|
|
|
|
নগদ ভর্তুকি ভোটের বড় অস্ত্র, প্রচার চান রাহুল
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
দুর্নীতির অভিযোগ তোলার নেতিবাচক রাজনীতি নয়। বরং দুর্নীতি মোকাবিলার ইতিবাচক পদক্ষেপকে হাতিয়ার করেই লোকসভা ভোটের যুদ্ধে নামার কৌশল নিলেন রাহুল গাঁধী। এ ক্ষেত্রে হাতে নগদ ভর্তুকির প্রকল্পই তাঁর সব চেয়ে বড় হাতিয়ার।
লোকসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে বিজেপি যখন দুর্নীতির অস্ত্রে কংগ্রেসকে ঘায়েল করতে চাইছে, তখন রাহুলের নেতৃত্বে দল প্রচার করবে, কী ভাবে নগদ ভর্তুকির প্রকল্প আমলাতন্ত্রের নীচুতলার দুর্নীতি থেকে মুক্তি দেবে মানুষকে। দলের ৫১ জন জেলা সভাপতিকে নিয়ে এক কর্মশালায় আজ প্রচারের এই সুর বেঁধে দিলেন রাহুল। নির্দেশ, ভর্তুকির নগদ হস্তান্তরের সুবিধাগুলি নিয়ে গ্রামে-গঞ্জে গিয়ে প্রচার করতে হবে কংগ্রেসের নেতা-কর্মীদের।
লোকসভার ভোটযুদ্ধে নামার আগে খাদ্য-সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, বহুল-প্রচলিত ওষুধের দাম কমানো, একশো দিনের কাজ প্রকল্পে মজুরি বাড়ানোর মতো বিষয়কেও অস্ত্রসম্ভারে সামিল করার লক্ষ্য রয়েছে কংগ্রেসের। কিন্তু সেই সঙ্গে সনিয়া গাঁধী ও রাহুল, মনে করেন, এই একটি প্রকল্পই খেলা অনেকটা কংগ্রেসের অনুকূলে এনে দেবে। কেননা, এই প্রকল্প সুষ্ঠু রূপায়ণ হলে সাধারণ মানুষ বুঝতে পারবেন, প্রকৃত পক্ষে কতটা টাকা সরকার তাঁদের প্রতি মাসে দিচ্ছে। আর তাই সরকারও এই প্রকল্প বাস্তবায়নে জোর কদমে চলছে। প্রথম লক্ষ্য, ১ জানুয়ারি থেকে দেশের ৪৩টি জেলায় ভাতা, পেনশন-সহ ৩৪টি প্রকল্পের টাকা নগদে উপভোক্তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া। তার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন। সংশ্লিষ্ট ৪৩ জন জেলাশাসককে দিল্লিতে ডেকে বৈঠক করারও সিদ্ধান্ত হয়েছে। স্থির হয়েছে, রেশনে খাদ্য সরবরাহ প্রকল্পে পরিবর্তন আনা হবে না। অন্তত দু’বছরের মধ্যে খাদ্যমূল্যের নগদ হস্তান্তর চালু করবে না সরকার। বিজেপি অবশ্য এর মধ্যেই নগদ ভর্তুকি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। তাঁদের বক্তব্য, এই প্রকল্প চালু হলেই দুর্নীতি বন্ধ হয়ে যাবে তা নয়। সরকার ইতিমধ্যে যে পাইলট প্রকল্প চালিয়েছে, তাতে অনেকে এর সুবিধা পাচ্ছেন না আধার নম্বর না থাকায়।
এই অন্তর্ঘাতের আশঙ্কা সম্পর্কে সজাগ থাকার নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি রাহুল স্মরণ করিয়ে দেন “প্রতি দশ বছর অন্তর দেশের অর্থনীতিতে নতুন বিপ্লব ঘটিয়েছে কংগ্রেস। নব্বইয়ে টেলিকম বিপ্লব, পরের দশকে মোবাইল ফোনে বেড়েছে যোগাযোগ ও উপার্জনের পথ। এ বার আসছে নগদ ভর্তুকি।” দলের এক নেতা বলেন, “দলে থেকে রাজনৈতিক ফায়দাও পাবে। বহু ব্যাঙ্ক প্রতিনিধি নিয়োগ করা হবে। পাড়ার দোকানদারও আয়ের নতুন রাস্তা পাবেন। স্রেফ একটি প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের প্রতিটি পরিবারের কাছে পৌঁছে যাবে দল।” |
|
|
|
|
|