রমরমায় ভাটা পড়েনি।
কাশীপুরের ইসন্দা থেকে বোরোর পিটিবিড়ি, সাঁতুড়ি, বান্দোয়ান, মানবাজার, পুরুলিয়া শহর— সর্বত্র বহু পুরোনো মদের ভাটিগুলি চলছে আগের মতোই। সে সবের হদিশ আবগারি দফতরের কর্তাদের কাছে থাকলেও লোকবলের অভাবেই নিয়মিত অভিযান চালানো যাচ্ছে না বলে তাঁরা স্বীকার করে নিয়েছেন।
পদ্ধতিগত ত্রুটির জন্য চোলাই বা হাড়িয়া থেকে বিষক্রিয়ায় মৃত্যু তো হতেই পারে। কিন্তু তার থেকেও বেশি ভাবিয়ে তুলেছে জাল বিদেশি মদের ব্যবসা। স্থানীয় সূত্রে খবর, কাশীপুরের ইসন্দা এবং সাঁতুড়িতে জাল বিদেশি মদ তৈরির দু’টি ছোট কারখানা রয়েছে।
কী ভাবে তৈরি হয়? ওই কারখানার কিছু কর্মী জানাচ্ছেন, দেশি মদ তৈরির জন্য ইস্ট, গুড়, স্পিরিট, গাছের শিকড়.এবং সহজেই নেশা ধরানোর জন্য মেশানো হয় ইউরিয়া সার। বাড়তি হিসেবে জাল বিদেশি মদ তৈরির জন্য নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডের মদের রঙ আনতে পরিমাণ মতো আলতা ব্যবহার করা হয়। কাশীপুরে কয়েক মাস আগে দেশি মদ খেয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছিল। জাল দেশি মদেই মৃত্যু কি না প্রশ্ন উঠেছিল। বোরো থানার পিটিবিড়ি গ্রামের অদূরে কুমারী নদীর চরে দেড় দশকের বেশি সময় ধরে জাল দেশি মদ তৈরির ভাটি ও দোকান রয়েছে। সেখান থেকে ঝাড়খণ্ডেও মদ যাচ্ছে। আবগারি দফতরের অতিরিক্ত সুপারিন্টেডেন্ট অমিয়াংশু দে-র দাবি, “অভিযোগ পেলেই অভিযান চালাই।”
নিধিরাম আবগারি
সার্কেল: ৯।
সাব ইন্সপেক্টর: ৯ (শূন্য পদ ৫)।
এএসআই: ৫ (শূন্য পদ ১৪)।
কনস্টেবল: ৩৫ (শূন্য পদ ৫২)।
গাড়ি: ২।

দ্বিতীয় পর্যায়ের শিলান্যাস রবিবার
ডিভিসি-র রঘুনাথপুর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় পর্যায়ের শিলান্যাস করতে কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী জোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া আসছেন রবিবার। এ বার ১৩২০ মেগাওয়াটের দু’টি সুপার ক্রিটিক্যাল ইউনিট নির্মাণ করা হবে। প্রথম পর্যায়ে ১২০০ মেগাওয়াটের দু’টি ইউনিট তৈরির কাজ এখন শেষ পর্যায়ে। তবে রেল করিডর ও ওয়াটার করিডরের কাজ এখনও শেষ হয়নি। জমি সংক্রান্ত সমস্যা থাকায় কাজ চলছে ঢিমেতালে। ডিভিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম পর্যায়ের কাজের শিলান্যাস করতে এসে তৎকালীন কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী সুশীলকুমার শিন্ডে এই প্রকল্পের কাজ সম্প্রসারিত করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রথম পর্যায়ের কাজে প্রত্যাশিত গতি না আসায় দ্বিতীয় পর্যায়ের ইউনিটগুলি হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। মাসখানেক আগে কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রকের কাছ থেকে দ্বিতীয় পর্যায়ের ইউনিট গড়ার ব্যাপারে সবুজ সংকেত আসায় সেই জল্পনা বন্ধ হয়। কাজের বরাত পেয়েছে ভেল। নতুন করে অবশ্য জমি অধিগ্রহণ করতে হচ্ছে না। প্রথম পর্যায়ে পাওয়া ৯২৬ একর জমিতেই দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ করা হবে। এ জন্য প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দও হয়ে গিয়েছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.