গণ্ডগোল কোথায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার পক্ষে বয়সটা বেশি হয়ে গিয়েছে। শরীর আর দিচ্ছে না। বলের লাইনে পা ঠিকঠাক যাচ্ছে না। ক্রিকেটার হিসেবে তেন্ডুলকর এখন বুড়ো।
কী ভাবে সামলাবে গ্রেটেস্টের পক্ষেও এই বয়সে নিজের ব্যাটিং ফর্মে ফেরা প্রায় অসম্ভব। এ ব্যাপারে সচিন আর কপিলের টেস্ট জীবনের শেষটা আমার চোখে একই রকম। কপিল দেবের ৪৩৪ উইকেটের বিশ্বরেকর্ডের সময় শুধু ওই রেকর্ডটার জন্য খেলে যাচ্ছিল। কিন্তু এখনকার সচিনের মতো কপিলও তখন টেস্ট জীবনের প্রান্তে। ফলে ওর মতো গ্রেটেস্টের পক্ষেও নিজের ফর্মে ফেরা সম্ভব হয়নি।
আর এক গ্রেটেস্ট গাওস্করের ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেই বিরাশির টেস্ট সিরিজে খুব খারাপ সময় গিয়েছিল। অ্যান্ডারসনের মতোই তখন নর্ম্যান কাওয়ান্স প্রায়ই গাওস্করকে বোল্ড করত। কিন্তু গাওস্করের তখন বয়স কম ছিল। তাই নিজের ব্যাটিং ফর্মে ফিরতে পেরেছিল।
এটাই কি চূড়ান্ত সমাপ্তি নাগপুরে দ্বিতীয় ইনিংসেও রান না পেলে কিন্তু সচিনের অবসরের সিদ্ধান্তটা আর ওর একার হাতে থাকবে না। সব ভাল জিনিসেরও একটা শেষ থাকে। ক্রিকেট-ঈশ্বরই যেন সচিনকে এ দিন সেই বার্তা দিলেন। নইলে নেটে এত খাটাখাটনি, এমনকী রঞ্জি খেলা সত্ত্বেও সচিনের ভাল সময় ফিরছে না কেন? এ দিন যেন মনে হল, ওর আত্মবিশ্বাসেই ধাক্কা লেগেছে। সাধারণত সচিন নিজের ব্যাটিংয়ের আগে ড্রেসিংরুমের সামনে হেলমেট মাথায়, প্যাড পরে, ব্যাট হাতে চুপচাপ মাঠের দিকে তাকিয়ে খেলা দেখে। কিন্তু এ দিন টিভিতে দেখলাম, ও ছটফট করছে। বারবার পা নাড়াচ্ছে। ভেতরে-ভেতরে নার্ভাস হলে যেমন হয়। সচিন নার্ভাস— ভাবতেই পারছি না!
|