সিপিএমের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক গৌতম দেবের সভার আগেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল বাগুইআটি থানা এলাকায় কেষ্টপুরের মিশন বাজার। সিপিএম সমর্থকরা শুক্রবার সকাল ১১টা নাগাদ যখন সভার মঞ্চ তৈরি করছিলেন, সেই সময় এক দল তৃণমূল সমর্থক মঞ্চ ভাঙচুর করেন বলে অভিযোগ। তৃণমূল অবশ্য তা অস্বীকার করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, চেয়ার-টেবিল রাখার সময় এক দল যুবক ওই মঞ্চে উঠে পড়ে ভাঙচুর শুরু করে। এমনকী, যাঁরা মঞ্চ তৈরির কাজ করছিলেন, তাঁদেরও ধাক্কা দেওয়া হয়। মঞ্চ তৈরির কাজে যুক্ত তারা দে-র অভিযোগ, “২০-২৫ জন যুবক মঞ্চের উপরে উঠে চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করতে শুরু করল। আমাকে ধাক্কা মেরে মঞ্চ থেকে ফেলে দেয়। চিৎকার করে ওরা বলছিল, সিপিএম করলে গুলি করে মেরে দেব! আমরা আতঙ্কে এখন ঘরছাড়া।”
|
মঞ্চ ভাঙচুরের পরে ভ্যান থেকেই সভা গৌতম দেবের।—নিজস্ব চিত্র |
রাজ্যের মন্ত্রী তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বক্তব্য, “অভিযোগ মিথ্যা। সিপিএম আমাদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে! ওদের লোকেরাই মঞ্চ ভাঙচুর করে হাওয়া গরম করার চেষ্টা করছে। পরশু শাসনে আমাদের সভা আছে। আমাদের সমর্থকেরা সেই সভার প্রস্তুতির কাজে ব্যস্ত। কেষ্টপুরের মিশন বাজারে আমাদের দলের কেউ সকালে ছিলেনই না।”
এলাকার সিপিএম নেতাদের অভিযোগ, পরিকল্পিত ভাবে এ দিন হামলা করা হয়েছে। সিপিএম নেতা অমিতাভ নন্দী বলেন, “সভার জন্য পুলিশের কাছ অনুমতি নেওয়া হয়েছিল। তৃণমূল গুন্ডামি করে সভা ভাঙার করার চেষ্টা করে! আমাদের কয়েক জন সমর্থককে মারধরও করে। ওরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী নয়। ওরা ভাঙচুর চালিয়ে এখন অস্বীকার করছে। এটাই ওদের নীতি!” জ্যোতিপ্রিয়বাবুর দাবি, “কারও সভা ভাঙচুর করা আমাদের নীতির বিরুদ্ধে। ওই সভা যাতে ঠিক মতো হয়, তার জন্য আমি নিজে পুলিশকে নিরাপত্তা দিতে বলেছি।”
গৌতমবাবুর সভা অবশ্য নির্ধারিত সময়েই শুরু হয়। সকালের ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে গৌতমবাবু বলেন, “এ দিনের মঞ্চ ভাঙার ঘটনা তৃণমূলের কোনও বড় নেতাদের নির্দেশে হয়তো হয়নি। তবে তৃণমূলে বড় নেতাদের দেখেই এলাকার স্থানীয় তৃণমূল নেতারা ভাঙচুরের উৎসাহ পাচ্ছেন!” তৃণমূল সমর্থকদের উদ্দেশে সিপিএম জেলা সম্পাদকের মন্তব্য, “অযথা মারামারি করবেন না!” |