|
|
|
|
নবির হাত ধরে মেহতাব, ভাল খেলে জবাব দে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
দু’দলের কর্মকর্তাদের মধ্যে যতই অহিনকুল সম্পর্ক থাকুক না কেন, হাসপাতাল থেকে প্রিয় বন্ধু বাড়ি ফিরতেই সবুজ-মেরুনের রহিম নবির বাড়িতে পৌঁছে গেলেন লাল-হলুদের মেহতাব হোসেন। সস্ত্রীক। বিশ্রামে থাকা নবির দু’হাত ধরে মেহতাবের আর্জি, “পুরো সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরে আয়। অভিমান-ক্ষোভের জবাব তোকে দিতে হবে ভাল খেলে, গোল করে।” যা শুনে আনন্দবাজারকে নবির প্রতিক্রিয়া, “মেহতাবের কথাগুলো মাঠে নেমে ফের ভাল খেলার জেদ বাড়িয়ে দিল আমার।”
শুক্রবার ছিল নবির জন্মদিন। সকাল থেকেই সতীর্থ ফুটবলার এবং গুণগ্রাহীদের ফোন, এসএমএসের বন্যা বয়ে গিয়েছে ‘মোহনবাগানের এসিয়েন’ (নবিকে এই নামেই ডাকেন বাগান কোচ করিম বেঞ্চারিফা)-এর বাড়িতে। কিন্তু নবির কথায়, “সন্ধে সাড়ে ছ’টা নাগাদ মেহতাব বাড়িতে আসতেই মনটা আনন্দে ভরে গেল।” হাওড়ায় নবির অবিনাশ ব্যানার্জি লেনের ফ্ল্যাটে এর পর পাক্কা দু’ঘণ্টা আড্ডা সোমা-মৌমিতা এবং নবি-মেহতাবের। আড্ডার ফাঁকে রবিবারের সেই বিতর্কিত ডার্বির রক্তাক্ত মুহূর্তের কথাও উঠেছে। নবি বলেন, “ওই মুহূর্ত ভুলব না।” বন্ধুকে স্বাভাবিক করতে মেহতাব সঙ্গে সঙ্গে বলেন, “বাংলা ফুটবলের কালো অধ্যায়। ইঁটটা আমাদের যে কোনও কারও গায়ে লাগতে পারত।” |
|
শুক্রবার ছিল রহিম নবির জন্মদিন। সেই উপলক্ষ্যে তাঁর হাওড়ার
বাড়িতে সস্ত্রীক হাজির মেহতাব হোসেন। ছবি মেহতাবের সৌজন্যে। |
রবিবারের ভেস্তে যাওয়া ম্যাচের দুই শিবিরের দুই ফুটবলার যখন কাছাকাছি তখন মোহনবাগান এবং ফেডারেশনের দূরত্ব কিন্তু একচুলও কমেনি। মোহনবাগান কর্তারা রবিবারেরর ম্যাচ ভেস্তে যাওয়ার পর থেকেই কী পরিস্থিতিতে তাঁদের দল তুলে নিতে হয়েছিল তা ফেডারেশনকে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে শুনতে হবে বলে দাবি তুলেছিলেন। ফেডারেশন সূত্রে খবর, মোহনবাগানের সেই দাবি মেনে নিতে চলেছে ফেডারেশন। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মোহনবাগানকে ইঙ্গিত করে বলেন মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে আসা ঠিক হয়নি। ফলে কিছুটা হলেও চাপ বেড়েছে গঙ্গাপারের তাঁবুতে। তবে মোহনবাগান কর্তারা আশাবাদী, শাস্তির নামে ২২ সি ধারা লঙ্ঘনের দায়ে ফেডারেশন কর্তারা তাঁদের কথা না শুনে হঠাৎ কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন না। তবে দু’পক্ষই আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে নিজেদের তৈরি রাখছে। সবুজ-মেরুন শিবিরের কর্তারা মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, সে দিন নবি গুরুতর আহত হওয়ার পর ড্রেসিংরুমে সেই খবর শুনে ফুটবলাররাই মাঠে নামতে চায়নি। যা কিছুটা হলেও তাঁদের পক্ষে যেতে পারে বলে খবর।
ফেডারেশন সচিব কুশল দাস শুক্রবার বেশি রাতে দেশে ফিরেছেন। ফেডারেশন সূত্রে খবর, আগামী সপ্তাহে এ ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত হলেও হতে পারে। এআইএফএফ প্রেসিডেন্ট প্রফুল্ল পটেল পুরো বিষয়টি নিয়ে ধীরে চলতে চাইছেন। কারণ, আই লিগ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা ছাড়াও মোহনবাগান ক্লাবের বিপুল জনপ্রিয়তা এবং ঐতিহ্যের কথাও মাথায় রেখেছেন তিনি।
এ ক্ষেত্রে এক কিংবা তিন সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করা হতে পারে বলে খবর। যে কমিটি দু’পক্ষেরই কথা শুনে পুরো বিষয় খতিয়ে দেখে নিজেদের সিদ্ধান্ত ফেডারেশন প্রেসিডেন্টকে জানাবে। এখন কারা সেই কমিটিতে থাকবেন তা ঠিক করার ভার ফেডারেশনের তরফে প্রফুল্ল পটেলকেই দেওয়া হয়েছে। বিশ্বস্ত সূত্রে খবর, সর্বজন পরিচিত কোনও অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে নিয়ে এক সদস্যের কমিটি গঠন করতে আগ্রহী তিনি। |
|
|
|
|
|