মুর্শিদাবাদ ভাল লেগেছে ‘গয়নার বাক্স’ টিমের। আর তাতেই খুশি জেলার বাণিজ্য মহল। জেলার চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি অজয়কুমার সিংহ বলেন, “মুর্শিদাবাদ বিরাট জেলা। তার প্রাকৃতিক বৈচিত্রও খুব সুন্দর। রয়েছে বনেদি বাড়ি ও ঐতিহ্যশালী ভবনও। এখানে যদি আরও ফিল্মের শ্যুটিং হয়, তা হলে জেলার পর্যটনের পক্ষে তা খুবই ভাল হবে। পরিচালক, প্রযোজকদের সেই আগ্রহ বাড়াতে উদ্যোগী হওয়া উচিত।”
অপর্ণা সেনের ভাল লেগেছে ঝুড়িতে পাতা দই আর ছানাবড়া। তাঁর সিনেমার পিসশাশুড়ি মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় খুশি খিচুড়ি খেয়ে। কিন্তু এ যাত্রায় হাজারদুয়ারি দেখতে না পাওয়ার দুঃখ নিয়েই মুর্শিদাবাদ ছেড়েছেন তিনি। সিনেমায় যতই দজ্জাল হোন, ভালবাসেন ভোরে পাখির ডাক, সন্ধ্যায় হিম পড়া। যে হোটেলে উঠেছিলেন ‘গয়নার বাক্স’ টিম, তারই অন্যতম মালিক অশেষ মুখোপাধ্যায় বলেন, “মৌসুমীদেবী ভোরে উঠে বিভিন্ন ধরনের পাখি দেখেছেন, পাখির ডাক শুনতেন। রাতে শেয়ালের ডাক শুনে খুব মজাও পেয়েছেন। হোটেলের বারান্দা থেকে পুকুরের উপরে কুয়াশা দাঁড়িয়ে থাকার দৃশ্যের কথাও বলছিলেন বারবার করে।” অশেষবাবু বলেন, “বলেছেন পরিবারের লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে বহরমপুর আসবেন। এ বার শ্যুটিং-এ ব্যস্ত থাকার জন্য তাঁর হাজারদুয়ারি দেখা হল না। আবার এসে অবশ্যই হাজারদুয়ারি দেখতে যাবেন বলেছেন।” |
আজিমগঞ্জের ঘাটে।—নিজস্ব চিত্র। |
৮৪ বছরেরে মনু মুখোপাধ্যায় ও ৭৪ বছরের পরান বন্দ্যোপাধ্যায় বাঙালি রান্না পেয়ে বেজায় খুশি। স্টেশন থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে শিল্পতালুকের ভিতরে হোটেল পর্যন্ত ঢাক বাজিয়ে অভ্যর্থনা করে নিয়ে যাওয়া হয় পরিচালক থেকে অভিনেতা-কলাকুশলীদের। হোটেলের ৬০টি ঘরের মধ্যে ৩০টি ঘর ‘গয়নার বাক্স’ দলের দখলে চলে যায়। হোটেল সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার প্রাতরাশে ছিল কমলালেবুর রস, ওমলেট, ডিম সেদ্ধ ও টোস্ট। দুপুরের মেনুতে ছিল সাদা ভাত, মুগের ডাল, আলুপোস্ত, বেগুন ভাজা, চিকেন কষা আর শেষ পাতে ঝুড়িতে পাতা দই। রাতে দেওয়া হয় সাদা ভাত, চিকেন কারি, হাত রুটি, আলু-ফুলকপির রোস্ট, ডাল ফ্রাই, আলু-পেঁয়াজ ভাজা। বৃহস্পতিবার ভোরবেলা থেকে শ্যুটিং ছিল। ভোর চারটেয় তাঁরা ভাগীরথীর পাড়ে আজিমগঞ্জের সিংঘি ঘাটে চলে যান।
কিন্তু সন্ধ্যাবেলাটা ছিল জমিয়ে আড্ডার জন্য। আড্ডা চলে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত। সেই রাতে খিচুড়ি ও আলু ভাজা খান মৌসুমীদেবী। শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় ও পীযূষ গঙ্গোপাধ্যায় রেঁস্তোরাতে ঢুকেছিলেন। মেনুতে ছিলহাত রুটি, আলু-পটল ভাজা, স্যুপ, চিকেন কষা। শুক্রবার সকালে বহরমপুর ছাড়েন মৌসুমীদেবী, শাশ্বত, পীযুষ গঙ্গোপাধ্যায়, পরাণবাবু ও মনুবাবু। সকালে কমলালেবুর রস, লুচি, আলু-মটরশুঁটি, টোস্ট, ওমলেট, সেদ্ধ ডিম, মিষ্টি, চা ও কফি খাওয়ার পরে বেলা করেই শ্যুটিং-এ বের হয় গয়নার বাক্স টিম। |