|
|
|
|
|
|
দক্ষিণ কলকাতা: বেহালা |
দুর্ভোগের সফর |
শাট্ল সম্বল |
দেবাশিস দাস |
সপ্তাহের ব্যস্ত দিনগুলিতে বাড়ি ফেরার সহজতম উপায় শাট্ল গাড়ি। কারণ বাস এবং অটো দু’টোই দুর্লভ। এমনই অবস্থা বেহালার চৌরাস্তা, সখেরবাজার, সরশুনা, পর্ণশ্রী, শীলপাড়া, ঠাকুরপুকুর এবং জোকা এলাকার বাসিন্দাদের। এঁদের মধ্যে অনেকেই মহানায়ক উত্তমকুমার স্টেশন থেকে মেট্রোয় কর্মস্থলে যাতায়াত করেন। কিন্তু তাঁদের অভিযোগ, টালিগঞ্জ থেকে বেহালায় ফেরার বাস পাওয়াই যায় না। অটো ধরার জন্য দাঁড়াতে হয় লম্বা লাইনে। তাই মহানায়ক উত্তমকুমার স্টেশনে নেমে নির্ভর করতে হয় শাট্ল গাড়ির উপরেই। |
|
নিত্যযাত্রী সবুজ সান্যালের কথায়: “অটো বা বাসের জন্য অপেক্ষা করলে আধ ঘণ্টার পথ পৌঁছতে সময় লেগে যায় দেড় থেকে দু’ঘণ্টা। তাই তাড়াতাড়ি যাতায়াতের জন্য শাট্ল গাড়ির উপরেই নির্ভর করতে হয়।”
অথচ বেহালার ওই সব এলাকার বাসিন্দারা যাতে মেট্রোর সুফল ভোগ করতে পারেন তার জন্য মহানায়ক উত্তমকুমার স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় একটি বাসস্ট্যান্ড রয়েছে। টালিগঞ্জ থেকে জোকা পর্যন্ত একটি সরকারি বাসও চলে। তবে নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, সারা দিনই বাসটি কম পাওয়া যায়। আর সন্ধ্যার পরে তো দেখাই পাওয়া যায় না। এর ফলে বাসস্ট্যান্ডের অনেকটা অংশ চলে গিয়েছে দখলদারদের দখলে। বিকেল থেকেই বাসস্ট্যান্ডের পাশে ছোট বাজার বসে যায়। সন্ধ্যা সাতটার পর থেকে বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় শাট্ল গাড়ির লাইন পড়ে যায়। |
|
বেহালার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা এবং নিত্য যাত্রীদের বক্তব্য: সরকারি বাসটির সংখ্যা বাড়ানো হলে মেট্রোয় যাতায়াত অনেক সুবিধাজনক হবে। শাট্ল গাড়িতে যাতায়াতের জন্য তাঁদের খরচও বেশি হয়। বাসে বা অটোয় যাতায়াত করলে সব মিলিয়ে ২০ টাকা খরচ হয়। সেখানে শাট্ল গাড়িতে যাতায়াত করলে দিনে ৪০ টাকার বেশি খরচ হয়। কাজেই দিনের পর দিন এই ভাবে যাতায়াত করাটা বিড়ম্বনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সংশ্লিষ্ট মহলে এ নিয়ে একাধিক বার আবেদনও জানিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু আশ্বাস মিললেও সমস্যার কোনও সুরাহা হয়নি।
এ বিষয়ে পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র বলেন, “টালিগঞ্জ থকে বেহালা রুটে যানবাহনের যে সমস্যা রয়েছে, তা আমাদের নজরে এসেছে। ৩৪ বছরের সমস্যার সমাধান কয়েক মাসে করা সম্ভব নয়। আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত সমাধান করার।”
|
ছবি: অরুণ লোধ |
|
|
|
|
|