|
|
|
|
লটারিতে সুযোগ না-পেলে আবেদন জেলা শিক্ষা দফতরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
বেসরকারি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র শেখ তারিফ। পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য দু’টি স্কুলে ফর্ম তুলেছিলেন তার অভিভাবক। কিন্তু, দু’টি স্কুলেই লটারিতে নাম ওঠেনি। ফলে, তারিফের ভর্তির বিষয়টি নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন তার পরিবারের লোকেরা। শুধু তারিফ নয়, এমন সমস্যায় পড়েছে অনেকেই। নতুন শিক্ষাবর্ষে পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে মেদিনীপুর শহরে ফের শুরু হয়েছে গোলযোগ।
জেলা শিক্ষা দফতর অবশ্য চতুর্থ শ্রেণি উত্তীর্ণ সমস্ত ছাত্রছাত্রীকেই পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির সুযোগ করে দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) সঙ্ঘমিত্র মাকুড় বলেন, “পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি নিয়ে অভিভাবকদের একটা উদ্বেগ থাকেই। তবে এ ক্ষেত্রে সমস্যা হবে না। চতুর্থ শ্রেণি উত্তীর্ণ সব ছাত্রছাত্রীই পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির সুযোগ পাবে। কোনও স্কুলে ভর্তির সুযোগ না-পেলে আমাদের দফতরে আবেদন করতে হবে। সেই আবেদন খতিয়ে দেখে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।” আগামী ২৭ ডিসেম্বর থেকে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের (মাধ্যমিক) দফতর থেকে আবেদনপত্র মিলবে। ক’দিন এই আবেদনপত্র দেওয়া হবে, কবের মধ্যে তা জমা দিতে হবেআগামী দিনে তা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দেবে দফতর। দফতরের নোটিস বোর্ডে ওই বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে।
পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি নিয়ে কমবেশি জেলার বিভিন্ন এলাকাতেই সমস্যা রয়েছে। রাজ্য সরকারের নির্দেশ রয়েছে, লটারির মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি করতে হবে। আবার যে সব স্কুলে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিভাগ একই ক্যাম্পাসে রয়েছে, সেখানে চতুর্থ শ্রেণি উত্তীর্ণরা সরাসরি পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির সুযোগ পাবে। জেলা শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, খড়্গপুর কিংবা ঘাটালে ভর্তি সংক্রান্ত সমস্যা সে ভাবে দেখা দেয়নি। সমস্যা হচ্ছে মেদিনীপুরের ক্ষেত্রে। পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য মেদিনীপুরে বেশ কিছু স্কুলে লটারি হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে। এক-দেড় সপ্তাহের মধ্যেই বাকিগুলিতে লটারি হয়ে যাবে। লটারিতে নাম না-ওঠায় শহর ও তার আশপাশের এলাকার বহু ছাত্রছাত্রী এখনও পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারেনি। স্বাভাবিক ভাবেই উদ্বেগে রয়েছেন তাদের পরিবারের লোকজন।
শিক্ষা দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, “গত তিন-চার বছরে শহরের জনসংখ্যা ব্যাপক হারে বেড়ে গিয়েছে। তাই এই ধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। শহরের স্কুলগুলিতে পঞ্চম শ্রেণিতে আসন সংখ্যা যত রয়েছে, চতুর্থ শ্রেণি উত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা তার চেয়ে অনেক বেশি। তাই এই সমস্যা।” ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন অভিভাবক জেলা শিক্ষা দফতরে গিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। এক অভিভাবকের কথায়, “আমার মেয়ে শহরের এক বেসরকারি স্কুলে পড়াশোনা করেছে। সরাসরি পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির সুযোগ নেই। ইতিমধ্যে এক স্কুলে লটারি হয়েছে। সেখানে নাম ওঠেনি। মেয়ের ভর্তির বিষয়টি নিয়ে চিন্তায় রয়েছি।” জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) অবশ্য বলেন, “গত বছরও এমন পরিস্থিতি হয়েছিল। প্রায় ৫০০ জন ছাত্রছাত্রী আবেদন করেছিল। তাদের সকলকেই কোনও না-কোনও স্কুলে ভর্তির ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে।”
জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের এই আশ্বাসই এখন ভরসা অভিভাবকদের। |
|
|
|
|
|