টুকরো খবর |
দুই কৌঁসুলির আর্জি, জেলযাত্রা রদ অর্থসচিবের
নিজস্ব সংবাদদাতা |
দুই সরকারি আইনজীবী বারবার আর্জি জানানোয় রাজ্যের অর্থসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে জেলে পাঠানো থেকে বিরত হলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত। একটি রায় ১৬ বছরেও রূপায়িত না-হওয়ায় আদালত অবমাননার দায়ে অর্থসচিবকে শুক্রবার তলব করেছিলেন তিনি। ১৯৯৬ সালে পরিবার ও শিশুকল্যাণ প্রকল্পের ২৩৮ জন কর্মীর একটি মামলায় হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, অবিলম্বে ওই কর্মীদের সব প্রাপ্য দিতে হবে। কিন্তু তা দেওয়া হয়নি। দ্বিবেদী জানান, শীঘ্রই তা দেওয়া হবে। ক্ষুব্ধ বিচারপতি হাইকোর্টের শেরিফকে তলব করেন। আদালত কাউকে জেলে পাঠাতে বললে শেরিফই তা করেন। দুই সরকারি আইনজীবী সেবা রায় ও সুনন্দা পাল আবেদন জানান, অর্থসচিবকে যেন জেলে পাঠানো না-হয়। স্থির হয়, অর্থসচিব ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্দেশ পালন করে হাইকোর্টকে জানাবেন।
|
অকারণ ছুটিতে নারাজ নতুন প্রধান বিচারপতি |
যখন-তখন কাজ বন্ধ থাকুক, তিনি চান না। তিনি চান না, অকারণে আদালতে ছুটি থাকুক। শুক্রবার শপথের দিনেই এটা স্পষ্ট করে দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের নতুন প্রধান বিচারপতি অরুণ মিশ্র। অনেক সময়েই নানা কারণে আদালতের কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হন বলে মন্তব্য করেন তিনি। যথাসম্ভব বেশি সময় আদালতের কাজ করার জন্য সহযোগিতা চান সকলের। বলেন, “এখন আমাদের সকলের কাজ, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জমা মামলার সংখ্যা কমানো। জমা মামলা দ্রুত শেষ করতে না-পারলে হতাশায় মানুষ নিজের হাতে আইন তুলে নিতে পারে।” তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল। অনুষ্ঠানে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, আইন ও বিচারমন্ত্রী, বিধানসভার স্পিকার ও বিরোধী দলনেতা। অকারণ ছুটি এবং যখন-তখন কাজ বন্ধ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন বিচারপতি মিশ্র। উপলক্ষ ছিল শপথের পরে তাঁর সংবর্ধনার জন্য দ্বিতীয়ার্ধে আদালতের কাজ বন্ধের আর্জি। হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন তাঁকে চিঠিতে জানায়, তারা তাঁকে সংবর্ধনা দিতে চায়। তাই আইনজীবীরা দ্বিতীয়ার্ধে আর কাজ করবেন না। বিচারপতি মিশ্রের ক্ষোভের কারণ দু’টি। সংবর্ধনাসভায় তিনি বলেন, ওই চিঠিতে কাজ বন্ধ রাখার ব্যাপারে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে নির্দেশের সুর। এবং দ্বিতীয়ার্ধে কাজ বন্ধের সঙ্গে তাঁর সংবর্ধনাকে জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ক্ষোভের সঙ্গে তিনি বলেন, “আমার সংবর্ধনার জন্য কাজ বন্ধ থাকবে কেন? কেন ভুগবেন বিচারপ্রার্থীরা? মধ্যাহ্নবিরতিতে দ্রুত সংবর্ধনা সেরে ফের কাজ শুরু করা হোক।” দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য কাজ হয়নি।
|
ওসিকে কোর্টে পেশ এসপি-র |
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে শুক্রবার পুরুলিয়া পুঞ্চ থানার ওসি-কে গ্রেফতার করে আদালতে নিয়ে আসেন পুলিশ সুপার। এর আগে স্বামী জ্ঞানানন্দ স্কুলের পরিচালন সমিতির সম্পাদককে গ্রেফতার করে হাইকোর্টে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ওসি-কে। ওসি ওই স্কুলকর্তাকে হাজির করাতে পারেননি, নিজেও আসেননি। বিচারপতি অশোক দাস অধিকারী তার পরেই এসপি-কে নির্দেশ দেন, ওই স্কুলকর্তা এবং ওসি-কে ধরে আনতে হবে। ওসি কোর্টে জানান, তিনি সম্পাদককে গ্রেফতার করতে পারেননি। বিচারপতি বলেন, দু’মাসেও পুলিশ ওই সম্পাদককে গ্রেফতার করতে পারল না, এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। সম্পাদককে ১৮ ডিসেম্বর ধরে আনার জন্য এসপি-কে নির্দেশ দেন তিনি। ওসি-র বিরুদ্ধে তদন্ত করে রিপোর্ট পেশেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
|
মেট্রোয় ‘ঝাঁপ’, উদ্ধার |
মেট্রোর সামনে ‘ঝাঁপ’ দিয়েও চালকের তৎপরতায় বেঁচে গেলেন এক ব্যক্তি। শুক্রবার, শোভাবাজারে। পরে তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ওই ব্যক্তি সামান্য আহত হন। মেট্রো সূত্রে খবর, ট্রেন স্টেশনে ঢুকতেই ওই ব্যক্তি ছুটতে শুরু করেন। প্ল্যাটফর্মে দাঁড়ানো এক যুবককে ধাক্কা মেরে টাল সামলাতে না পেরে ওই যুবক-সহ লাইনে গিয়ে পড়েন। দু’জনকে লাইনে পড়তে দেখে কবি সুভাষমুখী ট্রেনটির চালক ইমার্জেন্সি ব্রেক কষেন। মেট্রোকর্মীরা উদ্ধার করেন ওই দু’জনকে। যিনি এই কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন, পরে তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। কেন ওই ব্যক্তি এমন করলেন তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। পুলিশ জানায়, ব্যাঙ্কে কর্মরত ওই ব্যক্তি আহিরিটোলার বাসিন্দা।
|
‘প্রতারক’ গ্রেফতার |
রেলের এক কর্মীকে ব্যাঙ্ক ঋণ পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রায় সাড়ে চার লক্ষ টাকা হাতানোর অভিযোগে এক যুবককে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করেছে কলকাতা গোয়েন্দা পুলিশ। ধৃত সুনীলকুমার অগ্রবালের বাড়ি ফুলবাগানে। গোয়েন্দাপ্রধান পল্লবকান্তি ঘোষ শুক্রবার জানান, শিলচরে কর্মরত অসীম মুখোপাধ্যায় নামে ওই রেলকর্মী গত সেপ্টেম্বরে অভিযোগ করেন, সুনীল নিজেকে এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অফিসার বলে পরিচয় দেন। অসীমবাবুকে আশ্বাস দেওয়া হয়, পাঁচ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত ঋণ পাইয়ে দেওয়া হবে। তাঁর সই করা ৪৫০ টাকার একটি চেক এবং ১৫ হাজার টাকা নগদও নেন সুনীল। পরে ওই চেক জাল করে অসীমবাবুর অ্যাকাউন্ট থেকে সাড়ে চার লক্ষ টাকা তুলে নেওয়া হয়।
|
গঙ্গায় ‘ঝাঁপ’, নিখোঁজ |
অঘটন। হাওড়া ব্রিজের এখান থেকেই
গঙ্গায় ‘ঝাঁপ’ তরুণী বধূর। —নিজস্ব চিত্র |
হাওড়া সেতু থেকে হুগলি নদীতে ‘ঝাঁপ’ দিয়ে শুক্রবার নিখোঁজ হয়েছেন এক গৃহবধূ। পুলিশ জানিয়েছে, সেতুর ন’নম্বর স্তম্ভ থেকে ওই মহিলা ‘ঝাঁপ’ দেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। স্তম্ভের নীচে মহিলার সোয়েটার, চটি ও মোবাইল মিলেছে। পুলিশ জানায়, মহিলার বাড়ি লেকটাউনে। তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছেন বিপর্যয় মোকাবিলা দলের কর্মীরা।
|
বরযাত্রীদের হুল্লোড় ঘিরে রক্তারক্তি |
বরযাত্রী ও কিছু বাসিন্দার মারামারিতে শুক্রবার রাতে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় হরিদেবপুর ডাকঘর এলাকা। পুলিশ জানায়, পাত্রী ওই এলাকার। পাত্র বাঁশদ্রোণীর। বরযাত্রীদের হুল্লোড়ে কিছু বাসিন্দা আপত্তি জানান। হাতাহাতি, রক্তারক্তি হয় পুলিশের সামনেই। পাত্রের ভাই সঞ্জীব সিংহ বলেন, “মহিলাদের মারতে দেখেও পুলিশ বাধা দিল না। আমাদের এক জনের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে।” আর বাসিন্দাদের অভিযোগ, বরযাত্রীরা মোটরবাইক নিয়ে হামলা করেছেন।
|
জাল ছবি নিয়ে ফৌজদারি মামলা |
রবীন্দ্রনাথের নামে চালানো জাল ছবি নিয়ে জনস্বার্থের মামলার নিষ্পত্তি করে দিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি অরুণ মিশ্র ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ শুক্রবার জানিয়েছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশ ফৌজদারি মামলা করবে। তাতে দোষী ও নির্দোষ চিহ্নিত হবে। জাল ছবিগুলি থাকবে সিআইডি-র হেফাজতে। সরকারি আর্ট কলেজের একটি প্রর্দশনীতে রবীন্দ্রনাথের আঁকা বলে প্রদর্শিত কিছু ছবি জাল বলে অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে মামলা হয়। হাইকোর্টের নির্দেশে সর্বভারতীয় স্তরের পাঁচ বিশেষজ্ঞ দিয়ে ছবিগুলি পরীক্ষা করানো হয়। তাঁরা জানান, ছবিগুলি জাল।
|
মমতা-শুনানি |
আদালত অবমাননার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে রুল জারি করা হবে কি না, শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে তার শুনানি হল না। হাইকোর্টে নতুন প্রধান বিচারপতির শপথ ও সংবর্ধনার পরে এ দিন দ্বিতীয়ার্ধে আদালতের কাজ হয়নি। এর পরে কবে এবং কোন ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হবে, তা জানা যায়নি।
|
আবছা দিন |
|
—নিজস্ব চিত্র |
কুয়াশার দখলে বিমানবন্দর। শুক্রবার সকালে কুয়াশার জন্য কলকাতা থেকে এমিরেটসের উড়ান দেরিতে ছাড়ে। পুণের উড়ান ছাড়তেও দেরি হয়। চেন্নাই থেকে নামতে এসে মুখ ঘুরিয়ে গুয়াহাটি চলে যায় স্পাইসজেটের বিমান। নামতে না-পেরে বেশ কিছু ক্ষণ চক্কর কাটে কয়েকটি বিমান। ঘন কুয়াশা পটনাতেও। তাই পটনার উড়ান বাতিল করে জেটলাইট। |
|