তৃণমূল নেতার বাড়িতে ঢুকে তাঁর মাথায় ধারালো অস্ত্রের কোপ মারার অভিযোগ উঠেছে আড়শায়। ধনঞ্জয় কুমার নামে ওই তৃণমূল নেতাকে সে দিন রাতে পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তিনি দলের আড়শা ব্লক কার্যকরী সভাপতি। রাজনৈতিক শত্রুতার জেরে বিরোধীরা তাঁর উপর হামলা চালিয়েছে বলে ধনঞ্জয়বাবু বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করলেও পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেননি। তবে দলের অন্য গোষ্ঠীও হামলা চালাতে পারে বলে স্থানীয় রাজনৈতিক মহল সূত্রে জানা যাচ্ছে।
ধনঞ্জয়বাবু জানান, রাতে তিনি দোতলার একটি ঘরে দরজা খোলা বন্ধ না করে একাই ঘুমাচ্ছিলেন। তাঁর অভিযোগ, “হঠাৎ মাথায় ধারালো অস্ত্রের কোপে ঘুম ভেঙে যায়। চিৎকার করে পাশের ঘরে থাকা স্ত্রীকে ডাকি। দুষ্কৃতী পালিয়ে যায়।” তিনি জানান, দুষ্কৃতীরা কত জন ছিল অন্ধকারে ঠাহর করা যায়নি। সম্ভবত খোলা বারান্দা দিয়ে তারা লাফ মেরে পালিয়ে যায়। হামলার আগে দুষ্কৃতীরা বাড়ির অন্যান্য দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে দেয়। ধনঞ্জয়বাবুর অভিযোগ, “এলাকায় ফরওয়ার্ড ব্লক ও সিপিএম ছেড়ে অনেকে পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূলে আসছে। সে কারণে ওরা আমার উপর হামলা চালিয়েছে বলে মনে হচ্ছে।”
তবে সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য মহাদেব কুমারের দাবি, “ভিত্তিহীন অভিযোগ।” আর ফরওয়ার্ড ব্লকের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মিহির মাঝির দাবি, “পুলিশ ঘটনার তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করুক। তা হলেই আসল ঘটনা সামনে চলে আসবে।” তৃণমূলের জেলা কাযর্করী সভাপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, “ধনঞ্জয় কোন ঘরে ঘুমান, তা বাইরের লোক জানবে কী করে? ওঁর পরিচিত লোকজনদের জড়িত থাকার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।” দলের জেলা সম্পাদক নবেন্দু মাহালি বলেন, “আড়শায় দলে সাংগঠনিক সমস্যা ছিল। সম্প্রতি তা মিটেও গিয়েছে। দলে কোনও দ্বন্দ্ব নেই। তৃণমূলের আড়শা ব্লক সভাপতি আনন্দ মাহাতো বলেন, “গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা একদমই ভিত্তিহীন। আমি হাসপাতালে ধনঞ্জয়কে দেখতে গিয়েছি।” |