|
|
|
|
ক্রিকেটদেবতাকে পরামর্শ ক্রিকেটপ্রেমীদের |
যজ্ঞ করুন ফিরে যান রাজ্যসভায় |
রাজীব ঘোষ • নাগপুর |
ওই যে! ড্রেসিংরুমের দিকে হাঁটছেন সচিন তেন্ডুলকর!
জামথা স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে থাকা জনতাও ঘরমুখো। জেমস অ্যান্ডারসনের মারণ সুইং শুধু সচিনের স্টাম্প উপড়ে দিল না, চিরে দিল দর্শকদের ‘দিল’-ও।
সাময়িক অবসরে প্রেসবক্সের বাঁ-দিকের ব্লকে সতীর্থ ধারাভাষ্যকারের সঙ্গে কথা বলছিলেন রাহুল দ্রাবিড়। বাঁ দিকের কমেন্ট্রি বক্স থেকে বেরিয়ে এলেন পল কলিংউড। রাহুলকে দেখে তিনটে আঙুল দেখিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, “থ্রি ডেইজ?” বলেই হেসে লুটোপুটি খাওয়ার উপক্রম প্রাক্তন ইংল্যান্ড তারকার। রাহুলের মুখে শুকনো হাসি। কিন্তু তিনটে আঙুল দেখিয়ে কলিংউড কী ইঙ্গিত করলেন? সচিনের টেস্ট জীবনের আয়ু আর তিন দিন (কারণ নাগপুর টেস্টের আর তিন দিন বাকি)? নাকি, নাগপুরে তিন দিনে ভারতকে সাবাড় করে দেবে ইংল্যান্ড?
সচিন তেন্ডুলকরের বোল্ড হওয়ার রিপ্লে চলছেই। শেষ ১০-১১টা ইনিংসে সাত বার বোল্ড। সচিনকে ন’বার ফিরিয়ে রেকর্ড গড়ে ফেললেন অ্যান্ডারসন। টেস্টে আর কোনও বোলার সচিনকে এত বার আউট করেননি। এই নিয়ে ২৩ বছরের টেস্ট জীবনে ২৬ বার বোল্ড হলেন সচিন। যার মধ্যে এ বছরই ছ’বার। এমন পরিসংখ্যানও পাওয়া যাচ্ছে।
শুক্রবার পড়ন্ত বিকেলে সচিনের স্টাম্প ওড়ার দৃশ্য দেখতে দেখতে রাহুলের হয়তো মনে হচ্ছিল, তাঁর রাস্তাতেই এ বার হাঁটুন না একদা সতীর্থ। জিজ্ঞাসা করতে বললেন, “কী আর বলব। আয়্যাম স্পিচলেস।” পরে টিভি বক্সে বসে নিজেকে সামলে নিয়ে বললেন, “সচিন ওই ডেলিভারির সামনে পুরোটা এগোতে পারেনি। আগে যে রকম ও নিজের ইনিংসকে নিয়ন্ত্রণ করত, এখন পারছে না। যে সচিনের কাছে সেঞ্চুরি ব্যাপারই ছিল না সে স্ট্রাগল করছে, দেখতে খারাপ লাগছে। আমি অবশ্য আশাবাদী ও রানে ফিরবে। হয়তো পরের ইনিংসেই।”
সচিন যখন আউট হয়ে ফিরছেন, টিভি বক্সে মাইক্রোফোনের সামনে সুনীল গাওস্কর ও সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। দু’জনেই প্রায় একই কথা বললেন। “সচিনের পা-ই তো ঠিক জায়গায় পৌঁছতে পারল না।” পরে সৌরভ যোগ করেন, “অ্যান্ডারসনের বোলিংকে কৃতিত্ব দিতেই হবে। আসলে ও এই মুহূর্তে সেরা ফর্মে রয়েছে। যার সামনে বারবার পড়ছে ফর্মে না থাকা সচিন। সুইং বুঝতে অসুবিধে হচ্ছে ওর।”
সোশ্যাল নেটওয়ার্কে রাশি রাশি পোস্ট। কোনওটাতে সচিনকে রাজ্যসভায় ফিরে যাওয়ার পরামর্শ, কেউ বলছেন সৌরভের পর এ বার সচিনেরও শেষ টেস্ট হোক নাগপুরে। কেউ বলছেন, যজ্ঞ করুন সচিন। সচিন তেন্ডুলকর সম্পর্কে কোনও দিন এ সব কথা বলা হবে, কেউ কখনও ভাবতে পেরেছিল? |
|
|
|
|
|