নিখোঁজ হওয়ার ছ’দিন পর এক কংগ্রেস কর্মীর দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। মৃতের নাম সুদীপ বিশ্বাস (৩৭)। বাড়ি হাঁসখালির রামদুলালপুর এলাকায়। বৃহস্পতিবার সকালে পায়রাডাঙা এলাকায় রেললাইন থেকে কিছুটা দূরে ঝোঁপের মধ্যে তাঁর দেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। নদিয়ার পুলিশ সুপার সব্যসাচী রমন মিশ্র বলেন, ‘‘দেহটিতে পচন ধরেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট নয়। তদন্ত শুরু হয়েছে।’’শনিবার বগুলা পূর্বপাড়া হাইস্কুলের পরিচালন সমিতির নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন ওই কংগ্রেসকর্মী। ওই দিন রাতেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেননি তিনি। পরের দিন বাড়ির লোকজন থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। সোমবার বিশ্বাস পরিবারের তরফে ফের একটি অপহরণের অভিযোগও করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে সুদীপবাবুর দেহ উদ্ধারের পর সুদীপ-খুনে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে তাঁর দেহ আটকে বিক্ষোভ দেখান ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে একই দাবিতে বগুলা বাসস্ট্যান্ডে কিছুক্ষণের জন্য পথ অবরোধও করা হয়। |
সুদীপবাবুর দাদা অনিল বিশ্বাস বলেন, ‘‘মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর থেকেই ভাইকে নানা ভাবে ভয় দেখাচ্ছিল তৃণমূলের লোকজন। আমার সন্দেহ তৃণমূলের লোকেরাই তাকে খুন করেছে।’’ জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বিমল বিশ্বাসের অভিযোগ, ‘‘তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা জনপ্রিয় কংগ্রেস কর্মী সুদীপ বিশ্বাসকে খুন করেছে। ১৬ ডিসেম্বর বগুলার ওই স্কুলে পরিচালন সমিতির নির্বাচন। সেখানে তৃণমূলের হার নিশ্চিত জেনে এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এলাকায় সন্ত্রাস তৈরি করতে তৃণমূল সুদীপকে খুন করেছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার বারো ঘন্টার বন্ধ ডাকা হয়েছে। ’’
কংগ্রেসের এই অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক শশাঙ্ক শেখর বিশ্বাস বলেন, ‘‘মিথ্যে অভিযোগ। আমাদের কেউ এই ঘটনায় জড়িত নয়। ওই কংগ্রেস কর্মী চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে মোটা টাকা নিয়েছিলেন। তাছাড়া তিনি একটি চিটফান্ডের সঙ্গেও জড়িত বলেও শুনেছি। পুলিশ তদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।’’
সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য সুপ্রতীম রায় বলেন, ‘‘তৃণমূলই এই খুনের পিছনে বলেই আমাদের অনুমান। কারণ ওই এলাকায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই দাপিয়ে বেড়ায়।’’ |